পরীমনি লিখলেন, ‘আমার জীবন এতো সুখে ভরিয়ে দিলে খোদা’
বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
|
পহেলা বৈশাখে এভাবেই বাঙালিয়ানায় মেতে ওঠেন পরী ও পূণ্য
বিনোদন
স্বামী শরীফুল রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর একমাত্র ছেলে শাহীম মুহাম্মদ পুণ্যকে ঘিরেই পরীর সংসার। মা-বাবার দায়িত্ব একাই পালন করে যাচ্ছেন চিত্রনায়িকা পরীমনি।
ঈদের আগেই পশ্চিমবঙ্গে প্রথম অভিষেক সিনেমার কাজ করে ঢাকায় ফেরেন পরী। তবে অভিনয়ে ফিরলেও ছেলের বেড়ে ওঠাকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন অভিনেত্রী। প্রায়ই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মা-ছেলের খুনসুটির ছবি ও ভিডিও শেয়ার করেন নায়িকা।
বিজ্ঞাপন
ঈদের দিনে সাদা পোশাকে স্নিগ্ধ পরীমনি
গতকাল মঙ্গলবারও নিজের ফেসবুকে ছেলেকে নিয়ে একটি আবেগঘন ভিডিও পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী। ক্যাপশনে চিত্রনায়িকা লিখেছেন, ‘খোদা! তুমি আমার জীবন এত সুখে ভরিয়ে দিলে খোদা! আমাকে আরও শত শত দিন এভাবে বাঁচতে দিও তুমি। পরীপুণ্য।’
সঙ্গে একটি লাভ ইমোজি। ভিডিওতে দেখা গেছে, পরীমনি বসে আছেন। তাঁর পেছনে একটি তেলের বোতল নিয়ে দাঁড়িয়ে পদ্ম। খুব সম্ভবত মায়ের মাথায় তেল দিয়ে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে ছেলে। আর সেটি খুব যত্নে উপভোগ করছেন মা পরী। মা-ছেলের আদুরে মুহূর্ত ছড়িয়ে পড়েছে ভক্তদের মধ্যেও। মা-ছেলের ভালোবাসা অটুট থাকুক আজীবন-এমন মন্তব্য করছেন ভক্তরা।
বিজ্ঞাপন
পহেলা বৈশাখে এভাবেই বাঙালিয়ানায় মেতে ওঠেন পরী ও পূণ্য
কেউ লিখেছেন, ‘পরীপুণ্যর ভালোবাসা’।
পরীর সবটা জুড়ে ছেলে থাকলেও বাবা শরীফুল রাজের সঙ্গে খুব একটা দেখা যায় না পদ্মকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা কোনো অনুষ্ঠান—কোথাও রাজ আর পদ্মকে এখনো সেভাবে দেখেনি ভক্তরা। যা নিয়ে অবশ্য ক্ষুব্ধ পরীমনি নিজেও।
কলকাতার জনপ্রিয় ওয়েব প্ল্যাটফর্ম হইচইতেও পরীর অভিষেক হতে যাচ্ছে। ‘রঙিলা কিতাব’ নামের সেই সিরিজটি পরিচালনা করবেন ‘দেবী’ সিনেমাখ্যাত অনম বিশ্বাস
ছোটপর্দার সুপারস্টার মেহজাবীন চৌধুরী আজ তার বিয়ে নিয়ে রয়েছেন আলোচনায়। তবে গত কয়েকদিন তিনি প্রশংসায় ভাসছেন তার সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ওয়েব ফিল্ম ‘নীল সুখ’-এর জন্য।
এ সময়ের অন্যতম মেধাবী নির্মাতা ভিকি জাহেদ পরিচালিত এই ছবিতে গান রয়েছে তিনটি। যার মধ্যে দুটি রবীন্দ্রসঙ্গীত ও একটি মাত্র মৌলিক গান। প্রথমে রবীন্দ্রসঙ্গীত দুটির ভিডিও মুক্তি দেওয়া হয়। একেবারে শেষে এসেছে এই ছবির মৌলিক গান ‘বৈরী বাতাস’। কারণ এই গানের ভিডিওতেই গল্পের গোমর ফাঁস হয়। তাই নির্মাতা সচেতনভাবেই গানটি শেষে মুক্তি দিয়েছেন।
‘নীল সুখ’ ওয়েব ফিল্মের পোস্টারে মেহজাবীন চৌধুরী ও রেহান
