ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

সারাদেশে ধর্ষণ, নারী নিপীড়ন, চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বেড়ে যাওয়ায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। দাবি আদায় না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার পর ঠাকুরগাঁও জেলা স্কুলের বড় মাঠ থেকে শত শত শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলটি চৌরাস্তা হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়। কিন্তু জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সাক্ষাৎ না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা পরে ঠাকুরগাঁও জেলা স্কুলের সামনে এসে রাস্তা অবরোধ করেন।

বিজ্ঞাপন

শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের কারণে শহরের প্রধান সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ সময় শিক্ষার্থীরা সেখানে অবস্থান নিয়ে নানা স্লোগান দিতে থাকেন। তারা বলেন, দেশে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে, কিন্তু অপরাধীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পার পেয়ে যাচ্ছে।

সুজানা নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, “প্রতিদিন খবরের কাগজ খুললেই ধর্ষণের ঘটনা চোখে পড়ে। কিন্তু আমরা কি দেখছি? বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অপরাধীরা আইনের ফাঁক গলে বেরিয়ে যাচ্ছে। আমরা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আজ রাস্তায় নেমেছি। আমরা চাই, ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।”

বিজ্ঞাপন

আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “শুধু রাজধানী নয়, সারাদেশেই নারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ঠাকুরগাঁওয়ের মতো ছোট শহরেও ইভটিজিং, যৌন হয়রানি বেড়ে গেছে। আমরা চাই, প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নিক। অন্যথায় আমরা আরও বড় আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।”

শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধের কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান।

দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটের দিকে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইসরাত ফারজানা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা শিক্ষার্থীদের দাবি শোনেন এবং আশ্বস্ত করেন যে, প্রশাসন নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে কঠোর পদক্ষেপ নেবে।

শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। পথচারীরা শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেন এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। এক অভিভাবক বলেন, “শিক্ষার্থীরা আজ যে দাবিতে রাস্তায় নেমেছে, তা শুধু তাদের একার নয়। আমাদের সন্তানদের নিরাপত্তার জন্যই প্রশাসনকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।”