আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে পাঁচ সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে মতামত দিতে চিঠি দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। দ্বিমত থাকা বিষয়গুলির সমাধানে ১৫ মার্চের পর থেকে দল বা রাজনৈতিক জোটের সঙ্গে সংলাপ শুরু করবে কমিশন। পত্রিকান্তরে প্রকাশিত খবরে এসব তথ্য জানা গেছে।
চলতি সপ্তাহের মধ্যেই দলগুলোর মতামত পাওয়া যাবে বলে মনে করছে কমিশন। তার ভিত্তিতে আগামী সপ্তাহ থেকে দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরুর আশা করছেন তাঁরা, যা ২৪ মার্চ পর্যন্ত চলার সম্ভাবনা রয়েছে। রোজার ঈদের ছুটি শেষে ৭ এপ্রিল থেকে আবার সংলাপ করবে কমিশন। যেসব বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চেয়ারম্যান ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস উপস্থিত থাকবেন না সেগুলোতে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্ব দেবেন।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সমন্বয়কের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে। তাদের দু-তিনটি বিষয়ে মতপার্থক্য রয়েছে, তা ছাড়া ব্যাপকভিত্তিক দ্বিমত আমরা দেখতে পাচ্ছি। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্যগুলো দূর হবে আশা করছি।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সূত্রে জানা গেছে, যেসব দল আগে তাদের প্রস্তাবনা কমিশনে পাঠাবে, সেই দলের সঙ্গে আগেই আলোচনা শুরু করবে। প্রথমে দল, জোটগত সংলাপ করা হবে। এরপর যেসব দল একই মতের হবে, তাদের সঙ্গে বসবে কমিশন।
বিএনপির দলীয় সূত্র বলছে, ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবের ওপর মতামত দিতে খুব দ্রুত বৈঠক বসবে দলটি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সংস্কার কমিশনের সুপারিশ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। হয়তো দু’এক দিনের মধ্যেই হয়ে যাবে। পরে তা লিখিত আকারে জানানো হবে।’
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ার বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে সময়মতো আমাদের প্রস্তাব ও মতামত লিখিতভাবে জানাব। এটা নিয়ে দলের বিশেষজ্ঞ প্যানেল কাজ করছে।’
জাতীয় নাগরিক কমিটি (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার বলেন, যেসব সংস্কার সংবিধান সম্পর্কিত নয়, সেগুলো অধ্যাদেশের মাধ্যমে করার প্রস্তাব করব, যা পরের সরকার আইনে পরিণত করবে। সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার গণপরিষদ ও নির্বাচিত আইনসভার মাধ্যমে করার প্রস্তাব দেব। একই সঙ্গে জুলাই চার্টারকে গণভোটে দেওয়ার প্রস্তাব থাকবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘পাঁচটি কমিশনের যেসব প্রস্তাব গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছি, সেগুলোর মতামত জানানোর জন্য বলেছি। কারণ এগুলোর জন্য কাঠামোগত ও সাংবিধানিক পরিবর্তনের প্রয়োজন, সে জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত চেয়েছি।’