তবে কথায় আছে, শেষ ভালো যার সব ভালো তার। এই গানের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। ‘বৈরী বাতাস’ মুক্তির পর থেকে এর সুর ও গায়কীর জন্য প্রশংসা কুড়াচ্ছেন লুৎফর হাসান, শাহরিয়ার মার্সেল ও বাঁধন সরকার পূজা। লুৎফর হাসানের লেখা গানটির সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন মার্সেল। আর তাতে জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী পূজার সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠ দিয়েছেন শাহরিয়ার মার্সেল।
গানটি নিয়ে পূজা বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘‘মানুষের মাঝে দেরীতে এলেও গানটির রেসপন্স আমাকে মুগ্ধ করেছে। ভালো গান হলে দর্শক-শ্রোতার কাছে পৌঁছবেই, সেটা যতো সময়ই লাগুক না কেন। গানটি গাওয়ার সময়ই মনে হয়েছিলো দর্শকের পছন্দ হবে। মার্সেল সাধারনত সুর আর সঙ্গীত কওে, গানে কণ্ঠ দেয় না। কিন্তু এই গানটিতে সে গেয়েছে, এবং এতো চমৎকার গেয়েছে যে গানটি ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে।’’
বাঁধন সরকার পূজা ও শাহরিয়ার মার্সেল
পূজা আরও বলেন, ‘‘আমি ‘নীল সুখ’ দেখেছি বড়পর্দায়। তবে এখন আর সেই সুযোগ নেই। সবাইকে বলবো ভিকি জাহেদের মতো মেধাবী নির্মাতার কাজ, মেহজাবীনের মতো দক্ষ অভিনেত্রীর অভিনয় দেখতে হলেও আপনারা বিঞ্জে গিয়ে ‘নীল সুখ’ দেখুন। আশা করি আমাদের গান ও পুরো ছবিটি আপনাদের মন জয় করবে।’’
বিয়ে করেছেন তরুণ প্রজন্মের জনপ্রিয় মডেল ও ছোটপর্দার অভিনেত্রী শাকিলা পারভীন। বিয়ের ছবি নিজেই তার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে এই সুখবর জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
বিয়ের তিনটি ছবি পোস্ট করে শাকিলা আরবি ও ইংরেজি ভাষায় একটি লাইন লিখেছেন, যার বাংলা অর্থ দাঁড়ায়, ‘আর আমি তোমাদেরকে জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছি’।
বিয়ের আসরে বরের সঙ্গে শাকিলা পারভীন
শাকিলার পোস্ট থেকে জানা যায়, তিনি বিয়ে করেছেন গত ২৩ ফেব্রুয়ারি। ছবি দেখে ধারনা করা যায়, একেবারেই ঘরোয়া আয়োজনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরেছেন শাকিলা। তবে তারা দুজন দুজনকে পছন্দ করেই যে বিয়ে করেছেন, তা ছবিতে শাকিলা ও তার বরের রসায়ন দেখলেই বোঝা যায়।
শাকিলা পারভীন
বিয়ের সময় এই অভিনেত্রী পরেছিলেন রানী গোলাপী জমিনের ওপর ভারী কাজ করা বেনাসরি। সঙ্গে ছিলো সোনালী নেটের ওড়না। আর তার বরের পরনে ছিলো অফ হোয়াইট শেরওয়ানি ও মেরুন ভ্যালভেটের পাগড়ি।
শাকিলা পারভীন
তবে শাকিলার বরের নাম বা পরিচয় তিনি ওই পোস্টে জানাননি। জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেতা ইমতু রাতিশসহ একাধিক শোবিজ তারকা শাকিলাকে বিয়ের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
