এজলাসে উঠতে দেয়া হচ্ছে না সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারককে
-
-
|

ছবি: সংগৃহীত
কারাগারে আটক এক মামলার আসামির জামিন নামঞ্জুর করা নিয়ে আইনজীবীদের সাথে বিরোধের জের ধরে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নূরে আলমকে এজলাসে উঠতে দিচ্ছেন না আইনজীবীরা।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) আদালতে গিয়ে দেখা যায় এজলাসে বিচারক নেই। আইনজীবীরা আসামির হাজিরা অথবা সময়ের আবেদন জমা দিয়ে যার যার মতো চলে গেছেন। উৎসুক ২/১জন আইনজীবী ছাড়া কোন আইনজীবী ছিলেন না।
ঘটনার সূত্রপাত গত বৃহস্পতিবার। অত্র আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর রফিকুল ইসলাম জানান, ওইদিন ২০২১ সালের ৫২৮ মামলায় এক আসামির জামিনের আবেদন করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট দিপু ও অ্যাডভোকেট বাবু। উক্ত আসামি আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর ১ বছর পলাতক ছিলেন। গত ২৭ জানুয়ারি গ্রেফতার হয়ে আসামি গত ১২ দিন যাবৎ কারাগারে আটক জানিয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক তা না-মঞ্জুর করেন।
ওই আদালতে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মিরাজ উদ্দিন শিকদার বলেন, গত বৃহস্পতিবার একটি মামলায় জামিন নামঞ্জুর হওয়র পর আইনজীবীদের সাথে কাথাকাটাকাটি হয়। এরপর বিচারক এজলাস থেকে নেমে যান। রোববার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ১৫/২০ জন আইনজীবী বিচারক প্রত্যাহারের দাবিতে কোর্ট অঙ্গনে মিছিল করে আদালতে অবস্থান নেন। এরপর বিচারক এজলাসে ওঠেননি।
আইনজীবী দিপু জানান, ওই মামলার প্রধান আসামি পলাতক আছেন। যার জামিন চেয়েছিলাম তিনি এ মামলার ২ নম্বর আসামি। বৃহস্পতিবার মামলায় বাদি সাক্ষ্য দিয়েছেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে তেমন কোন অভিযোগ আনেননি। এমতাবস্থায় আসামি যেহেতু পূর্বে জামিনে ছিলেন। বর্তমানে ১২ দিন যাবত কারাগারে আটক আছেন। প্রধান আসামি পলাতক, সার্বিক বিবেচনায় বিচারক আসামির জামিন মঞ্জুর করতে পারতেন। কিন্তু বিচারক জামিন না দিলে এজলাসে থাকা সাধারণ আইনজীবীরা প্রতিবাদ করেন। বিচারকের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর বিচারক এজলাস থেকে নেমে যান। রোববার আর আদালতে উঠেননি।
এ বিষয়ে আদালতের পেশকার জুয়েল কিংবা অন্য স্টাফরা কোন কথা বলতে রাজি হননি।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না মর্মে জানান। তিনি বলেন, এ ধরনের কোন ঘটনা বিচারক কিংবা আইনজীবী কেউ-ই তাকে জানাননি।