রমজানের চাঁদ দেখা প্রবীণদের প্রিয় ঐতিহ্য

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সৌদি নাগরিক আবদুল জাবের বিন জাবের আহমেদ আলে শায়খের বয়স প্রায় ১০০ বছর, ছবি: সংগৃহীত

সৌদি নাগরিক আবদুল জাবের বিন জাবের আহমেদ আলে শায়খের বয়স প্রায় ১০০ বছর, ছবি: সংগৃহীত

প্রতি বছর সৌদি আরব এবং বিশ্বজুড়ে মুসলিম পরিবারের প্রবীণরা রমজানের রীতিনীতি এবং ঐতিহ্যের কথা স্মরণ করেন। সেই সঙ্গে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

আরব নিউজের মতে, রমজানের চাঁদ দেখা বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করা সম্মানের মাসের সূচনার ইঙ্গিত দেয়। আজও এই ঐতিহ্য অব্যাহত রয়েছে যে, মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্যরা, ছোট-বড় সবাই মিলে ২৯ শাবানের সন্ধ্যায় একটি উঁচু স্থানে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকান। দেশে দেশে চাঁদ দেখার জন্য আলাদা ব্যবস্থাপনা ও কমিটি থাকা সত্ত্বেও অনেক পরিবার এই ঐতিহ্য ধরে রেখেছে।

বিজ্ঞাপন

আধুনিক যুগে, প্রযুক্তিগত সহায়তার ফলে রমজানের চাঁদ দেখা সহজ হয়েছে, যেখানে রেডিও এবং টেলিভিশনের অনুপস্থিতিতে, স্থানীয় সম্প্রদায়গুলো পবিত্র মাসের চাঁদ দেখার জন্য খালি চোখে এবং জনসাধারণের সাক্ষ্যদানের পদ্ধতির ওপর নির্ভর করত।

সৌদি জ্যোতির্বিদ মুহাম্মদ বিন রিদা আল সাকাফি সৌদি প্রেস এজেন্সিকে জানিয়েছেন, আধুনিক প্রয়োজনীয়তা অনুসারে, দেশজুড়ে জ্যোতির্বিদ্যা পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রগুলো এখন প্রতি বছর ২৯ শাবান সন্ধ্যায় চাঁদ দেখার জন্য প্রস্তুত থাকে।

বিজ্ঞাপন

প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে রমজানের চাঁদ দেখা এখন অনেক সহজ হয়েছে, ছবি: সংগৃহীত


আধুনিক যুগে রমজানের চাঁদ দেখা কেবল খালি চোখেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং দূরবীন এবং ক্যামেরার মতো আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে এটি দেখা যায়। প্রাচীনকালে রমজানের সূচনা ঘোষণা করার জন্য ব্যবহৃত পদ্ধতিগুলোর মধ্যে ছিল কাছাকাছি গ্রাম বা পাহাড়ের চূড়ায় কামান নিক্ষেপ করা কিংবা আগুন জ্বালানো।

সৌদি নাগরিক আবদুল জাবের বিন জাবের আহমেদ আলে শায়খের বয়স প্রায় ১০০ বছর। তিনি বলেন যে, সূর্যাস্তের আগে আমরা গ্রামের একটি উঁচু জায়গায় যেতাম এবং আকাশের দিকে তাকাতাম, পবিত্র মাসের চাঁদ উদিত হওয়ার অপেক্ষায়।

প্রাচীনকালে রমজান ঘোষণা করার জন্য কামানের গোলা নিক্ষেপের প্রথা ছিল, ছবি: সংগৃহীত

অতীতের দৃশ্যগুলো স্মরণ করে, বৃদ্ধ সৌদি নাগরিক আবদুল জাবের বলেন, সূর্যাস্তের আগে তিনি বাড়ি ফিরে আসতেন এবং তার মাকে সূর্যের ধীরে ধীরে অস্ত যাওয়ার এবং চাঁদ না দেখা পর্যন্ত রঙের পরিবর্তনের অপূর্ব দৃশ্য সম্পর্কে বলতেন।

তিনি বলেন, খালি চোখে রমজানের চাঁদ দেখার দৃশ্য অত্যন্ত বিরল। চাঁদ দেখা, অন্যদের কাছে আনন্দের সঙ্গে চাঁদের কথা বলা এবং পুরো পরিবারকে বলা- সবকিছুই ছিল পবিত্র মাসের প্রতি ভালোবাসা এবং ভক্তির বহিঃপ্রকাশ।