শাকিলা পারভিন ১৯৯৫ সালের ৯ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাকনাম মুক্তি। বর্তমানে তিনি নিয়মিত নাটকে অভিনয় ও মডেলিং নিয়ে ব্যস্ত। শাকিলা পারভিন বিভিন্ন মিউজিক ভিডিওতে মডেল হিসেবে অভিনয় করে জনপ্রিত অর্জন করেছেন।
‘সেম সেম বাট ডিফরেন্ট’ নাটকের পোস্টারে মোশাররফ করিম ও শাকিলা পারভীন
সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি বেশ জনপ্রিয়। প্রতিনিয়ত নিজের আপডেট ভক্তদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেন ব্লগের মাধ্যমে। এছাড়া ফেসবুক জুড়ে রয়েছে তার সুন্দর সুন্দর ছবি ও ভিডিও। তাকে সর্বশেষ দেখা গেছে জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিমের বিপরীতে ‘সেম সেম বাট ডিফরেন্ট’ নাটকে। নাটকটি অল্প সময়ের মধ্যেই এক মিলিয়ন ভিউ অতিক্রম করেছে।
অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন ছোটপর্দার সুপারস্টার মেহজাবীন চৌধুরী ও মেধাবী পরিচালক ও প্রযোজক আদনান আল রাজীব। তাদের এক যুগের প্রেম পূর্ণতা পাচ্ছে এবার। গতকাল রবিবার ঢাকার অদূরে একটি রিসোর্টে তাদের গায়েহলুদ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আর আজ হয়ে গেলো বিয়ে।
বিয়ের পর পরই নিজের বিয়ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছেন মেহজাবীন। বিয়ের দিনে সাদা লেহেঙ্গায় মেহজাবীনকে যেন স্বর্গ থেকে নেমে আসা পরীর মতো দেখাচ্ছে। কম যান না কফি কালারের সেরওয়ানিতে বর রাজীবও।
বিয়ের ছবি শেয়ার করে আবেগঘন ফেসবুক পোস্টে মেহজাবীন লিখেছেন, ‘২০১২ সালের ৯ এপ্রিল আদনান আল রাজীবের সঙ্গে সাক্ষাৎ ঘটেছিল। ১৩ বছর পর সম্পর্কটা বিয়েতে গড়াল।’
বিয়ের আসরে মেহজাবীন চৌধুরী
তিনি আরও লিখেছেন, ‘বাঁকা দাঁত এবং একটি সুন্দর হাসিওয়ালা একটি ছেলে আমার সাথে দেখা করতে এসেছিল। আমি যখন একটি শুটিং হাউসের বারান্দায় দাঁড়িয়েছিলাম তখন তিনি রাস্তা থেকে আমার দিকে হাত নেড়েছিলেন। আমরা মাত্র ১৫ মিনিটের জন্য কথা বলেছিলাম, করমর্দন করেছিলাম এবং তিনি চলে যাওয়ার সাথে সাথে আমি অনুভব করেছি যে আমার হৃদয়ের একটি টুকরো তার সাথে চলে গেছে। ১৩ বছর পরে, আমরা এখানে, একসাথে বেড়ে উঠছি, প্রতিটি সাফল্য উদযাপন করছি এবং প্রতিটি সংগ্রামকে অতিক্রম করছি। কথায় আছে, সাত বছরের বন্ধুত্ব সারাজীবন স্থায়ী হয়, আমরা এটি প্রায় দ্বিগুণ করেছি।’
মেহজাবীন শেষে লিখেছেন, ‘গত ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫-এ আমরা আমাদের বন্ধন চিরতরে বন্ধ করে দিয়েছি, এই যাত্রা হাতে হাতে চলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে। আদনান আল রাজীব, আমি তোমাকে আমার জীবনের সেরা বন্ধু হিসেবে বেছে নিয়েছি। আমরা এই নতুন অধ্যায় শুরু করার সাথে সাথে, আমরা আজীবন সুখ এবং একত্রিত হওয়ার জন্য আপনার ভালবাসা এবং প্রার্থনা চাই।’
গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে নেচে গেয়ে মাতান রাজীব ও মেহজাবীন
