কুমিল্লায় ভুল চিকিৎসায় যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ
-
-
|

ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: প্রতারক আজহার
জামালপুর সদর উপজেলার বাঁশচড়া ইউনিয়নে ঝাওলা গোপালপুর এলাকা থেকে ইতালিতে ভালো চাকুরির লোভ দেখিয়ে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের আজহার আলী (রাজ) নামে ইতালি প্রবাসী এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
উচ্চ সুদে ঋণের টাকা দিয়েও ইতালি যেতে না পেরে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগীসহ তাদের পরিবার। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় একাধিকবার গ্রাম্য সালিস ও আদালতে মামলা দিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
এ ঘটনায় আজ রোববার (১৬ মার্চ) দুপুরে বাঁশচড়া ইউনিয়নের ঝাওলা গ্রামের ভুক্তভোগীরা এই প্রতারণার বিষয়গুলো জানান।
তারা বলেন, সদর উপজেলার বাঁশচড়া ইউনিয়নের ঝাওলা গ্রামের মৃত জামাল হোসেনের ছেলে আজহার আলী দীর্ঘদিন ধরে ইতালি অবস্থান করছেন। ঝাওলা গ্রামের রাজ মাহমুদের ছেলে রুবেলকে ইতালি নেওয়ার কথা বলে ৩৭ লাখ নগদ টাকা নেন এবং পার্শ্ববর্তী বৈঠামারী গ্রামের শাহ আলমের ছেলে নূর মোহাম্মদ এর কাছ থেকে ১৮ লাখ টাকা নেন। এছাড়াও ঝাওলা গ্রামের বিল্লাল হোসেন এর ছেলে শফিককে ইতালি নেওয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে ৭ লাখ, ঝিগারতলা গ্রামের মোশাররফ এর কাছ থেকে ১১ লাখ ও কোটের টির্কি গ্রামের বাবুল এর কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা নেন। এই ভাবে বাঁশচড়া ইউনিয়নের প্রায় ৩০-৩৫ জনের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়েছেন। কিন্তু এতগুলো মানুষের কাউকেই বিদেশ না নিয়ে এই টাকাগুলো আত্মসাৎ করেছেন আজহার আলী।
রাজ মাহমুদ নামে এক ভুক্তভোগী বলেন, এই আজহার আলী একজন প্রতারক। সে দীর্ঘদিন ইউরোপের ইতালি দেশে থাকতো। সেখান থেকে সে বাংলাদেশে এসে আমাদের ঝাওলা গ্রামের সহজ সরল তরুণদের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে তাদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে সে বিদেশ পালিয়ে চলে গেছে। এখন আমাদের কারো সাথে কোন যোগাযোগ করে না।
একই গ্রামের মোঃ রুবেল বলেন, আমাদের লাখ লাখ টাকা ইতালি নেওয়ার কথা বলে আজহার নিয়ে বিদেশে পালিয়ে গিয়েছে। আমি আমার কৃষি জমি ও ট্রাক গাড়ি বিক্রি করে টাকাগুলো দিয়েছিলাম। আমাকে সর্বশান্ত করে দিয়েছে এই আজহার। আমি এখন পথের ফকির হয়েগেছি। এখন তার পরিবারে কাছে টাকা চাইতে হলে তার পরিবারের উল্টা হুমকি ধামকি দেয়।
ভুক্তভোগী নূর মোহাম্মদ বলেন, আমাকে ইতালি নিবে বলে আমার বাড়িঘর ও কৃষি জমি বিক্রি করিয়ে আমার কাছ থেকে ১৮ লাখ টাকা নিয়েছেন। এখন টাকাও ফেরত দেয় না বিদেশে নেয় না দুই বছর হয়ে গেলো। এই টাকার চিন্তায় আমি দুইবার স্ট্রোক করেছি।
অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগের বিষয়ে একাধিকবার ফোনে চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি আজহার আলীকে। এবং তার গ্রামের বাড়িতে গিয়েও পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রুবেল ও আশিক আহমেদ সহ একাধিক ব্যক্তি বাদী হয়ে জামালপুর আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা গুলো বিচারাদিন রয়েছে। মামলাগুলো সঠিক তদন্ত করে দ্রুত বিচার কার্য পরিচালনা করার আবেদন জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
এ প্রসঙ্গে বাদীপক্ষের আইনজীবী সাজেদুল ইসলাম জানান, তদন্তের জন্য আদালত মামলাটি পিবিআইকে দায়িত্ব দিয়েছে।
ছবি: সংগৃহীত
কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পদবঞ্চিতদের সাথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন রক্তাক্ত জখম হয়েছেন। তাদেরকে গুরুতর অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার (১৬ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানা গেছে, আজ রোববার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পদবঞ্চিতদের একটি অংশ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বর্তমান কমিটির নেতাকর্মী এবং নাগরিক কমিটির কুষ্টিয়া সদর উপজেলা কমিটিতে ছাত্রলীগ কর্মীদের পদ দেয়া হয়েছে দাবী করে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহরের ঈদগাহপাড়া থেকে। মিছিলটি কুষ্টিয়া কাটাইখানা মোড়স্থ সমবায় মার্কেটের সামনে পৌছলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ তাদের ধাওয়া করে। এসময় উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়ার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে হাসপাতালেও হামলার ঘটনা ঘটে।
