আগামী দিনের নির্বাচন বিএনপির জন্য সবচেয়ে কঠিন হবে: টুকু

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

আগামী নির্বাচন বিএনপির জন্য অনেক কঠিন হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইকবার হাসান মাহমুদ টুকু। 

রোববার (৯ মার্চ) সিলেট নগরীর একটি কনভেনশন হলে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

এসময় তিনি বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের দলের সঙ্গে অন্য দলকে মেলানো যাবে না। আওয়ামী লীগের পালানোর ইতিহাস পুরাতন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে যখন পাকিস্তান হানাদার বাহিনী দেশের মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল, তখন তারা কেউ নাই। আওয়ামী লীগের পালিয়ে যাওয়ার যে অভ্যাস তা ওই রাতেই শুরু হয়েছে। ৭১ সালে তারা পালিয়ে ভারতে চলে গেল। তখন বাংলাদেশের সাত কোটি মানুষকে রক্ষা করার কোনো লোক ছিল না, জুলাই বিপ্লবে তারা আবার পালিয়েছে, পালানোর ইতিহাস তাদের জন্য মানানসই।

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, দেশ থেকে কোন স্বৈরাচার পালালে ফিরে আসার নজির কোথাও নেই। যারা পালিয়েছে তাদের বিচার করতে হবে। আওয়ামী লীগের লুটপাট, হত্যা-গুম, নির্যাতনের বিচার করতে হবে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নির্মম নির্যাতন করেছে। স্বৈরাচার সরকার যখন বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দী করে তখন তিনি পায়ে হেটে গেছেন। তিনি যখন স্বৈরাচারের কারখানা থেকে বের হয়েছেন তখন তিনি হুইল চেয়ারে বসে বের হয়েছেন। তারপরও তিনি কখনো মনোবল হারানা নি। দেশের কল্যাণে, মানুষের কল্যাণে ও দলের জন্য আজীবন সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। তিনি কখনো স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট পলাতক শেখ হাসিনার কাছে মাথা নত করেন নি।

বিজ্ঞাপন

আগামী নির্বাচন বিএনপির জন্য অনেক কঠিন হবে জানিয়ে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কমিটির এই সদস্য বলেন, তারেক রহমান বলেছেন, আগামী দিনের নির্বাচন বিএনপির জন্য সবচেয়ে কঠিন হবে। আমিও বলছি, সবচেয়ে কঠিন হবে। বাংলাদেশে মানুষ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দেওয়া জাতীয়তাবাদকে বিশ্বাস করে। যাকে বলে সবাইকে নিয়ে এক সঙ্গে থাকা। নির্বাচন ছাড়া দেশে শান্তি ফেরানো কঠিন। যতদ্রুত সম্ভব দেশে একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব।

দোয়া ও ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড.এনামুল হক চৌধুরী, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার এম এ সালাম, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী মিজান, সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল কাহের শামীম, সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক নুরুল হুদা জায়গীদার, সিলেট জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, সালেহ আহমদ খসরু প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা মোস্তাক আহমদ খান।