চালক ঘুমে, ট্রেন ছাড়লো ২ ঘণ্টা পর

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সিলেটে ট্রেনের চালক ঘুমে থাকায় নির্ধারিত সময়ের ২ ঘণ্টা পর ট্রেন ছেড়েছে। সোমবার(১৭ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে সিলেট রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল কালনী এক্সপ্রেস ট্রেন। কিন্তু সেই ট্রেনের চালক নিদ্রা(ঘুমে) থাকায় ঘোষণা দুই ঘণ্টা পর ট্রেন ছেড়ে যাবে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। আর তাই যাত্রীরাও তখন অনেকটা ক্ষিপ্ত হয়ে শুরু করেন হট্টগোল। এক পর্যায় যাত্রীদের তোপের মুখে সকাল সাড়ে ৮ টায় কালনী এক্সপ্রেস সিলেট স্টেশন ছেড়ে যায়।

কর্তৃপক্ষ বলছে, ট্রেন দেরিতে এসেছিল তাই দেরিতে ছেড়ে গেছে। চালক বিশ্রামে থাকায় এই ঘটনা ঘটেছে বলেও স্বীকার করেছেন।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, সোমবার ভোর থেকে সিলেটের বিভিন্ন স্থান থেকে যাত্রীরা রেল স্টেশনে আসতে শুরু করেন। সকাল ৬টা ১৫ মিনিটের সময় কালনী এক্সপ্রেসের ট্রেন ধরতে যাত্রীরা স্টেশনে পৌঁছালেও যেতে পারেননি ওই সময়ে। ট্রেন না ছাড়ায় বেশ কয়েকজন যাত্রী ট্রেন থেকে নেমে কন্ট্রোল রুমে গিয়ে জিজ্ঞেস করেন কেন ট্রেন ছাড়ছে না। তখন কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি যাত্রীদের জানান ট্রেনের চালক ঘুমে। চালক ঘুম থেকে ১০টায় উঠবেন তারপর ট্রেন ছাড়া হবে। তার এই কথা শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন যাত্রীরা।

তাৎক্ষণিক এক ঘটনায় আলীম উদ্দিন নামের এক ট্রেন যাত্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লাইভ দেন।

বিজ্ঞাপন

লাইভে দেখা যায়, আলীম উদ্দিনসহ অন্যান্য যাত্রীরা কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করছেন ট্রেন দেরিতে ছাড়ার কারণ। তখন কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি জানান চালক ঘুমে। এরপর ট্রেন থেকে অন্যান্য যাত্রীরা নেমে এসে কন্ট্রোল রুমের পাশে হট্টগোল শুরু করেন। চালকে কেন ঘুম থেকে তোলা হচ্ছে না। কেন কর্তৃপক্ষ তাদের দায়িত্ব অবহেলা করে ট্রেনের হাজারো যাত্রীকে ভোগান্তিতে ফেলেছেন। এসময় রেল স্টেশনের কন্ট্রোল রুমে থাকা আরেক কর্মকর্তা যাত্রীদের গালি দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। এতে যাত্রীরাও ক্ষিপ্ত হয়। এসময় ওই রেল কর্মকর্তা যাত্রীদের প্রাণনাশেরও হুমকি দেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক নুরুল ইসলাম বলেন, ট্রেন লেইটে এসেছিল তাই লেইটে গিয়েছে। চালক প্রায় নয় ঘণ্টা ট্রেন চালিয়ে এসেছেন তার তো বিশ্রামের প্রয়োজন রয়েছে। বিশ্রাম না নিয়ে ট্রেন চালালে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এ বিষয়টি বুঝতে হবে।

যাত্রীদের ক্ষোভের বিষয়ে তিনি বলেন, যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করবেন এটা স্বাভাবিক বিষয়। রাত ৩টায় ট্রেনটি সিলেটে এসে পৌঁছায়। সকাল ৬টা১৫ ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ছেড়ে যায় সোয়া আটটায়।