পিরোজপুরে ইউএনও’র সীল ও স্বাক্ষর জালিয়াতি
-
-
|

ছবি: সংগৃহীত
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার তাফালবাড়িয়া হাসানিয়া আলিম মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মাওলানা জাকারিয়ার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) স্বাক্ষর ও সীল জালিয়াতি করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থেকে ওই শিক্ষক আত্মগোপনে রয়েছেন। এ ঘটনায় মঠবাড়িয়া থানায় বুধবার রাতে মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল কাইয়ূম।
জানা গেছে, মাদ্রাসাটির ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ের প্রভাষক মো. আলমগীর হোসেন মাদ্রাসায় অনুপস্থিত থাকায় দীর্ঘদিন ধরে বিল বেতন বন্ধ রয়েছে। ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর সরকারি নিয়মে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বে রয়েছেন মাওলানা জাহাঙ্গীর হোসেন।
এ বছরের জানুয়ারি মাসের শিক্ষক কর্মচারীদের বিল উত্তোলন করা হয়েছে। কিন্তু প্রভাষক আলমগীর হোসেনের বিল বন্ধ রয়েছে। তার বন্ধ বিল প্রতারণা, জাল জালিয়াতি ও অসদুপায় অবলম্বন করে উত্তোলনের চেষ্টা চালায় সহকারী মৌলভী জাকারিয়া। একপর্যায়ে বাংলা প্রভাষক মাসুম গাজীর যোগসাজশে সহকারী মৌলভী জাকারিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল কাইয়ূম ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা জাহাঙ্গীর হোসেনের স্বাক্ষর ও সীল জালিয়াতি করে রোববার সোনালী ব্যাংক মঠবাড়িয়া শাখায় জমা দেয়। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিস থেকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে বিল পরিশোধ না করে বিল কাগজ আটকে রাখতে বলা হয়। বিষয়টি টের পেয়ে প্রতারণার সাথে জড়িত ওই শিক্ষক ব্যাংক থেকে পালিয়ে যায়।
প্রভাষক আলমগীর হোসেন জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) স্বাক্ষর ও সীল জালিয়াতি এটি আমার জানা নেই কমিটির লোকজন জানে। তবে আমার কিছু বিল বকেয়া ছিল।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, সহকারী মৌলভী জাকারিয়ার মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসার বিল কাগজ ব্যাংকে জমা দিয়ে আসছি। জালিয়াতির এ ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত।
এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল আল মামুন জানান, ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে তিনি বলেন তাফালবাড়িয়া হাসানিয়া আলিম মাদ্রাসার ৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের স্বাক্ষর ও সীল জালিয়াতি বিষয়ে মামলা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল কাইয়ূম জানান, আমার স্বাক্ষর ও সিল নকল সোনালী ব্যাংক মঠবাড়িয়া শাখায় বিলের জন্য জমা দেন। বিষয়টি নজরে আসার সাথে সাথে তিনজনের বিরুদ্ধে আমি থানায় মামলা দায়ের করেছি।