পাকিস্তানের সঙ্গে নৌপথে সংযোগ শুরু, করাচি থেকে প্রথমবার এলো জাহাজ
প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের নৌ পথে সরাসরি সংযোগ স্থাপিত হলো। সোমবার (১১ নভেম্বর) পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে পণ্যবাহী একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে ইন্দোনেশিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছে। জাহাজটি ছিল করাচি থেকে সরাসরি চট্টগ্রামে নোঙর করা প্রথম কোনো জাহাজ।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্র জানায়, পানামার পতাকাবাহী জাহাজটির নাম উয়ান জিয়াং ফা ঝান। করাচি থেকে আসা এ জাহাজে ৩৭০ একক কনটেইনার পণ্য ছিল। বাংলাদেশে জাহাজটির স্থানীয় এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছে সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। সেখানে বলা হয়, ‘করাচি থেকে সরাসরি পণ্যবাহী একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে, যা ছিল দুই দেশের মধ্যে প্রথম সরাসরি সামুদ্রিক সংযোগ। এ যাত্রা দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বাণিজ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদাকে তুলে ধরেছে।’
এর মধ্যে দিয়ে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এবং ব্যবসায়িক সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদী পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ। তিনি বলেন, ‘সরাসরি শিপিং রুটটির কারণে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এবং ব্যবসায়িক সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে। এ অঞ্চলে আরো সমন্বিত ও বাণিজ্যিক নেটওয়ার্ক বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও এটি একটি বড় পদক্ষেপ। এ উদ্যোগ কেবল বিদ্যমান বাণিজ্য প্রবাহকে ত্বরান্বিত করবে না, একই সঙ্গে ছোট ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বড় রফতানিকারকদের উভয় দিকের ব্যবসার জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করবে।’
জাহাজটি দুবাই হয়ে আসার পথে একাধিক বন্দরে ভিড়েছিল উল্লেখ করে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, চট্টগ্রাম বন্দরে আসার আগে পাকিস্তানের করাচি বন্দরেও ভিড়েছিল জাহাজটি। মঙ্গলবার জাহাজটি (১২ নভেম্বর) ইন্দোনেশিয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।
পাকিস্তানের সঙ্গে সমুদ্রপথে নিয়মিত রুট নিশ্চিত করা গেলে ব্যবসায়িকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, ভিন্ন চ্যানেলে না এনে চাল, পেঁয়াজ, ফলমূলসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য, এমনকি পোশাকের কাঁচামাল সরাসরি আনা গেলে আর্থিকভাবে লাভবান হবে বাংলাদেশ। আবার পাটসহ অনেক পণ্যের রফতানিও ত্বরান্বিত হবে। সেজন্য এই নতুন রুট স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে সবাইকে আন্তরিক হতে হবে। কেননা যে কোনো ধরনের সংকীর্ণতা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সুবিধা পাওয়ার পথকেও সংকুচিত করে তোলে।