১৩তম দিন: গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচি
-
-
|

গ্রামীণ ব্যাংকের চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদের চাকরি স্থায়ীকরণসহ ৫ দাবি
চাকরি স্থায়ীকরণসহ পাঁচ দফা দাবি পূরণে ১৩ দিন ধরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে গ্রামীণ ব্যাংক চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী পরিষদ।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের অবস্থান কর্মসূচি থেকে কর্মচারীরা তাদের দাবিগুলো তুলে ধরেন।
দাবিগুলো হলো-
অবিলম্বে গ্রামীণ ব্যাংকে কর্মরত দৈনিক ভিত্তিক পিয়ন কাম গার্ড হিসেবে কর্মরত সব কর্মীকে গ্রামীণ ব্যাংকের নিয়োগ বিধি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের বিধি অনুযায়ী স্থায়ীকরণ করতে হবে, দাবি আদায়ের আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে যে সব কর্মীকে চাকরিতে যোগদানে বাধা প্রদান করা হচ্ছে এবং ছাঁটাই করা হয়েছে তাদেরকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিয়ে চাকরিতে যোগদান এবং স্থায়ীকরণ করতে হবে, বাংলাদেশের শ্রম আইন অনুযায়ী বেতন ভাতা, বোনাস, কর্মঘণ্টা, সাপ্তাহিক ছুটিসহ যাবতীয় সুবিধাদি প্রদান করতে হবে/ বাংলাদেশ ব্যাংক ও গ্রামীণ ব্যাংকের চাকরি বিধি অনুযায়ী প্রভিডেন্ট ফান্ড, পেনশন ও গ্র্যাচুইটিসহ সামাজিক নিরাপত্তার যাবতীয় সুবিধা প্রদান করতে হবে, এবং নিয়োগ বিধি অনুযায়ী দৈনিক ভিত্তিক পিয়ন কাম গার্ড পদের কর্মীদের উল্লেখিত ৯ মাস কর্মরত থাকার পর হতে স্থায়ী কর্মী হিসেবে গণ্য করে বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে যথোপযুক্ত বকেয়া বেতন-ভাতাদি প্রদান করতে হবে।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, আমাদের দাবি যৌক্তিক। আমরা ১৩ দিন ধরে দাবি পূরণে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছি। আমাদের দাবি মেনে না নেয়া হলে আমরা আগামীতে আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।
বক্তারা আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গ্রামীণ ব্যাংকে কর্মরত দৈনিক ভিত্তিক পিয়ন কাম-গার্ড হিসেবে তিন হাজারের অধিক কর্মী কর্মরত আছি। বাংলাদেশের শ্রম আইন অমান্য করে এবং গ্রামীণ ব্যাংক তার নিজের তৈরি আইন না মেনে আমাদেরকে ৩২ বছর ধরে অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। নিয়োগ বিধি অনুযায়ী ৯ মাস পর চাকরি স্থায়ীকরণ করার কথা বলা থাকলেও আমাদের ক্ষেত্রে এই বিধান মানা হচ্ছে না। আমরা গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তা দ্বারা হয়রানি, কারণ ছাড়াই ছাঁটাই, কাজে যোগদানে বাধা, বিনা বিশ্রামে কাজ করতে বাধ্য করাসহ নানা ধরনের অমানবিক আচরণের শিকার হচ্ছি।
তারা বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ফলে দেশে আজ নতুন সরকার এসেছে, কিন্তু আমরা যারা গ্রামীণ ব্যাংকে চাকরি করি তারা সেই আগের মতোই বৈষম্যের শিকার হয়ে আছি। আমাদের দাবি মেনে নেয়ার জন্য গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠাতা প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূসের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।
অবস্থান কর্মসূচিতে এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি মো: আলাউদ্দিন আল মামুন, সহ-সভাপতি জসীম উদ্দিন, মো: আশিকুল ইসলাম, আনোয়ার মনসুর ভুইঁয়া, আপেল মন্ডল, প্রচার সম্পাদক তরিকুল ইসলাম তারেক প্রমুখ।