দাগনভূঞায় প্রথমবার বাণিজ্যিকভাবে তরমুজ চাষ, লাভের প্রত্যাশা কৃষকের

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে তরমুজের চাষ হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া ও বালুমিশ্রিত মাটি হওয়ায় উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের চাঁনপুর, দক্ষিণ জায়লস্কর, দক্ষিণ নেয়াজপুর ও দক্ষিণ বারাহিগোবিন্দ এলাকায় প্রায় ৩০ একর জমিতে এই রসালো ফলের চাষ হয়েছে।

শনিবার (১৫ মার্চ) সরেজমিনে অধিকাংশ জমিতে গিয়ে দেখা যায় ইতোমধ্যে পরিপক্ক হয়েছে তরমুজ।বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে সবুজ লতার সমারোহ। জায়লস্কর ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামে কৃষি উদ্যোক্তা হেলাল উদ্দিন ও মোঃ মানিক প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে তরমুজ চাষাবাদ করেছেন।

বিজ্ঞাপন

উদ্যেক্তা হেলাল উদ্দিন বলেন, এ গ্রামে দোঁআশ মাটি (বালিযুক্ত) ও উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে। মাটি তরমুজচাষের উপযোগী হওয়ায় স্থানীয় কৃষকদের থেকে চলতি মৌসুমের জন্য প্রায় ১১ একর জমি বর্গা নিয়ে তরমুজের চাষ করেছি।

তিনি বলেন, ১১ একর জমিতে তরমুজ চাষে এখন পর্যন্ত ১ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। আশাকরি ২৫ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারবো। এখানে ১৮ জন শ্রমিক কাজ করছেন। সঠিক পরিচর্যা করলে তরমুজচাষ করে সফল হওয়া সম্ভব। তবে তরমুজ গাছ ছত্রাকসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। তাই সঠিক সময়ে কীটনাশক প্রয়োগ করা প্রয়োজন। আগামী ২/৩ দিনপর তরমুজ বিক্রির উপযোগী হবে।

বিজ্ঞাপন

কৃষি উদ্যোক্তা মো: মানিক বলেন, বড় আকারের একশ তরমুজ ২৭ থেকে ২৮ হাজার টাকা, মাঝারি তরমুজ একশটি ১ হাজার ৪০০ টাকা ও ছোট আকারের তরমুজ একশটি ৭ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি শুরু হয়েছে।


উপজেলার দক্ষিণ জায়লস্কর, দক্ষিণ নেয়াজপুর ও দক্ষিণ বারাহিগোবিন্দ এলাকার কৃষকরা জানান, কয়েকদিন আগে তরমুজ বিক্রির উপযোগী হওয়ায় বিক্রি শুরু করেছেন। এ তরমুজ চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, মিরসরাই, ফেনীর মহিপালসহ বিভিন্ন জেলায় আড়তে বিক্রি করছেন।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন বলেন, জৈব সার ব্যবহার ও রোগ প্রতিরোধের জন্য সরেজমিনে মাঠে গিয়ে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

দাগনভূঞা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, উপজেলায় প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে তরমুজ চাষ করা হয়েছে। কৃষকদের খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। তরমুজচাষে পরিশ্রম বেশি হলেও অন্যান্য রবিশস্য থেকে এটাতে কয়েকগুণ বেশি লাভ হয়। আশা করছি আগামীতে উপজেলায় তরমুজচাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়বে।