যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে তামাকের ব্যবহার শূন্যের কোটায় নামাতে হবে

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

যক্ষ্মা একটি সংক্রমিত রোগ। বর্তমানে বাংলাদেশের মোট প্রায় ৩ লাখ ৭৯ হাজার জন যক্ষ্মা রোগী রয়েছে। বছরে প্রতি লাখ যক্ষ্মা রোগীর মধ্যে ৪২ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যায়। যক্ষ্মা বেশি আক্রান্ত করে মানব দেহের ফুসফুসকে। তামাক ব্যবহার ফুসফুসকে দুর্বল করে। যক্ষ্মা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া রোগীদের মধ্যে ২০ শতাংশের বেশি মৃত্যুর কারণ তামাক ব্যবহার। তাই কার্যকরভাবে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ করতে হলে তামাকের ব্যবহার শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে হবে।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের শহীদ মিলন মিলনায়তনে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব) আয়োজিত 'যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে তামাক বর্জন কর্মসূচি অন্তর্ভুক্ত করণ' শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

সভায় বক্তারা বলেন, তামাক সেবনের ফলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। যা নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তাছাড়া পরোক্ষ ধূমপান যক্ষ্মা ঝুঁকি বাড়ায় বিশেষ করে শিশুদের। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ধূমপানের কারণে যক্ষ্মা চিকিৎসায় ভালো সাড়া পাওয়া যায় না। ধূমপান পুনরায় যক্ষ্মা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

তারা বলেন, স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় কমিয়ে আনতে এবং লাখ লাখ মানুষের তামাক জনিত মৃত্যু কমিয়ে আনতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং এ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি। এক্ষেত্রে সকল বয়সের, সকল শ্রেণি পেশার মানুষ কে এগিয়ে আসতে হবে। তবে আমাদের আগামীর বাংলাদেশ হবে যক্ষ্মা ও তামাক মুক্ত বাংলাদেশ।

বিজ্ঞাপন

নাটাবের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ডা. সামনুন এফ তাহা এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ব স্বাস্থ্য) শেখ মোমেনা মনি।

এছাড়াও সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল এর মহাপরিচালক মো: আকতারুজ্জামান এবং ন্যাশনাল টিবি প্রোগ্রাম এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা.জাহাঙ্গির কবির।

সভায় বক্তব্য রাখেন ভাইটাল স্ট্র্যাটেজি এর সিনিয়র কারিগরি পরামর্শক সৈয়দ মাহবুবুল আলম তাহিন সহ যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে কার্যরত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও তামাক বিরোধী সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নাটাবের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর উম্মে আজাদ লিপি।