মারধরে অভিযোগে গাবতলী পরিবহনের ১০ বাস আটক
-
-
|

দশটি বাস আটক করে ক্যাম্পাসে নিয়ে এসেছেন শিক্ষার্থীরা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগে যাত্রাবাড়ী গাবতলী রোডে চলাচলকারী গাবতলী পরিবহনের ১০টি বাস আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। অভিযুক্ত ড্রাইভার ও স্টাফকে না পেলে বাস ছাড়বে না বলে জানান তারা।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাতে কল্যাণপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থী কিরণ কুমার দাসকে মারধর করেন গাবতলী পরিবহনের স্টাফ।
রাতে বিষয়টি জানাজানি হলে সকাল থেকেই যাত্রাবাড়ী অবস্থান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এবং একে একে দশটি বাস ক্যাম্পাস নিয়ে এসেছেন এখন পর্যন্ত। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের না পেলে কোন বাস ছাড়বে না তারা বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী কিরণ কুমার দাস জানান, আমি গুলিস্থান থেকে কল্যাণপুর বাসস্টেন্ড যাওয়ার জন্যে (৮ নাম্বার) গাবতলী পরিবহন (ঢাকা মেট্রো ব ১১৯৭৫০) বাসে উঠি।
শাপলা চত্বরে বাসটি অকারণে ১৫ মিনিট দাঁড়ায়। তখন সন্ধ্যা ছয়টা বাজে। বাসে থাকা সবাই বলে বাসটি ছেড়ে দেন বাসায় গিয়ে ইফতার করবো। ড্রাইভারের পিছনে থাকা দুইজন ব্যক্তি ওনাকে বারবার বলতে থাকে। আমি কন্টাকটারকে এবং ড্রাইভারকে অনুরোধ করি বাসটি ছেড়ে দেন। কিন্ত তারা আমার সঙ্গেও তর্কে জড়ায়। তারা বেশি যাত্রী না তুলে বাস ছড়বে না। আমি সিটের দিকে চলে যাই।
কয়েকজন বয়স্ক ব্যক্তি ড্রাইভারের সঙ্গে তর্ক করতে করতে নেমে যায়। তার কিছুক্ষণ পরে বাস ছেড়ে দেয়। কল্যাণপুর পৌছানোর আগেই সব যাত্রী নেমে যায়। কল্যাণপুরে আমি নামতে গেলে আমাকে গেটে আটকায় রাখে। অনেক রিকুয়েস্ট করার পরও নামতে না দিয়ে বাস এগোতেই থাকে। অনেক গালিগালাজ করে আমার মানিব্যাগ থেকে ডাবল ভাড়া নিয়ে নেয়। কয়েকটা ধাক্কা মারে আমি গেটের দিকে গিয়ে চিৎকার করলে বাইরে থেকে কিছু মানুষ ভিড় করে তখন নামতে পারি।
নামার পর দেখি সবগুলো ওদের লোক আমি নাকি দাদাগিরি দেখাইছি বলে কয়েকজন গায়ে হাত দেয়। কলার ধরে টানাটানি করে। জগন্নাথের পরিচয় দিলে বলে আমি স্টুডেন্ট না সন্ত্রাস বলে পিছন থেকে মাথায় কষে চড় দেয়। একজন পনেরো ষোলো বছরের কয়েকজন ছেলে কাউন্টারের পিছনে নেওয়ার জন্যে টানতে থাকে। আমি কোনো রকমে একটা বাইকে রাইড শেয়ার নিয়ে কেটে পড়ি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তাজাম্মুল হক বলেন, আপাতত আমি কিছু বলতে পারছি না। আমার কোন সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের পছন্দ হয় না তাই আমি এখন কিছু বলবো না বাস মালিক কর্তৃপক্ষ আসবে তাদের সঙ্গে বসার পর সিদ্ধান্ত হবে শিক্ষার্থীরায় সিদ্ধান্ত নিবে কি করবে তারা।