সিট সংকট: বাকৃবির সুলতানা রাজিয়া হলের ছাত্রীদের বিক্ষোভ

  • বাকৃবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

হলের সিট সংকট নিরসনের দাবিতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সুলতানা রাজিয়া হলের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ এবং বিক্ষোভ করেছেন।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টা থেকে হলের সামনে অবস্থান নিয়ে তারা সিট সংকট ও প্রশাসনের অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। "শতভাগ আবাসন, প্রহসন প্রহসন" স্লোগান তুলে তারা বিভিন্ন হলে সিট বণ্টনে বৈষম্যের প্রতিবাদ জানান।

বিজ্ঞাপন

ওই হলের ছাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সুলতানা রাজিয়া হলে অবকাঠামোগতভাবে কোনো গণরুমের ব্যবস্থা না থাকলেও লাইব্রেরি, জিম রুম, কমন রুম এবং ডাইনিং রুমকে কাঠের তক্তা দিয়ে গণরুমে পরিণত করা হয়েছে। পাঁচটি ছাত্রী হলের মধ্যে শুধু সুলতানা রাজিয়া হলেই নিছক গণরুমে ডাবলিং করে আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্যান্য ছাত্রী হলের তুলনায় তীব্র সিট সংকটের বিষয়টি প্রভোস্টকে জানানো হলেও চলতি বছর প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের উক্ত হলের আইসোলেশন রুমে ৭৭ জনকে সিট বরাদ্দ দেওয়ায় কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ছাত্রীরা।

হলের দ্বিতীয় বর্ষের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, "আমাদের হলে সিট সংকট আগের থেকেই আছে এবং আমরা প্রভোস্টকে জানিয়েছি যে আমাদের হলে আমরা ২২-২৩ বর্ষের মেয়েরা গণরুমে ডাবলিং করে থাকছি এবং নতুন ছাত্রী তোলার জন্য কোনো সিট নেই আমাদের। এক ঘণ্টার বেশি কথা বলার পর উনি জানান যে প্রভোস্ট কাউন্সিলরের সাথে কথা বলবেন এবং আশ্বাস করেন হলে সর্বোচ্চ ৬০ জন মেয়ে উঠাবেন, তার বেশি একজনও না। গণরুমের কারণে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে আমাদের, পড়াশোনার কোনো পরিবেশ নেই এখানে।"

বিজ্ঞাপন

শিক্ষার্থীরা আরও জানান, "আমরা আসন্ন ঈদের পর গণরুমের চেহারা দেখতে চাই না এবং আমরা চাই, এখন থেকে এক মাসের মধ্যে ব্লকের বিল্ডিংয়ে সিঙ্গেল বেড দিতে হবে।"

এসময় সুলতানা রাজিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. রুহুল আমিন বলেন, সুলতানা রাজিয়া হলে প্রায় ৮৭৫ জন মেয়ে থাকে। এত শিক্ষার্থীর আবাসনের ব্যবস্থা করার মতো জায়গা এই হলে নেই। ওই হলের ভিতরে একটি বাসা ছিল, যার মধ্যে অনেক ছাত্রীকে আমাদের জায়গা দিতে হয়েছে, যাকে ওরা গণরুম বলে। হলে বর্তমানে কোনো সিট খালি নেই, মেধা ও সিনিয়রিটির ভিত্তিতে আমরা তাদের রুম দিয়ে থাকি (রুম খালি থাকা সাপেক্ষে) কিন্তু এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাচ্ছি।