বাঁচা-মরার লড়াইয়ে বাংলাদেশ থামল ২৩৬ রানে
-
-
|

ছবি: সংগৃহীত
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগের আসরে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে খেলেছিল বাংলাদেশ। এবার সেই একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে টুর্নামেন্টে টিকে থাকার লড়াইয়ে শুরুটা ভালো করেছিল টাইগাররা। তবে আবারও সেই পুরনো ব্যাটিং বিপর্যয়! আর তাতেই ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ২৩৬ রানে থামে টাইগারদের ইনিংস।
রাওয়ালপিন্ডিতে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে দলকে শুভ সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দুজনে গড়েন ৪৫ রানের জুটি। এর পর আর বড় কোনো জুটি গড়তে পারেনি বাংলাদেশ। দলীয় ৪৫ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ২৪ রান করে ফিরে যান তামিম। ৩ নাম্বারে ব্যাটিং করতে নামা মেহেদি হাসান মিরাজ ব্যাট হাতে এদিনও ব্যর্থ। দলীয় ৬৪ রানের মাথায় মিরাজ ফিরেছেন ১৪ বলে ১৩ রান করে। আগের ম্যাচের শতক হাঁকানো তাওহীদ হৃদয় ফিরেছেন ২৪ বলে মাত্র ৭ রান করে।
মেহেদি হাসান মিরাজ ও তাওহীদ হৃদয়ের উইকেট হারানোর পর বড় দায়িত্ব ছিল দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের উপর। কিন্তু অভিজ্ঞতার মূল্যায়ন করতে পারেননি দুজনের কেউই। চাপের মুহূর্তে বড় শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন দুজনই। মুশফিক করেছেন ২ রান আর রিয়াদ আউট হয়েছেন ৪ রান করেই।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোর দিনে একপ্রান্ত আগলে ছিলেন অধিনায়ক শান্ত। দলীয় ১৬৩ রানের মাথায় আউট হওয়ার আগে শান্তর ব্যাট থেকে আসে ৭৭ রান। এরপর রিশাদ হোসেন খেলেন ২৫ বলে ২৬ রানের ক্যামিও ইনিংস।
ভারতের পর এবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও রানের দেখা পেয়েছেন জাকের। চাপের মাঝে রান আউট হওয়ার আগে খেলেছেন ৫৫ বলে ৪৫ রানের ইনিংস। আর তাতেই ২৩৬ রান করতে সক্ষম হয় টাইগাররা।
বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন-আপ একাই ধ্বসিয়ে দিয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। ১০ ওভার বল করে মাত্র ২৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন এই কিউই পেসার।