শিক্ষা সফরের বাস ডাকাতি; গ্রেফতার আরও ২
-
-
|

ছবি: সংগৃহীত
টাঙ্গাইলে ঘাটাইলে শিক্ষা সফরগামী ৩টি বাসে ডাকাতির ঘটনায় আরো দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিংকালে এ তথ্য জানান। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে একটি লুণ্ঠিত মোবাইল ফোন এবং ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি পিকআপ গাড়ি উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে পুলিশ এ ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, প্রথমে লুণ্ঠিত মালামালসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে। তারা স্থানীয় ডাকাত হিসেবে পরিচিত। গ্রেফতারকৃতদের ভিকটিমের মাধ্যমে যাচাই করে এ ঘটনায় জড়িত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে ২৭ ফেব্রুয়ারি গাজীপুর সদর এবং বাসান এলাকা থেকে ঘটনায় জড়িত আরও দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি লুণ্ঠিত মোবাইল ফোন এবং ডাকাতিতে কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত দুই জন বর্তমানে পুলিশের রিমাণ্ডে রয়েছেন। অন্য ৪ জন টাঙ্গাইল কারাগারে আছেন।
তিনি আরও বলেন, ঘটনায় জড়িত অন্য ৫ জনকে শনিবার পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া থানায় একটি বাড়িতে ডাকাতি ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে। তাদেরকে শীঘ্রই টাঙ্গাইলে আনা হবে।
উল্লেখ্য,গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ভোর পৌনে ৪টার ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলাার সোয়াইতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা শিক্ষা সফরের জন্য চারটি বাস নিয়ে নাটোরের গ্রীনভ্যালি পার্কের উদ্দেশ্য রওনা দেন। চারটার দিকে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাগরদীঘি ইউনিয়নের লক্ষণের বাধা এলাকায় পৌঁছালে রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে বাস থামায় একদল ডাকাত। পরে ১০/১২ জনের একটি ডাকাত দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ৩টি বাসের থাকা শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট করে। পরে বাসের যাত্রী জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে ঘটনাস্থলে পুলিশ যাওয়ার আগেই ডাকাত দল পালিয়ে যায়। ডাকাতরা নগদ দেড় লাখ টাকা, এক ভরি স্বর্ণ, ১০টি স্মার্টফোন লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মারধরের শিকার হয়েছেন ওই বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর সাখাওয়াত হোসাইন রবিন ও অভিভাবক শহিদুল্লাহ তালুকদার। এসময় কয়েকজন শিক্ষার্থী অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাদি হয়ে অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন।