‘বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পূর্বে বিইআরসির অনুমোদন নিতে হবে’

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পূর্বে বিইআরসির অনুমোদন নিতে হবে

বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পূর্বে বিইআরসির অনুমোদন নিতে হবে

বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের চুক্তির আগে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) অনুমোদন নিতে হবে। আইনী এমন বাধ্যবাধকতার কথা বিদ্যুৎ বিভাগকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিইআরসি চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিইআরসি কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক কর্মশালায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিজ্ঞাপন

বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, রেগুলেটরি কমিশন এখন প্রোঅ্যাকটিভ ভূমিকা পালন করতে যাচ্ছে। আশা করছি আমাদের কাজের মধ্য দিয়েই প্রমাণিত হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কমিশন এতদিন শুধু বিদ্যুতের পাইকারি ও খুচরা ট্যারিফ ঘোষণা দিয়ে এসেছে। কিন্তু আইনে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে চুক্তি অনুমোদনের এখতিয়ার বিইআরসিকে দেওয়া হয়েছে। প্রকল্প গ্রহণের আগে বিইআরসিতে অনুমোদন নেওয়ার জন্য বলেছি। বিগত কমিশনগুলো কেন এটি করেনি তা তারা ভালো বলতে পারবে। আইনের পাশাপাশি পারিপার্শ্বিক অবস্থাও বড় বিষয়।

বিজ্ঞাপন

নতুন শিল্পে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব কতটা ন্যায়সঙ্গত হয়েছে? শিল্পে গ্যাসের বৈষম্যমূলক দর কেন আমলে নেওয়া হলো। এমন প্রশ্নের জবাবে বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, আমরা সকলের মতামত শুনতে চাই, তাই শুনানি করা হবে। সেখানে সকল পক্ষের মতামত নিয়ে তারপর চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।

অতীতে দেখা গেছে ভোক্তারা আপত্তি করলেও মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে অন্যরকম সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, যেহেতু এই খাতগুলোতে ভর্তুকি বিদ্যমান, তাই সরকার কতটা ভর্তুকি দিবে সেটা ট্যারিফে বিবেচনায় নিতে হয়। সে কারণে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি যুক্ত।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, এখন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন আর কোনো পণ্যের দাম নির্ধারণ করে না। আগে তারা জেট ফুয়েলসহ কয়েকটি পণ্যের দাম ঘোষণা করতো। এখন জেট ফুয়েলের দাম বিইআরসি চূড়ান্ত করবে। নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে পেট্রোল, অকটেন, ডিজেল ও কেরোসিন হচ্ছে। প্রবিধানমালা অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। আশা করছি শিগগিরই এগুলোর দামও বিইআরসি নির্ধারণ করবে।

বিইআরসির পরিচালক (গ্যাস) দিদারুল আলম বলেন, ২০০৩ সালে আইনের মাধ্যমে বিইআরসি গঠিত হলেও আনুষ্ঠানিক যাত্রা করে ২০০৮ সালে। ২০০৮ সালে প্রথম বিদ্যুতের দর সমন্বয় করে, এরপর থেকে ৯ দফায় পাইকারি, ১০ দফায় খুচরা পর্যায়ে এবং ২ দফায় সঞ্চালন খরচ সমন্বয় করা হয়েছে। অন্যদিকে ২০০৯ সালে প্রথম গ্যাসের দামের আদেশ দেওয়া হয়। এ যাবৎ ৯ দফায় গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে নতুন শিল্পে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।

বিইআরসির আরেকটি কাজ হচ্ছে বিরোধ নিস্পত্তি করা। প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রাপ্ত ৬৭৭টি অভিযোগের মধ্যে ৫৪৪টি সমাধান দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ৮০ শতাংশ বিরোধ নিস্পত্তি করা হয়েছে। অন্যদিকে ভোক্তার পক্ষ থেকে ২৩৯টি অভিযোগের মধ্যে ২৩২টি (৯৭.০৭ শতাংশ) নিস্পত্তি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশের (এফইআরবি) সদস্যদের জন্য আয়োজিত কর্মশালায় কমিশনের সদস্য সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া, মো. মিজানুর রহমান, মো. আব্দুর রাজ্জাক ও শাহিদ সারোয়ার।