বাবাকে হারালেও স্বপ্ন হারায়নি তারা, পাশে সাঈদ আল নোমান

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বাবা হারানোর কষ্টের সঙ্গে যদি যুক্ত হয় অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ, তাহলে তা হয়ে ওঠে আরও কঠিন। চট্টগ্রামের বিএনপি নেতা মরহুম মো. ইউনুসের পরিবারও ঠিক এমনই এক পরিস্থিতির মুখে পড়েছিল। তার মৃত্যুর পর দুই মেয়ে ও এক ছেলের শিক্ষাজীবন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। তবে বিপদের এই মুহূর্তে তাদের পাশে দাঁড়ালেন তরুণ রাজনীতিবিদ সাঈদ আল নোমান। তিনি তিন সন্তানের পড়াশোনার দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন, যাতে তাদের স্বপ্ন থেমে না যায়।

মো. ইউনুসের সন্তানরা পড়াশোনায় ভালো, বড় হয়ে সমাজের জন্য কিছু করতে চায়। কিন্তু বাবার অনুপস্থিতিতে সেই স্বপ্ন ঝুঁকির মুখে পড়েছিল। পরিবারের আর্থিক সংকট তাদের ভবিষ্যৎকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দেয়।

বিজ্ঞাপন

ঠিক এই সময়ই সাঈদ আল নোমান সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, শুধু রাজনৈতিক সহকর্মী হিসেবে নয়, মানবিক কারণেই আমি ইউনুস ভাইয়ের সন্তানদের দায়িত্ব নিয়েছি। তাদের পড়াশোনা যেন থেমে না যায়, সেটাই আমার লক্ষ্য।

সাঈদ আল নোমানের এই উদ্যোগ শুধু দান-সহায়তার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটি তার রাজনৈতিক বিশ্বাসেরই প্রতিফলন। তার বাবা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমানও আজীবন মানুষের সেবায় কাজ করেছেন। সেই পথেই এগিয়ে যেতে চান তিনি। তিনি বলেন, আমার বাবা আমৃত্যু মানুষের পাশে ছিলেন। আমি চাই, সেই ধারা অব্যাহত রাখতে।

বিজ্ঞাপন

তার মতে, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যে মানবকল্যাণমূলক রাজনীতি করে গেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও সেই পথেই হাঁটছেন। শুধু রাজনৈতিক আন্দোলন নয়, মানুষের কল্যাণে কাজ করাই প্রকৃত রাজনীতি বলে মনে করেন তিনি।

বর্তমান রাজনীতিতে যখন বিভেদ ও স্বার্থপরতা প্রবল, তখন সাঈদ আল নোমানের মতো নেতারা দেখিয়ে দিচ্ছেন, রাজনীতির আসল উদ্দেশ্য জনগণের পাশে দাঁড়ানো। তার এই উদ্যোগ শুধু একটি পরিবারকে সাহায্য করা নয়, বরং সমাজে মানবিকতার বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া।

শনিবার (২২ মার্চ) বিএনপি নেতা ইউসুফের পরিবারকে দেখতে যান সাঈদ আল নোমান। এসময় তিনি তার সন্তানদের পড়ালেখার দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দেন। বলেন, রাজনীতি শুধু ক্ষমতার জন্য নয়, মানুষের পাশে থাকার জন্য। ইউনুস ভাইয়ের সন্তানরা যেন ভালোভাবে বড় হয়, পড়াশোনা শেষ করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে—এটাই আমার চাওয়া।

এসময় উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী বেলাল উদ্দিন, সদস্য মোশাররফ হোসেন ডিপ্টি, পাহাড়তলী থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন জিয়া, হালিশহর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, থানা বিএনপি নেতা জানে আলম, ২৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি মোশাররফ জামাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আরজুসহ দলের সিনিয়র নেতারা।