করোনায় পোশাক খাতে ক্ষতি দেড় বিলিয়ন ডলার
-
-
|

ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের কারণে দেশের তৈরি পোশাক খাতের ১ হাজার ৮৯টি কারখানার অর্ডার বাতিল ও স্থগিত হয়েছে। বাতিল ও স্থগিতকৃত অর্ডারের সংখ্যা ৮৭ কোটি ৩২ লাখ ৩৬ হাজার ৬২২পিস। ক্ষতির পরিমাণ পরিমাণ দেড় বিলিয়ন ইউএস ডলার।
বিষয়টি বার্তা ২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ড. রুবানা হক।
তিনি বলেন, করোনাভাইসের কারণে ডিসেম্বর থেকে ২২ মার্চ পর্যন্ত মোট ৮৭ কোটি পিস পোশাকের অর্ডার বাতিল ও স্থগিত হয়েছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় দেড় বিলিয়ন ইউএস ডলার। এসব কারখানায় সাত লাখ ২২ হাজার ৭৪৯ জন শ্রমিক কর্মরত রয়েছে। ফলে কারখানার মালিকরা শ্রমিকদের নিয়ে বিপদে আছেন।
মালিকরা গার্মেন্টগুলো চালাতে হিমসিম খাচ্ছেন। শ্রমিকদের বেতন দিতে পারছেন না। ফলে রাজধানীর মালিবাগসহ বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিকরা আন্দোলন করছেন। করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে বেতন দিয়ে কারখানাগুলো বন্ধ রাখতে অনুরোধ জানিয়েছেন তারা। শ্রমপ্রতিমন্ত্রী, বিজিএমইএ এবং ট্রেড ইউনিয়নের নেতার সঙ্গে একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রসঙ্গত , চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস ইউরোপ, আমেরিকা, জাপানসহ সব বৃহৎ অর্থনীতির দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের পোশাক রফতানির বড় অংশই যায় ইউরোপে। ইতালি, জার্মানিসহ কয়েকটি দেশে এরই মধ্যে করোনাভাইরাস মহামারির রূপ নিয়েছে। অনেক জায়গাতেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে দোকান। কমেছে স্থানীয় কিংবা আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের পরিসর।
বেশি আক্রান্ত স্থানগুলোতে বিভিন্ন ব্র্যান্ড নির্দিষ্ট সময়ের জন্য গুটিয়ে নিয়েছে তাদের আউটলেট। এমন অবস্থায় ক্রেতারা বাতিল করছেন ক্রয়াদেশ। আর এতে ভয়াবহ সংকটে পরতে যাচ্ছে তৈরী পোশাকশিল্প।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিশেষ করে তৈরি পোশাক শিল্পে এখনই নেতিবাচক প্রভাব দেখছি। এটা সামনে আরও নেতিবাচক হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
নিটওয়ারে পাঁচ দশমিক সাত শতাংশ ঋণাত্মক। ওভেনওয়ারের ক্ষেত্রে পাঁচ দশমিক নয় শতাংশ ঋণাত্মক। হোম টেক্সটাইলে সাত দশমিক পাঁচ শতাংশ ঋণাত্মক। এ থেকে সহজেই বুঝতে পারছি করোনার প্রভাবে আগামী কয়েক মাসে এটা আরও ঋণাত্মক হতে পারে। উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী মাহামারি রূপ নিয়েছে করোনাভাইরাস। আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যে বাংলাদেশে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত আছে ২০ জন।