রপ্তানি খারাপ নয়, অনেক ভালো অবস্থানে আছে: অর্থ উপদেষ্টা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ

অনেকে বলেছে, রপ্তানি খারাপ। আসলে তা নয়। এটি অনেক ভালো অবস্থানে আছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

জাতীয় অর্থনীতির বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনা, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, রাজস্বনীতি, মানবসম্পদ উন্নয়ন, তুলনামূলক উন্নয়ন অভিজ্ঞতাসহ অর্থনীতির নানা বিষয় নিয়ে মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) অর্থ উপদেষ্টার একটি একান্ত সাক্ষাৎকারের ২য় পর্ব প্রকাশিত হয়েছে জাতীয় দৈনিক খবরের কাগজে।

বিজ্ঞাপন

সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন খবরের কাগজ- এর সম্পাদক মোস্তফা কামাল।

দেশের বর্তমানে দেশে আমদানি-রপ্তানি পরিস্থিতি কেমন? এমন প্রশ্নে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, যদিও অনেকে বলেছে, রপ্তানি খারাপ। আসলে তা নয়। এটি অনেক ভালো অবস্থানে আছে। ছোট ছোট জায়গায় তারা সাব-কনট্রাক্ট করে। বাংলাদেশে শুধু আরএমজিতে গ্রিন ফ্যাক্টরি অনেক। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ বড় চ্যালেঞ্জ। প্রধান ইস্যু হলো ব্যবসায়ের পরিবেশ, দেশের রাজনৈতিক অবস্থা কেমন, নিয়ন্ত্রণ সংস্থার পলিসিগুলো কেমন। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের আগে এসব পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে। মাঝখানে এয়ারলাইন্সের কিছু ঝামেলা হলো। টাকা-পয়সা নিতে পারেনি। এয়ারলাইন্স যদি লাভ করে তবে বাংলাদেশ ব্যাংক অডিট বোর্ড দেখে রিলিজ করে। গ্রামীণ ফোনের টাকা অনেকদিন ধরে পাঠাতে পারে না। সেভরনের টাকারও একই অবস্থা। তার পর মেটলাইফ আছে। তারাও বলছে একই কথা। তবে নিয়ম আছে, অ্যালাউ বা গ্রহণ করতে হবে। নিষেধ করা যাবে না। বৈদেশিক বিনিয়োগকারীরা যাতে বিনিয়োগের সুষ্ঠু পরিবেশ পায়, কোনো ধরনের ঝক্কি-ঝামেলায় না পড়ে, সে জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলো যেন আরও বন্ধুসুলভ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা

তিনি বলেন, আবার কাস্টমসের ব্যাপার আছে। আয়কর ও শুল্কে তথ্য দিতে ভুল হলে সময়ক্ষেপণ হয়। যা ব্যবসায়ীরা পছন্দ করেন না। পোর্টে আগে ছিল এ ধরনের সমস্যা। এখন এটা ঠিক হয়েছে। এখন একদিন বা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কাস্টমসে চালান জমা দেওয়া হয়ে যাচ্ছে। আমরা একটা ন্যাশনাল উইনডো চালু করেছি। অর্থাৎ, সব তথ্য অনলাইনে দেওয়ার পর এনবিআর তা যাচাই-বাছাই করবে। চালান জমা, কপি দেওয়া, এগুলোতে  দীর্ঘ সময় লাগে। এটা করলে কিছুটা সময় লাঘব হবে। এটা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। প্রাইভেট সেক্টরের জন্য বাইরে থেকেও চেষ্টা করছি। ওপেক ফান্ডে আমি কথা বলেছি, তারা ১০০ মিলিয়ন দেবে। কোন কোন শিল্পকারখানায় অর্থ দেওয়া হবে তা তারা নির্ধারণ করবে। প্রাইভেট সেক্টরে কোন কোন ব্যাংককে দেবে সেটিও তারা নির্ধারণ করে থাকে। তাদের কয়েকটা ব্যাংক নির্ধারণ করা আছে। এর বাইরে তারা যাবে না। এ ক্ষেত্রে তাদের বেশকিছু বিষয় রয়েছে। বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে কথা বলেছি- একটা গ্যারান্টি দেবে ১ বিলিয়ন ডলার। সেটাও আবার প্রাইভেট ব্যাংক। ব্যাংক এলসি করবে এবং গ্যারান্টি দেবে। এতে বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান লাভবান হবে।