কুমিল্লায় ভুল চিকিৎসায় যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ
-
-
|

ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজার থানা এলাকার বাশপট্রি বেড়ীবাঁধ, জোলাপট্রি, কিল্লার মোড় এলাকার চিহ্নিত চাদাবাজ মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ওরফে নান্নু ফকির (৪৫) ও তার ছেলে মো. আসাদকে (২২) আটক করেছে আজিমপুর সেনাক্যাম্পের সদস্যরা।
রোববার (১৬ মার্চ) রাতে চকবাজারের বাশপট্রি এলাকায় চাদাবাজি করা কালিন সময়ে হাতে নাতে আটক করা হয় নান্নু ও তার ছেলেকে। রাতেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৪৬ বিগ্রেডের আজিমপুর ক্যাম্পের এক কর্মকর্তা।
এ সময় তার কাছে চাঁদাবাজির ১৮ হাজার ৭০০ টাকা পাওয়া যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পতিত শেখ হাসিনার শাসনামলেও নান্নু এলাকার বিভিন্ন রিক্সার গ্যারেজ ও ফুটপাতের দোকানপাট থেকে চাঁদা আদায় করতো। পাঁচ আগস্টের পর নান্নু স্থানীয় এলাকার সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির সাবেক এক নেতা ছত্রছায়ায় চাদাবাজি করে আসছিলো।
রোববার সন্ধ্য্যায় চাঁদা আদায় কালে সেনাসদস্যরা তাকে আটক করে। রাতেই তাকে চকবাজার থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাবা-ছেলের বিরুদ্ধে চাদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়।
ছবি: বার্তা২৪.কম
দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করায় তারা যেতে পারে না বড় বড় বুফেতে। অনেকেই আবার বুফে খাবার কিভাবে নিতে হয় তাও জানে না তারা। নিম্ন আয়ের পরিবারের লোকজনের জন্য বুফে খাওয়া অনেকটাই ব্যয়বহুল ও কষ্টসাধ্য। মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যয়বহুল বুফে ইফতার খাওয়া স্বপ্নের মত। মাদ্রাসা ও এতিমখানার ৯০ জন শিক্ষার্থীকে এমন স্বপ্ন পূরন করে বুফের স্বাদ নেয়ার পরিবেশ করে দিয়েছে আশ্রয় বিদ্যাপীঠ ও আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় এক্স ষ্টুডেন্ট এসোসিয়েশন।
সোমবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের খোলা মাঠে আশ্রয় বিদ্যাপীঠ ও আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় এক্স ষ্টুডেন্ট এসোসিয়েশন এর উদ্যোগে এই বুফে ইফতারের আয়োজন করা হয়। তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৩ সালের ব্যাচ এতে অর্থ সহায়তা দেন। এতে অংশ নেন উপজেলার তিনটি মাদ্রাসা ও এতিমখানার ৯০ জন শিক্ষার্থী।
আয়োজকেরা জানান, ২০১৯ সাল থেকে হতদরীদ্র, অসহায় পরিবার ও পথশিশুদের পড়াশুনার জন্য ভ্রাম্যমান একটি স্কুল দিয়ে যাত্রা শুরু করে আশ্রয় বিদ্যাপীঠ নামে একটি সামাজিক সংগঠন। এর পরে করোনাকালীন সময়ে তারা প্রশাসনের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কাজে এগিয়ে আসে। এছাড়াও রক্তদান, রমজানজুড়ে ইফতার বিতরণ ও কোরবানির ঈদে মাংস সংগ্রহ করে তা গরীবদের মাঝে বিলিয়ে দেয়াসহ নানান সামাজিক কাজে এগিয়ে আসায় উপজেলাজুড়ে তাদের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। পাশাপাশি আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় এক্স ষ্টুডেন্ট এসোসিয়েশনও তাদের সাথে একাত্মতা পোষন করে কাজ করতে থাকে। তাদের আয়েজনে থাকে ব্যতিক্রমতা। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের খোলা মাঠে মাদ্রাসা ও এতিমখানার ৯০ জন শিক্ষার্থীদের জন্য বুফে ইফতারের আয়োজন করা হয়। ব্যতিক্রম আয়োজনে খেজুর, ফ্রাইড রাইস, চিকেন ফ্রাই, কোল্ড ড্রিংকস, ডিম চম, আলুর চপ, পিয়াজু, বেগুনি, তরমুজ, মাল্টা, আঙুর, বড়ই, শরবত ও পানিসহ ১৪ রকমের ইফতার তৃপ্তিসহ নিজের মত করে নিতে পেরে খুশি বাচ্চারা। এমন আয়েজনে কখনো দেখেনি উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা আগে কখনো এমনভাবে বুফ ইফতার খাইনি। বুফে খেতে পেরে আমাদের অনেক ভাল লাগছে। পাশাপাশি এমন আয়োজন ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখার ইচ্ছা পোষন করেছে আয়োজকেরা।
শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান উচ্ছাস প্রকাশ করে বার্তা২৪.কমকে বলেন, লাইনে দাড়িয়ে নিজ হাতে যতটুকু দরকার ইফতার নিতে পেরেছি। অনেক ভাল লাগছে। এমনভাবে আমরা আগে কখনো খাইনি।
আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় এক্স ষ্টুডেন্ট এসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াসি উদ্দিন নাসিম বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রতি বছর আশ্রয় বিদ্যাপীঠ ও আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় এক্স স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন এর উদ্যোগে হতদরিদ্র ও আশ্রয়হীন লোকজনের জন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এই রমজানে এতিমখানা ও কয়েকটি মাদ্রাসার দরিদ্র শিক্ষাদের বুফে ইফতারের আয়োজন করা হয়। বুফে ইফতারে ১৪ ধরনের খাবার দেয়া ছিল। শিক্ষাথীরা তাদের পছন্দমত বিভিন্ন খাবার নিয়ে খোলা মাঠে বসে খেয়েছে। নিজ হাতে নিয়ে এই খাবার খাওয়ায় তারা তৃপ্তি পেয়েছে।
