ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের শারীরিক অবস্থার উন্নতি নেই। তার অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হলেও শারীরিক অবস্থার কারণে সেটি করা সম্ভব হচ্ছে না।
শুক্রবার (৭ মার্চ) বেলা ১১টায় ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের ডা. নজরুল হোসেন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞাপন
ডা. নজরুল হোসেন বলেন, স্যারের ব্লাড প্রেসার ঠিক আছে। রক্ত দেওয়ার পর প্ল্যাটিলেট কাউন্ট এক লাখের বেশি। ইউরিন আউটপুট স্বাভাবিক এবং হার্টের অবস্থা ঠিক আছে। কিন্তু ব্রেইনের অবস্থা গত রাতের চেয়ে কিছুটা অবনতি হয়েছে। প্রায় কোন রেসপন্স পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে অপারেশনের প্রস্তুতি নেওয়া যাচ্ছে না। ব্রেইনের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে অপারেশনের প্রক্রিয়া করা যাবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে আরেফিন সিদ্দিক ব্যাংক থেকে টাকা তোলেন। তরপর আনুমানিক দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা ক্লাবের বেকারিতে কেনাকাটা করতে গিয়ে পড়ে যান তিনিক। তাৎক্ষণিক তাকে বারডেমে আনা হয়। এখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানা যায়, তিনি মাথায় আঘাত পেয়েছেন এবং স্ট্রোক করেছেন।
বিজ্ঞাপন
তখন তাকে নিউরো সায়েন্স ইউনিটের আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়।
ব্রহ্মপুত্র নদের ধু-ধু বালু চরে দূর থেকে দেখে মনে হবে সাদা কোন ফুলের বাগান। কিন্তু কাছে গিয়ে একটু ভালো করে খেয়াল করলে দেখা যাবে সেটি ফুলের বাগান নয়, কলি থেকে বের হয়ে আছে তুলা বা কৃষকের ভাষার সাদা সোনা। সে তুলা সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছে ময়মনসিংহের কৃষকরা। এবার তুলা চাষে বাম্পার ফলনে খুশি চাষিরা।
ময়মনসিংহ তুলা উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায় ময়মনসিংহ জুনের আওতায় ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, টাঙ্গাইল জেলায় তুলা চাষ করা হয়েছে। চলতি ২০২৪-২৫মৌসুমে তুলা উন্নয়ন বোর্ড ময়মনসিংহ জোনে ২ হাজার ৯৫ হেক্টর জমিতে তিন হাজার ৭২৫ জন কৃষকের মাধ্যমে তুলা চাষ করছে।
মাঠ জুড়ে তুলা চাষ
এ বছর সিবি হাইব্রিড-১, সিবি-১২, সিবি-১৩ -১৪সহ বিদেশি কোম্পানির সুপ্রিম সিট হোয়াটগোল-১, ২ ও রূপালি-১, ইস্পাহানি কোম্পানির শুভ্র- ৩, লাল তীর কোম্পানির ডিএম-৪ জাতের তুলা চাষ করা হয়েছে।
প্রতি বিঘা জমিতে তুলা উৎপাদন হয় ১৫ থেকে ১৬ মণ। প্রতিমণ তুলার মূল্য ৪ হাজার টাকা। প্রতি বিঘা জমিতে চাষাবাদের খরচের পরও কৃষকরা ৪৫ হাজার টাকা মুনাফা পাচ্ছে।
ময়মনসিংহ জুনের গফরগাঁও উপজেলার ব্রহ্মপুত্রের চরাঞ্চল ঘুরে দেখা যায় তুলা চাষিরা গাছ থেকে তুলা সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছে। তুলা গাছ থেকে তুলা সংগ্রহের পর তা বস্তায় করে সরাসরি চলে যাবে কারখানায়, তৈরি হবে সার্জিক্যাল গজ-ব্যান্ডেজ। বীজ থেকে তৈরি হবে ভোজ্যতেল, খইল, জ্বালানি উপজাতও পাওয়া যায়।
আবার একই জমিতে সাথী ফসল হিসেবে লাল শাক, লাউ শাক বাদামসহ বিভিন্ন শাক-সবজি ও মসলা জাতীয় ফসল চাষ করেও বাড়তি আয় করছে কৃষকরা। নিস্ফলা জমিতে তুলা চাষ করায় একদিকে যেমন জমির সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে কৃষকরা বেশ টাকা পাচ্ছেন, তাদের পরিবারে আসছে স্বচ্ছলতা। তবে তুলা উত্তোলনে শ্রমিক সংকট থাকায় তুলা উত্তোলনের জন্য মেশিন চায় চাষিরা।
তুলা সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা
প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ তুলা বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। তুলা এ দেশে উৎপাদন করতে পারলে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করা সম্ভব। জলবায়ুসহনশীল এ তুলা চাষে বেশি লাভ পাওয়ায় ময়মনসিংহে বড় ও মাঝারি শ্রেণির কৃষকরা তুলা চাষে ঝুঁকছেন।
চরআলগী ইউনিয়নের তুলা চাষি আনিসুর রহমান বলেন, তুলা একটি লাভবাবন ফসল। এ বার তুলার বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে শ্রমিকের সংকট রয়েছে। আগামীতে আরও বেশি পরিমাণ জমিতে তুলা চাষাবাদ করবো।