এদিকে হাসপাতালে উভয় গ্রুপের হামলা হলেও কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশকে নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকতে দেখা গেছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পদবঞ্চিদের পক্ষে অবস্থান নেয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম সদস্য সচিব সুজন মাহমুদ জানান, আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির লোকজন। আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সুলতান মারুফ তালহা, মুজাহিদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম জহির, সদস্য সচিব রেদোয়ান আফ্রিদি, কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের আহ্বায়ক জুবায়ের, ইব্রাহীম, নয়ন হোসেন প্রমুখ। তারা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাকর্মীরা বলেন, রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আয়াস, আকাশ, রাসেলসহ তাদের লোকজন এ হামলা করেছে। এতে ১৫ থেকে ২০ জন আহত হয়েছেন। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা শাখার আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান, সদস্যসচিব মোস্তাফিজুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক সায়াদ ইসলাম শ্রেষ্ঠ, হুমাইরা কবির সাদিয়া, মুখ্য সংগঠক এম ডি বেলাল হোসেন বাঁধনসহ শতশত নেতাকর্মী। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান ফেসবুক লাইভে জানান, কিছু সন্ত্রাসী আমাদের কাটাইখানা মোড়ে লাইব্রেরীর সামনে এসে হুমকি ধামকি দেয় এবং পরে কুষ্টিয়া সরকারী কলেজ মাঠে আমাদের সহযোদ্ধাদের ওপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে তাদেরকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এঘটনায় তীব্র নিন্দা জানানোর পাশাপাশি হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানান তিনি।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক অফিসার (আরএমও) ডা. হোসেন ইমাম বলেন, ‘বেশ কয়েকজন আহত অবস্থান হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তাদের চিকিৎসা সেবা চলছে।’
এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।’
ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজার থানা এলাকার বাশপট্রি বেড়ীবাঁধ, জোলাপট্রি, কিল্লার মোড় এলাকার চিহ্নিত চাদাবাজ মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ওরফে নান্নু ফকির (৪৫) ও তার ছেলে মো. আসাদকে (২২) আটক করেছে আজিমপুর সেনাক্যাম্পের সদস্যরা।
রোববার (১৬ মার্চ) রাতে চকবাজারের বাশপট্রি এলাকায় চাদাবাজি করা কালিন সময়ে হাতে নাতে আটক করা হয় নান্নু ও তার ছেলেকে। রাতেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৪৬ বিগ্রেডের আজিমপুর ক্যাম্পের এক কর্মকর্তা।
এ সময় তার কাছে চাঁদাবাজির ১৮ হাজার ৭০০ টাকা পাওয়া যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পতিত শেখ হাসিনার শাসনামলেও নান্নু এলাকার বিভিন্ন রিক্সার গ্যারেজ ও ফুটপাতের দোকানপাট থেকে চাঁদা আদায় করতো। পাঁচ আগস্টের পর নান্নু স্থানীয় এলাকার সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির সাবেক এক নেতা ছত্রছায়ায় চাদাবাজি করে আসছিলো।
রোববার সন্ধ্য্যায় চাঁদা আদায় কালে সেনাসদস্যরা তাকে আটক করে। রাতেই তাকে চকবাজার থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাবা-ছেলের বিরুদ্ধে চাদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়।
ছবি: বার্তা২৪.কম
দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করায় তারা যেতে পারে না বড় বড় বুফেতে। অনেকেই আবার বুফে খাবার কিভাবে নিতে হয় তাও জানে না তারা। নিম্ন আয়ের পরিবারের লোকজনের জন্য বুফে খাওয়া অনেকটাই ব্যয়বহুল ও কষ্টসাধ্য। মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যয়বহুল বুফে ইফতার খাওয়া স্বপ্নের মত। মাদ্রাসা ও এতিমখানার ৯০ জন শিক্ষার্থীকে এমন স্বপ্ন পূরন করে বুফের স্বাদ নেয়ার পরিবেশ করে দিয়েছে আশ্রয় বিদ্যাপীঠ ও আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় এক্স ষ্টুডেন্ট এসোসিয়েশন।
সোমবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের খোলা মাঠে আশ্রয় বিদ্যাপীঠ ও আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় এক্স ষ্টুডেন্ট এসোসিয়েশন এর উদ্যোগে এই বুফে ইফতারের আয়োজন করা হয়। তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৩ সালের ব্যাচ এতে অর্থ সহায়তা দেন। এতে অংশ নেন উপজেলার তিনটি মাদ্রাসা ও এতিমখানার ৯০ জন শিক্ষার্থী।
আয়োজকেরা জানান, ২০১৯ সাল থেকে হতদরীদ্র, অসহায় পরিবার ও পথশিশুদের পড়াশুনার জন্য ভ্রাম্যমান একটি স্কুল দিয়ে যাত্রা শুরু করে আশ্রয় বিদ্যাপীঠ নামে একটি সামাজিক সংগঠন। এর পরে করোনাকালীন সময়ে তারা প্রশাসনের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কাজে এগিয়ে আসে। এছাড়াও রক্তদান, রমজানজুড়ে ইফতার বিতরণ ও কোরবানির ঈদে মাংস সংগ্রহ করে তা গরীবদের মাঝে বিলিয়ে দেয়াসহ নানান সামাজিক কাজে এগিয়ে আসায় উপজেলাজুড়ে তাদের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। পাশাপাশি আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় এক্স ষ্টুডেন্ট এসোসিয়েশনও তাদের সাথে একাত্মতা পোষন করে কাজ করতে থাকে। তাদের আয়েজনে থাকে ব্যতিক্রমতা। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের খোলা মাঠে মাদ্রাসা ও এতিমখানার ৯০ জন শিক্ষার্থীদের জন্য বুফে ইফতারের আয়োজন করা হয়। ব্যতিক্রম আয়োজনে খেজুর, ফ্রাইড রাইস, চিকেন ফ্রাই, কোল্ড ড্রিংকস, ডিম চম, আলুর চপ, পিয়াজু, বেগুনি, তরমুজ, মাল্টা, আঙুর, বড়ই, শরবত ও পানিসহ ১৪ রকমের ইফতার তৃপ্তিসহ নিজের মত করে নিতে পেরে খুশি বাচ্চারা। এমন আয়েজনে কখনো দেখেনি উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা আগে কখনো এমনভাবে বুফ ইফতার খাইনি। বুফে খেতে পেরে আমাদের অনেক ভাল লাগছে। পাশাপাশি এমন আয়োজন ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখার ইচ্ছা পোষন করেছে আয়োজকেরা।
শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান উচ্ছাস প্রকাশ করে বার্তা২৪.কমকে বলেন, লাইনে দাড়িয়ে নিজ হাতে যতটুকু দরকার ইফতার নিতে পেরেছি। অনেক ভাল লাগছে। এমনভাবে আমরা আগে কখনো খাইনি।
আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় এক্স ষ্টুডেন্ট এসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াসি উদ্দিন নাসিম বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রতি বছর আশ্রয় বিদ্যাপীঠ ও আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় এক্স স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন এর উদ্যোগে হতদরিদ্র ও আশ্রয়হীন লোকজনের জন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এই রমজানে এতিমখানা ও কয়েকটি মাদ্রাসার দরিদ্র শিক্ষাদের বুফে ইফতারের আয়োজন করা হয়। বুফে ইফতারে ১৪ ধরনের খাবার দেয়া ছিল। শিক্ষাথীরা তাদের পছন্দমত বিভিন্ন খাবার নিয়ে খোলা মাঠে বসে খেয়েছে। নিজ হাতে নিয়ে এই খাবার খাওয়ায় তারা তৃপ্তি পেয়েছে।
আশ্রয় বিদ্যাপীঠের উপদেষ্টা মো. জাফর আহমেদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ব্যতিক্রম আয়োজন নিয়ে আমরা প্রতিবছরই অসহায় ও নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে দাড়িানোর চেষ্টা করি। এবারও সেটাই করেছি। ভবিষ্যতে আমাদের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।
আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র সিবিএ এর সাধারণ সম্পাদক মো. এনামুল হক বলেন, কোরআনের হাফেজ হবেন যে বাচ্চারা তাদের সাথে খোলা মাঠে ইফতার করার মজাটাই আলাদা। মানসিক একটা তৃপ্তি এখানে। এই আয়োজন যারা করেছে তাদের আমি ধন্যবাদ জানাই।