আশ্রয় বিদ্যাপীঠের উপদেষ্টা মো. জাফর আহমেদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ব্যতিক্রম আয়োজন নিয়ে আমরা প্রতিবছরই অসহায় ও নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে দাড়িানোর চেষ্টা করি। এবারও সেটাই করেছি। ভবিষ্যতে আমাদের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।
আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র সিবিএ এর সাধারণ সম্পাদক মো. এনামুল হক বলেন, কোরআনের হাফেজ হবেন যে বাচ্চারা তাদের সাথে খোলা মাঠে ইফতার করার মজাটাই আলাদা। মানসিক একটা তৃপ্তি এখানে। এই আয়োজন যারা করেছে তাদের আমি ধন্যবাদ জানাই।
ছবি: সংগৃহীত
ভোলার মনপুরায় এক নারীকে ৪ যুবক মিলে রাতভর গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাতভর উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের পূর্বপাশে নতুন বেড়ীর পাশে খেজুর গাছের নিচে রাতভর এই গণধর্ষণের ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
শনিবার (১৫ মার্চ) সকাল ১০টায় ওই ধর্ষিতা নারী গণধর্ষণের অভিযোগে ৪ যুবকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে। পরে সকাল ১১ টায় মনপুরা থানার ওসি আহসান কবিরের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ২ যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। অপর ২ যুবক পলাতক থাকায় আটক করতে পারেনি পুলিশ।
আটকৃত দুই যুবক হলেন, উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নসু মাঝির ছেলে মোঃ শরীফ (২১), অপরজন হলেন ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানার পশ্চিম এওয়াজপুর গ্রামের বাসিন্দা আবুদল বারেক হাওলাদারের ছেলে মোঃ আকবর আলী (৩২)। মামলায় পলাতক অপর আসামীরা হলেন, রায়হান ও আল-আমিন।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত আনুমানিক ১০ টায় উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ছাত্তার মিয়ার বাড়ির নতুন বেড়ীর বাঁধের পূর্বপাশে খেজুর গাছের নিচে ৪ যুবক মিলে রাতভর গণধর্ষণ করে এক নারীকে। পরদিন শনিবার সকাল ১০ টায় ওই নারী মনপুরা থানায় গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ এনে চার যুবকের বিরুদ্ধে মামলা করে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুই আসামীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। অপর দুই আসামী পলাতক থাকায় পুলিশ ধরতে পারেনি।
ঘটনার বিষয়ে মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আহসান কবির জানান, চার যুবক মিলে এক নারীকে গণধর্ষণ করে। থানায় মামলা হওয়ার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার ২ আসামীকে আটক করেছে। পলাতক অপর ২ আসামীকে ধরতে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করছে।
ছবি: সংগৃহীত
যশোরের ঝিকরগাছায় খালা বাড়ি বেড়াতে এসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক তরুণী (১৯)।
রোববার (১৬ মার্চ) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী ইউনিয়নের পটুয়াপড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীকে উদ্ধার করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সন্ধ্যার দিকে আটক করা হয়ছে চার ধর্ষককে। তাদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দুইজন নেতা রয়েছেন।
আটকরা হলেন, গদখালী ইউনিয়নের পটুয়াপাড়া গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে ইয়াসিন আরাফাত (২২), জাকির হোসেনের ছেলে জাবেদ হোসেন (২৮), শরিফুল ইসলামের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন বাপ্পী (২১) ও উজ্জল হোসেনের ছেলে আমিনুর রহমান (২০)।
আটকদের মধ্যে আব্দুল্লাহ আল মামুন বাপ্পি গদখালী ইউনিয়ন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এবং ইয়াসির আরাফাত দপ্তর সম্পাদক।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ওই নারী বেনাপোল খালাবাড়ি থেকে বাসে করে এসে গদখালী বাজারের ফুল ব্যবসায়ী আমিনুর রহমানের দোকানে গেলে সেখানে ওই চার যুবকের সাথে পরিচয় হয়। তারা পটিয়ে তাকে পটুয়াপাড়ার একটি লিচু বাগানে নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করেন।
ঘটনার পর ৯৯৯ নাম্বারে ফোন পেয়ে ঝিকরগাছা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করেন। পরে সন্ধ্যায় মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে উপরোক্ত চারজনকে আটক করে পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুর ই আলম সিদ্দিকী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, যশোর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পী জানিয়েছেন, তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ হিসেবে ধর্ষণের ঘটনায় আটক দুই ছাত্রদল নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।