মূল্যস্ফীতি ৬.৫ শতাংশে নামিয়ে আনার উপকরণ বাজেটে নেই: সানেম
আগামী অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার যে লক্ষ্য ঘোষণা করা হয়েছে তা বাস্তবায়নের উপকরণ বাজেটে নেই বলে মনে করে গবেষেণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম)।
শনিবার (৮ জুন) রাজধানীর মহাখালী ব্র্যাক সেন্টার ইনে আয়োজিত ‘বাজেট পর্যালোচনা ২০২৪-২৫’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা জানান সংস্থাটির রিসার্চ ডিরেক্টর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সায়েমা হক বিদিশা।
তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ বাজার ব্যবস্থাপনা ঠিক না থাকায় যখন তখন পণ্যের দাম বাড়ানো হচ্ছে। এতে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে আসবে না।
তিনি আরও বলেন, প্রতিবছর ব্যাংক খাত থেকে সরকারের ঋণ বেড়েই চলেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সরকার ঋণ নিলে মূল্যস্ফীতি আরও বেড়ে যেতে পারে। খোলা বাজারের সঙ্গে অফিশিয়াল ডলারের দামের পার্থক্য থাকলে হুন্ডি চলতেই থাকবে বলে মনে করেন এ অর্থনীতিবিদ। অবৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স বন্ধ করতে অফিসিয়াল ও বাজারে ডলার রেটের পার্থক্য কমানোর তাগিদ দেন তিনি।
হুন্ডি প্রতিহত করার পাশাপাশি কালো টাকার দিকেও কঠোর নজর দেওয়ার তাগিদ দেন তিনি।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার যে টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছে তা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান।
দেশের মুদ্রানীতিতে সমস্যা আছে দাবি করে সেলিম রায়হান বলেন, যখন সুদহার বাড়ানো দরকার ছিল তখন তা করা হয়নি। আর যখন সুদহার বাড়ানো হলো তখন সিস্টেমটাই আর কাজ করছে না।
গত আগস্টে সুদহার বাড়ানোর পরও মূল্যস্ফীতি কেনো কমছে না কেন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি সামনে আরেও বাড়বে। যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া না গেলে স্থির ও নিম্ন আয়ের মানুষ আরও চ্যালেঞ্জে পড়বেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, অভ্যন্তরীণ বাজার ব্যবস্থাপনা ঠিকভাবে হচ্ছে না। নানা ব্যক্তি যখন তখন দাম বাড়াচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।এভাবে মূল্যস্ফীতি কমানো যাবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
কর ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করতে প্রত্যক্ষ করে গুরুত্ব বাড়ানোর প্রয়োজন থাকলেও সহজে আদায় বাড়াতে পরোক্ষ করে জোর দেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন সেলিম রায়হান।
তিনি বলেন, অতি ধনীরা ঠিকভাবে কর দেয় না। তারা রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক যোগাযোগের মাধ্যমে কর ছাড় পেয়ে থাকেন।