কুমিল্লায় ভুল চিকিৎসায় যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা নগরীর একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। নিহত ইমরান হোসেন (২১) কুমিল্লা নগরীর ১৪ নং ওয়ার্ড ২য় মুরাদপুর এলাকার দুবাই প্রবাসী হুমায়ুন মিয়ার ছেলে। 
রোববার (১৬ মার্চ) রাতে কুমিল্লা নগরীর নজরুল অ্যাভেনিউ এলাকার ট্রমা হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই নিহতের আত্মীয় স্বজনেরা ভুল চিকিৎসায় মারা গেছে দাবি তুলে হাসপাতালে ভাঙচুর করে। 
নিহতের স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, ইমরান হোসেন দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলো। পরে, কুমিল্লা নগরীর ট্রমা হাসপাতালে ডা. আতাউর রহমানের কাছে চিকিৎসা নিয়ে আসলে চিকিৎসক ইমরানকে সার্জারি করার পরামর্শ দেন। পরে, শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকাল আটটায় সার্জারি করার উদ্দেশ্যে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। চার ঘণ্টার অপারেশনের সময়ের কথা জানালেও অপারেশন সম্পন্ন হয় সাত ঘণ্টায়। পরে, রোগীর অবস্থায় অবস্থার অবনতি হলে রোগীকে ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। পরে, ঘটনার দিন রবিবার বিকালে রোগীর কোনো সাড়া শব্দ না পাওয়ায় রোগীর স্বজনরা রোগী মারা গেছে দাবি করলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীকে লাইফ সাপোর্টে নেয়ার কথা বলে। বিকাল পার হয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগী মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলে নি। বরং রোগীকে আরো পরীক্ষা নিরিক্ষা ও ঔষধ আনায় রোগীর স্বজনদের দিয়ে।
নিহত ইমরানের চাচা জাকির হোসেন বলেন, আমার ভাতিজাকে তারা সামান্য অপারেশনের কথা বলেছিলো। কিন্তু, তারা সাত ঘণ্টা ওটি তে রেখেছিলো। পরে রোগীর সমস্যা হয়েছে এ কথা বলে লাইফ সাপোর্টে নেওয়ার কথা বলে। আমরা রাজি হই। কিন্তু লাইফ সাপোর্টে নেওয়ার পর প্রায় ৩ দিন হয়ে গেলেও তারা আমাদের রোগীকে দেখতে দেয় নি। পরে নানা অযুহাতে আইসিউতে ঢুকে দেখি যে আমাদের রোগী মৃত। কিন্তু তারপরেও তারা আমাদের কাছ থেকে মৃত রোগীর চিকিৎসা করানোর জন্য পরীক্ষা ফি ও ঔষধ কিনিয়েছে আমাদেরকে দিয়ে। তারা আমাদেরকে ২৫ হাজার টাকার অপারেশনের কথা বলে তারা আমাদের কাছ থেকে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা নেয় ধাপে ধাপে। একজন রোগীর ৩ দিনে লাখ টাকার ঔষধ কিভাবে লাগে। তাদের গাফিলতির কারণে আমাদের রোগী মারা গেছে। আমরা এর বিচার চাই। 
এদিকে, রোগী মারা যাওয়ার খবর জানাজানি হলে বিক্ষুদ্ধ স্বজনেরা হাসপাতাল ভাঙচুর করে। এ ঘটনার পরপরই সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে ঘটনাস্থলের নিয়ন্ত্রণ নেন। 
এ বিষয়ে জানতে কুমিল্লা ট্রমা হাসপাতালের পরিচালক আবদুল হককে একাধিকবার কল দিলেও তাকে পাওয়া যায় নি। 
কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা. আলী নূর মো. বশির আহমেদ বলেন, আমি এই বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলে আমি এর তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।