এক লাখের বেশি রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। শুক্রবার কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে এসে সফরের শেষ জাতিসংঘের মহাসচিব এবং প্রধান উপদেষ্টা  এমন আয়োজনে অংশ নেবেন।

সফরসূচি হিসেবে মিজানুর রহমান জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে গুতেরেস উখিয়া শরণার্থী শিবিরে পৌঁছাবেন। সেখানে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা -ইউএনএইচসিআর, খাদ্য সংস্থা ডব্লিউএফপি, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা-আইওএম এবং অন্যান্য মানবিক সংস্থার প্রতিনিধিরা তাকে শিবিরের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানাবেন। এরপর গুতেরেস রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের নেতা, যুব প্রতিনিধি ও নারীদের সঙ্গে তিনটি পৃথক বৈঠকে অংশ নেবেন।

বিকেলে তিনি কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সফরের শেষ পর্বে প্রায় এক লাখের বেশি রোহিঙ্গার সঙ্গে বসে ইফতার অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন জাতিসংঘ মহাসচিব ও প্রধান উপদেষ্টা ।

কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) পুরো নিরাপত্তা ব্যবস্থা সমন্বয় করবে এবং সফরকে ঘিরে বহুস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

জসিম উদ্দিন বলেন, সফরকালীন ক্যাম্পের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সেনাবাহিনী তদারকি করছে। কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে শরণার্থী শিবির পর্যন্ত কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে।

রাজধানীর শাহবাগে ধর্ষণ ও নিপিড়ন বিরোধী আন্দোলন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় প্রবেশের সময় পুলিশ বাধা দিলে আন্দোলনকারীদের হামলায় রমনা বিভাগের ডিসি ও এসি আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ৭ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুজন নারী পুলিশ সদস্য রয়েছেন।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শাহবাগের ইন্টারকমটিনেন্টাল হোটেলে সামনে এ ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

তিনি জানান, রাজধানীর শাহবাগে ধর্ষণবিরোধী পদযাত্রায় নারী-পুরুষসহ ৬০ থেকে ৭০ জনের একটি বিক্ষোভকারী দল প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাত্রার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে বাধা প্রদান করে।

এসময় পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা নারীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙ্গে সামনের দিকে অগ্রসর হবার চেষ্টা করে। নিকটবর্তী স্থানে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা ও যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরে যেতে অনুরোধ করলে তারা উল্টো পুলিশের ওপর চড়াও হয়ে উদ্ধত ও মারমুখী আচরণ আরম্ভ করে।

ডিসি আরও জানান, বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী নারীদের নখের আঁচড়ে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়। এক পর্যায়ে তারা পুলিশের সাথে ধ্বস্তাধস্তিতে লিপ্ত হয় এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের উপর অতর্কিত ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়।

হামলায় রমনা জোনের সহকারী কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন গুরুতর আহত হন। এছাড়া হামলাকারীদের আঘাতে রমনা ডিভিশনের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ মাসুদ আলম, দুই নারী পুলিশ সদস্য এবং তিনজন পুরুষ কনস্টেবল আহত হন। পরবর্তীতে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গের মাধ্যমে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

উক্ত ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা ও ভাঙচুর বন্ধের প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে জেলা ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকালে কুষ্টিয়া শহিদ আবরার ফাহাদ স্টেডিয়ামের সামনে ইটভাটা মালিক ও শ্রমিকরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে সেখান থেকে মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন।

ইটভাটার মালিক ও শ্রমিকরা বলেন, ইটভাটায় কাজ করে সংসার চালাই। ভাটা বন্ধ হলে এ অঞ্চলের বহু শ্রমিক বেকার হয়ে পড়বে, মানুষের রুটি রুজি নষ্ট হবে। এতে সমাজে অপরাধ বাড়বে।

এসময় পরিবেশের ছাড়পত্র পেতে পদ্ধতি সহজিকরণ, হয়রানিমূলক মোবাইল কোর্ট বন্ধ, ইটভাটাকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার দাবিও জানান তারা। পরে প্রশাসনের কাছে ভাটা মালিকদের পক্ষে থেকে স্মারকলিপি দেয়া হয়। স্মারকলিপি গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর আলম।

এদিকে বিক্ষোভ মিছিলের ফলে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে কর্মসূচি তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা।

সাভারের আশুলিয়ায় গ্রাম থেকে মামাতো ভাইয়ের বাসায় বেড়াতে এসে ৮ বছর বয়সী ভাতিজিকে ধর্ষণ করে পালিয়েছেন এক যুবক। এ ঘটনায় ঢাকার আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন ধর্ষণের শিকার শিশুটির বাবা।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুপুরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শিশুটিকে আশুলিয়া থানা থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এর আগে আশুলিয়ার কাইচা বাড়ি এলাকায় ভুক্তভোগীদের ভাড়া বাসায় সোমবার সকাল ৭ টার দিকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত যুবক ভোলা জেলার লালমোহন থানার নবীনগর মাস্টারবাড়ী গ্রামের মো. বাবুল বেপারের ছেলে মো. রাসেল (১৯)। তিনি ভুক্তভোগী শিশুর বাবার আপন মামাতো ভাই।

ভুক্তভোগী শিশু আশুলিয়ার কাঁইচাবাড়ি এলাকার একটি মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণীতে পড়াশোনা করে। তার বাবা-মা দুইজনই স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২৮ ফেব্রুয়ারি আশুলিয়াতে ভুক্তভোগীদের বাসায় বেড়াতে আসেন রাসেল। সোমবার সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে শিশুটির বাবা-মা কর্মক্ষেত্রের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বেরিয়ে গেলে সুযোগ বুঝে শিশুটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে রাসেল। পরে খবর পেয়ে বাসায় এসে শিশুটির বাবা দেখেন শিশুটি কান্না করছে এবং রাসেল কাপড় চোপড় নিয়ে পালিয়ে গেছেন।

শিশুটির বাবা বলেন, অভিযুক্ত রাসেল আমার আপন মামাতো ভাই। আমার মামাতো ভাইকে কিছু কেনাকাটা করে দিতে চেয়েছিলাম। টাকা পয়সার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। আমার মামার সাথে কথা হয়েছে দুই-একদিনের মধ্যে তার চলে যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু সে এমন কাজ করে পালালো।

আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামাল হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে৷ আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। শিশুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।