ফুল চাষে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখছেন টুটুল

  • সিফাত রানা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

একসময় চাