দেরীতে হলেও ‘সেই শিশু’ ধর্ষণের বিচার চাইলেন শাকিব খান
-
-
|

মেগাস্টার শাকিব খান
মাগুরায় ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনায় উত্তাল দেশ। ধর্ষণে অভিযুক্তদের জনসম্মুখে ফাঁসি ও জনপরিসরে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে দেশের বিভিন্ন জেলায় মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন চলছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে তৎপর বড় একটি অংশ। তারমধ্যে রয়েছেন শোবিজ তারকারাও।
ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে বিশ্ব নারী দিবসে অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দেন। যেখানে তিনি সবার কাছে প্রশ্ন রেখে লিখেন, ‘যেই দেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঢুকলে প্রতি রিফ্রেশে একটি করে ধর্ষণের সংবাদ, সেই দেশে আবার ওমেনস ডে কি?’
তার আগে আগে সাজাপ্রাপ্ত এক ধর্ষকের জামিনের সংবাদের ছবি ও লিঙ্ক পোস্ট করেছিলেন। পোস্টের ক্যাপশনে ফারিয়া তখন লিখেছিলেন, ‘ধর্ষককে যারা জামিন দিয়েছে কিংবা এই প্রসেসের সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরও শাস্তির আওতায় আনা জরুরি।’
নারী দিবসের পোস্টে জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা লেখেন, ‘ধর্ষণের শিকার ৮ বছর বয়সী কন্যা শিশু! কিন্তু এটি নতুন কোন ঘটনা নয়। এই অভাগা দেশে প্রতি বছর গড়ে ছ'শো থেকে হাজার খানেক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। শিশু ও নারীর প্রতি সহিংসতা মানে না বয়স, পোশাক, সামাজিক অবস্থান, ধর্ম, বর্ণ, জাত, পরিচয়। কখনো মানেনি, মানবেও না।‘
তিনি আরও লিখেছেন, ‘কোন রাজনৈতিক দল ক্ষমতার পালাবদলে কখনোই শিশু ও নারীর প্রতি সহিংসতাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেনি, এখনো করে না। অর্থনৈতিক উন্নয়নের সূচকের কাছে, ধর্ষণের সূচক অত্যন্ত নগন্য। তাই পিতৃতান্ত্রিকতার পতাকার তলে নারী দিবসকে প্রহসন মনে হয়। ধর্ষকের মৃত্যু চাই! ধর্ষণের বিচার চাই...‘
তবে বিষয়টি নিয়ে দেশের অনেক তারকাকেই এখনো মুখ খুলতে দেখা যায়নি। সেদিক থেকে দেরীতে হলেও মুখ খুললেন ঢাকাই সিনেমার মেগাস্টার শাকিব খান। নিজের ফেসবুকে তিনি হ্যাশ ট্যাগ দিয়ে বিচার চাইলেন এই চিত্রনায়ক। তার পোস্টটি মুহূর্তেই সবার মাঝে ছড়িয়ে যায়।
এদিকে মাগুরায় শিশু ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচার ১৮০ দিনের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। নারী শিশু নির্যাতন ও দমন ট্রাইব্যুনালকে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। রোববার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
তার আগে শিশুটিকে নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে নিয়ে আসেন ব্যারিস্টার মাহসিব হোসাইন। তিনি শিশুটির স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানান।
পরে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি পত্রিকা, অনলাইন পোর্টাল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে অপসারণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিটিআরসি ও পুলিশকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।