কলি থেকে বের হয়ে আছে তুলা
চরআলগী ইউনিয়নের জয়ার চরের জালাল উদ্দিন বলেন, সরকারি সহায়তায় গত ৪ বছর ধরে তুলা চাষ করেছি। এ বছর তুলার ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তুলা চাষ করে আমি মোটামুটি লাভবান। গাছ থেকে তুলা উঠানোর শ্রমিক সংকট রয়েছে। এজন্য তুলা উন্নয়ন কতৃপক্ষের কাছে আমাদের দাবি তুলা উঠানোর একটা মেশিন যেন প্রদান করা হয়।
তুলা উন্নয়ন বোর্ডের মাইজহাটি কটন ইউনিট কর্মকর্তা সরকার নাজমুল ইসলাম জানান, চরাচঞ্চলের কৃষকদের উন্নয়নের জন্য প্রদর্শনী ও প্রণোদনা দেওয়া হবে। প্রদর্শনীর মাধ্যমে বিনামূল্যে সার ও বীজ দেওয়া হয়। এবং সাধারণ চাষিদের জন্য বিভাগীয় লোনের ব্যবস্থা আছে। আমাার এরিয়াতে ৬৯ একর জমিতে তুলা চাষাবাদ হয়েছে। এবার তুলার খুব ভালো ফলন হয়েছে।
তুলার বাম্পার ফলন
তুলা উন্নয়ন বোর্ড, ময়মনসিংহ জুনের প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা খালেদা ইয়াসমিন জানান, ময়মনসিংহ জুনে এ বছর ২ হাজার ৯৫ হেক্টর জমিতে ৩ হাজার ৭২৫ জন কৃষক তুলা চাষ করছে। এবার তুলার ফলন ভালো হয়েছে। ২০২৪-২৫ মৌসুমে তুলা চাষিদের সরকারি প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে। প্রণোদনা প্রদানের ফলে চাষিদের মধ্যে তুলা চাষে আগ্রহ বেড়েছে। আশা করছি আগামী বছরে ময়মনসিংহ জুনে তুলার ফলন দ্বিগুন হারে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছি।
বায়ুদূষণে বিশ্বের ১২৩টি শহরের মধ্যে ঢাকার মান অষ্টমে নেমে এসেছে। যেখানে গেল শনিবার (৮ মার্চ) দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল বাংলাদেশের জনবহুল রাজধানী ঢাকা।
রবিবার (৯ মার্চ) সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে একিউআই সূচকে ঢাকার গড় বায়ুর মান ১৬৭। বায়ুর এই মানকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে ধরা হয়। গতকাল এ সময় বায়ুর মান ছিল ১৯৬। সে হিসেবে বাতাসের মান বাড়লেও আজও অস্বাস্থ্যকর রাজধানী ঢাকার বাতাস। চীনের বেইজিং, ভারতের দিল্লি ও নেপালের কাঠমান্ডু শহর যথাক্রমে ২২৮, ২১৯ ও ১৯৫ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, দ্বিতীয় ও চতুর্থ স্থান দখল করেছে।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকে, তখন তাকে ‘ভালো’ বিবেচনা করা হয়ে থাকে। এরপর একিউআই সূচক ৫১ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে ‘মাঝারি’ এবং ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
সূচক ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এখানকার বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে বেশি অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণের ফলে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদ্রোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার ও শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।
রাজবাড়ীতে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর অভিযান চালিয়ে পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন ও সংরক্ষণ না করা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য উৎপাদন ও সংরক্ষণ করার অপরাধে দুই প্রতিষ্ঠানকে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
রোববার (৯ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর রাজবাড়ী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক কাজী রকিবুল হাসান।
এর আগে শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সদর উপজেলার গোয়ালন্দ মোড় ও কুটিরহাট বাজারে এই অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা করা হয়।
