‘জাতীয় ঐক্যবোধ সৃষ্টিতে কবি আল মাহমুদের কবিতা লালন করতে হবে’

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বাংলা অ্যাকাডেমির সভাপতি আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, কবি আল মাহমুদ ছিলেন আধুনিক বাংলা কবিতার একজন মহান কবি। যিনি অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন ভাষায় মানবজীবনসহ দেশ, সমাজ, সাহিত্য এবং জাতি সত্তাকে তুলে ধরেছেন। তার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থেকেই তার জীবনী সম্পর্কে সকলকে জানতে হবে। বিশেষ করে বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ ও সুন্দর জাতি রুপে গড়ে তুলতে এবং জাতীয় ঐক্যবোধ সৃষ্টি করতে আল মাহমুদের কবিতাকে সংরক্ষণ করতে হবে। এসময় তিনি কবি আল মাহমুদের জীবনী রচনা ও স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য তরুণ লেখকদের প্রতি আহ্বান জানান।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি “কবি আল মাহমুদের” ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলা অ্যাকাডেমির সভাপতি আবুল কাসেম ফজলুল হককে “সোনালি কাবিন” পদক প্রদান করা হয়েছে। এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি আরো বলেন, তিনি আরো বলেন, একজন লেখকের জীবনে নানান পরিবর্তন ঘটতে পারে। তবে তিনি কবি হিসেবে কেমন কবিতা লিখেছেন সেটা বিচার্য। ত্রুটি বিচ্যুতি সবার মধ্যে থাকতে পারে। তবে কবি আল মাহমুদের ত্রুটি বিচ্যুতির তুলনায় তার গুণ ছিল অনেক বড়। ছোট ত্রুটি বিচ্যুতি একজন লেখকের বড় গুণকে ম্লান করতে পারে না।

বিজ্ঞাপন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত শহরের নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তিনদিন ব্যাপী স্মরণোৎসবের সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি ছিলেন কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন কবি মহিবুর রহিম। সংগঠনের সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদত এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কবি জয়দুল হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, কবি ও গবেষক মো. নিজাম উদ্দিন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, কবি আল মাহমুদ ১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মৌড়াইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করেন।