গজারিয়ায় ৪২ শতাংশ গ্যাস চুরি হচ্ছে!
-
-
|
ছবি: বার্তা২৪.কম
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার গ্যাসের সিস্টেম লস হচ্ছে ৪২ শতাংশ। তিতাসের বৈধ গ্রাহক এক হাজার ৫৭২ আর অবৈধ সংযোগ রয়েছে ১১ হাজার। অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গেলে রাস্তা অবরোধের মতো ঘটনা ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশীদ মোল্লা।
বুধবার (৬ মার্চ) পেট্রোবাংলার হল রুমে গণশুনানিতে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিতাস ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরও বলেন, আমরা যখন অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে অভিযানে গেছি, স্থানীয়রা রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। প্রশাসনের সুপারিশে সেখানকার ভাল্ব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যে কারণে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। গ্যাস দেওয়ার অর্থ হচ্ছে ১১ হাজার অবৈধ সংযোগ সচল রাখা। এখানে তিতাসের পাশাপাশি বৈধ গ্রাহকদের সহযোগিতা প্রয়োজন।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, গ্যাস চুরি অনেক আগে থেকে হচ্ছে। কর্মচারীদের দায় রয়েছে এটা স্বীকার করছি। ওরা পাপ করেছে। এখন সেই পাপ থেকে তাদেরকে বের করে আনতে চাইছি তখন লোকজন বিক্ষোভ করছে। এখন সকলের সহযোগিতা দরকার। সিস্টেম লস এখন কোয়ান্টিফাই, অঞ্চল ভিত্তিক কোন অঞ্চলে কত লোকসান হচ্ছে চিহ্নিত করা হয়েছে। কোন অঞ্চল সিস্টেমলস কমাতে না পারে ওই অঞ্চলের কর্মকর্তার বেতন থেকে কাটা শুরু করবো। আত্মতৃপ্তিতে ভুগতে চাই না, যে কাজটি করছি আপনারা কিভাবে দেখছেন সেটাই বড় কথা।
জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সেবা গ্রহীতাদের অংশগ্রহণে গণশুনানি আয়োজন করেন পেট্রোলবাংলা। এতে বক্তারা অঞ্চল ভেদে গ্যাস সরবরাহের বৈষম্য তুলে ধরে নিরসনের দাবি জানান। একই সঙ্গে গ্যাসের সরবরাহ বৃদ্ধির অনুরোধ করেন। অন্যথায় ঈদের সময় কর্মীদের বেতন বোনাস দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।
উল্লেখ্য গ্যাসের ভাল্ব বন্ধ করে দিলে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া শিল্পজোনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে করে বন্ধ হয়ে গেছে বেশ কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন। দ্রুত গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য ১৩টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে লিখিত আবেদন দেওয়ার কথা জানা গেছে।