জানা গেছে, পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে রাজবাড়ী সদর উপজেলার গোয়ালন্দ মোড় ও কুটিরহাট বাজারে তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ সময় পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন ও সংরক্ষণ না করা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য উৎপাদন ও সংরক্ষণ করার অপরাধে গোয়ালন্দ মোড়ের মামা ভাগিনা কাবাব ঘরকে ১২ হাজার টাকা ও কুটিরহাট বাজারের মেসার্স কায়ান ট্রেডার্সকে পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন ও সংরক্ষণ না করা এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করার অপরাধে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযানে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর রাজবাড়ী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক কাজী রকিবুল হাসান, জেলা নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক সূর্য কুমার প্রামাণিকসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর রাজবাড়ী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক কাজী রকিবুল হাসান জানান, জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বাল্যবিয়ে হয়েছে এমন দেশের তালিকায় অষ্টম অবস্থানে বাংলাদেশ। আর এ তালিকায় এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সবার উপরে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ।
শনিবার (৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ইউনিসেফ, ইউএন উইমেন ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল প্রকাশিত ‘গার্লস গোলস: হোয়াট হ্যাজ চেঞ্জড ফর গার্লস? অ্যাডোলেসেন্ট গার্লস রাইটস ওভার ৩০ ইয়ার্স’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে কিশোরী মেয়েদের ক্ষমতায়নে বিনিয়োগ ও নীতি পরিবর্তনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে, মেয়েদের জন্য অনেক ক্ষেত্রে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। শিক্ষায় বিনিয়োগের সুফল এসেছে, মেয়েদের স্বাস্থ্য সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রেও উন্নতি হয়েছে। এখন কন্যাশিশুরা আগের তুলনায় তেমন একটা বাল্যবিবাহের শিকার হয় না কিন্তু বাংলাদেশের মতো বিভিন্ন দেশ এখনও এই ক্ষেত্রে বেশ পিছিয়ে। বাংলাদেশে ৫০ শতাংশের বেশি কন্যাশিশু এই ক্ষতিকর চর্চার শিকার হচ্ছে, বাল্যবিয়ের এই হার এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বাল্যবিবাহের দেশের তালিকায় অষ্টম অবস্থানে বাংলাদেশ। আর এশিয়ায় প্রথম। বাংলাদেশে ২০-২৪ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে ৫১ দশমিক ৪ শতাংশের বিয়ে হয়েছে ১৮ বছর হওয়ার আগে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ২০-২৪ বছর নারীদের মধ্যে ২৪ শতাংশ নারী ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই সন্তান জন্ম দেয়। তা ছাড়া ১৫-১৯ বছর বয়সী কিশোরী-তরুণী মেয়েদের ২৮ শতাংশ আগের ১২ মাসের মধ্যে তাদের সঙ্গীর দ্বারা শারীরিক বা যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছে। ১৫-১৯ বছর বয়সী বিবাহিত মেয়েদের মধ্যে মাত্র ৪৭ শতাংশ জেনেবুঝে প্রজনন স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
বিশ্বের যে সাতটি দেশে কিশোরী মেয়ে ও তরুণ নারীদের ডিজিটাল দক্ষতার হার ২ শতাংশ বা তারও কম তার মধ্যে বাংলাদেমের নাম থাকার বিষয়টি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে ।
ইউনিসেফ জানায়, ১৯৯৯ বেইজিং ঘোষণায় যেসব অঙ্গীকার করা হয়েছিল, ৩০ বছর পরে এসে সেসব অঙ্গীকার বাস্তবায়নে দেশগুলো কতটা অগ্রগতি অর্জন করেছে, তার পর্যালোচনা করা হয়েছে এই প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে বিশেষভাবে উদ্বেগ জানিয়ে বলা হয়েছে, কোনও দেশই কিশোরী বয়সী মেয়েদের উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ১৬টি এসডিজি লক্ষ্যের অর্ধেকও পূরণ করতে পারেনি। সেকারণে ২০৩০ এসডিজি এজেন্ডা অর্জনের জন্য আর মাত্র পাঁচ বছর বাকি থাকায় এক্ষেত্রে নতুন করে গুরুত্ব আরোপ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, বাংলাদেশে কিশোরী মেয়েরা একটি অপার সম্ভাবনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে চায়, যেখানে তারা নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা পাবে এবং দেশের উন্নতিতে সহযোগিতা করতে পারবে।
তিনি সরকারের প্রতি কিশোরীদের স্বাস্থ্য সেবা, সমাজকর্মী বা সমাজকল্যাণমূলক কাজে নিয়োজিত জনবল আরও শক্তিশালী করা, শিক্ষা ও পুষ্টিতে বিনিয়োগ করা এবং সব মেয়েদের জন্য জীবন দক্ষতা অর্জন ও ডিজিটাল শিক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।