মেহজাবীন গায়েহলুদে পরেছিলেন বেগুনী রঙের লেহেঙ্গা আর আদনান পরেছেন কালো পাঞ্জাবি-পায়জামা। গায়েহলুদ ও বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজনে সব মিলিয়ে আড়াই শ অতিথি আমন্ত্রিত ছিলেন।
মেহজাবীন ও আদনানের ঘনিষ্ঠজনদের মধ্যে এই আয়োজনে গেছেন নির্মাতা রেদওয়ান রনি, নুসরাত ইমরোজ তিশা, সিয়াম আহমেদ, সাবিলা নূর, এলিটা করিম, আশফাক নিপুণ, সাদিয়া আয়মান, রায়হান রাফী, তমা মির্জা, নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামূল, মোস্তফা কামাল রাজ, জেফার রহমান প্রমুখ।
মেহজাবীন নিজেই তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের বিয়ের ছবি পোস্ট করবেন বলে বিয়ের একটি ছবিও অন্য কাউকে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ হতে দেননি তারা।
বিয়ের আসরে মেহজাবীন চৌধুরী
বাংলা নাটকের জনপ্রিয় মুখ মেহজাবীন চেীধুরী বিয়ে করছেন। দীর্ঘদিন ধারে পরিচালক আদনান আল রাজীবের সঙ্গে তার যে প্রেমের গুঞ্জন ছিল, অবশেষে তাই সত্য হওয়ার প্রমাণ মিললো। দীর্ঘদিনের কর্মসঙ্গী এবং বন্ধু আদনানের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধছেন লাক্স তারকা মেহজাবীন ।
বেশ কয়েক বছর ধরে আদনান প্রযোজিত ও পরিচালিত নাটক, বিজ্ঞাপনচিত্র এবং সিনেমায় একটানা অভিনয় করেছেন এ সময়ের জনপ্রিয় এই তারকা। কেবল গ্ল্যামার দুনিয়ায় নয়, নেটিজেনদেরও নজর এড়ায়নি তাদের গভীর বন্ধুত্ব। সময়-অসময়ে কাজের বাইরে দেশে এবং দেশের বাইরে তাদের সময় কাটাতে দেখা গেছে। তবে, প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে কখনোই দুজনের কেউই প্রকাশ্যে সেভাবে কথা বলতে চাননি। বারবারই মুচকি হাসি দিয়ে এড়িয়ে গেছেন।
বিয়ের আসরে মেহজাবীন চৌধুরী ও আদনান আল রাজীব
এদিকে গত বছরের মাঝামাঝি একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে রাজীব তাঁর জীবনের সেরা পার্ট বলে উল্লেখ করেন মেহজাবীনকে। সেদিন রাজীব বলেছিলেন, ‘তাকে (মেহজাবীন) আমি যতটা জানতে পেরেছি তাতে মনে হয়, এর চেয়ে ভালো সাপোর্টিভ কেউ হতে পারত না। তার চেয়ে ভালো কারও সঙ্গে পরিচয়ও হতে পারত না।’
এদিকে মেহজাবীন ও রাজীবের বিয়ের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বিনোদন অঙ্গনে তাঁদের সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা বেশ খুশি। তাঁদের মতে, সুন্দর মনের দুজন মানুষ একসঙ্গে জীবন শুরু করছেন, এর চেয়ে আনন্দের খবর তো আর হতে পারে না। তাঁদের জন্য দোয়া ও শুভকামনা।
বিয়ের আসরে মেহজাবীন চৌধুরী ও আদনান আল রাজীব
ছোট পর্দার অভিনয়শিল্পী মেহজাবীন অভিনীত ‘প্রিয় মালতী’ গত বছরের শেষ দিকে দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। এই ছবিতে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়। মেহজাবীন অভিনীত ছবিটির প্রযোজক ছিলেন আদনান আল রাজীব।
চুমু কাণ্ডের পর উদিত নারায়ণের বিরুদ্ধে মামলা করলেন স্ত্রী!
বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
|
উদিত নারায়ণ ও রঞ্জনা ঝা
বিনোদন
এক অনুষ্ঠানে গানের শো করতে গিয়ে এক তরুণীর ঠোঁটে চুমু দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। চুমুকাণ্ডে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন উদিত নারায়ণ। সেই বিতর্ক কিছুটা থিতিয়ে যেতেই এবার আইনি বিপাকে জড়ালেন গায়ক। তার বিরুদ্ধে খোরপোষ সংক্রান্ত অভিযোগ এনে মামলা করেছেন উদিত নারায়ণের প্রথম স্ত্রী রঞ্জনা ঝা।
অভিযোগ, তাকে তার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। প্রথম স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২১ ফেব্রুয়ারি বিহারের সুপৌল পারিবারিক আদালতে হাজিরা দিয়েছিলেন উদিত নারায়ণ। তবে তিনি এই অভিযোগের মীমাংসার পরিবর্তে রঞ্জনার বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ এনেছেন। গায়কের দাবি, রঞ্জনা তার থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
যদি এই মামলায় আগেও বিপাকে পড়েছিলেন গায়ক। বিহারের মহিলা কমিশনেও তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়েছিল। তবে তখনই সেই মামলার নিষ্পত্তি হয়ে যায়। কারণ তখন দু-পক্ষ মীমাংসার পথে হেঁটেছিলেন।
উদিত নারায়ণ
সেই মামলা থেকে জানা যায়, প্রথম স্ত্রী রঞ্জনা ঝাকে আগে প্রতি মাসে ১৫ হাজার রুপি করে দিতেন উদিত। ২০২১ সালে সেই অঙ্ক বেড়ে দাঁড়ায় ২৫ হাজার। এছাড়াও প্রথম স্ত্রীকে চাষের জন্য একটি জমিও দিয়েছিলেন উদিত নারায়ণ। সঙ্গে দিয়েছিলেন ১ কোটি রুপির একটি বাড়ি এবং ২৫ লক্ষ রুপির গয়না। এসবই সেসময় জেনেছিল মহিলা কমিশন। যদিও সেই গয়না নাকি বিক্রি করে দেন রঞ্জনা ঝা।
এদিকে রঞ্জনা ঝা তার আইনজীবীর মাধ্যমে জানিয়েছিলেন, তিনি তার বাকি জীবনটা উদিত নারায়ণের সঙ্গেই থাকতে চান। বার্ধক্য ও শারীরিক অসুস্থতার কারণেই এই ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন তিনি।
এদিকে আবার আদালতের বাইরে সংবাদ-মাধ্যমের কাছে রঞ্জনা অভিযোগ করেন, তার গায়ক স্বামী তাকে উপেক্ষা করছেন এমনকি তার জমি বিক্রির টাকা থেকে ১৮ লক্ষ নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন। এখানেই শেষ নয়, রঞ্জনার অভিযোগ ছিল তিনি মুম্বাই গেলে তার পিছনে দুষ্কৃতিকারী পাঠানো হয়।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৫ সালে দীপা গহত্রাজকে বিয়ে করেছিলেন উদিত নারায়ণ। তিনিও একজন গায়িকা। দীপা আদপে নেপালের মেয়ে, তিনি মুম্বাই এসেছিলেন গায়িকা হতেই। সেই সূত্র ধরেই তার সঙ্গে আলাপ হয় উদিতের। বিয়ের পরবর্তী সময়ে তাদের এক সন্তানও হয়, যার নাম আদিত্য নারায়ণ। তিনিও বর্তমানে বলিউডের সুপ্রতিষ্ঠিত গায়ক এবং সঞ্চালক।
উদিত নারায়ণ
এখন প্রশ্ন রঞ্জনা ঝাকে তাহলে কবে বিয়ে করেছিলেন উদিত নারায়ণ? এবিষয়ে রঞ্জনা দাবি করেছিলেন মুম্বই আসার আগে, প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে তাঁকে বিয়ে করেছিলেন উদিত নারায়ণ। ১৯৮৪ সালেই নাকি তাঁদের বিয়ে হয়। তবে মুম্বইয়ে এসে তাঁকে ভুলে দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন উদিত। রঞ্জনার দাবি, উদিত তাঁকে ডিভোর্স দেননি, এমনকি দ্বিতীয় বিয়ের কথা জানানও নি। এমনকি রঞ্জনার অভিযোগ ছিল, তিনি মুখ খুললে তাঁর কাছে আত্মহত্যা করার হুমকিও নাকি দিতেন উদিত। তবে ২০০৬ সালে প্রথমবার উদিত নারায়ণের সঙ্গে তাঁর বিয়ের বিষয়টি সামনে আনেন রঞ্জনা।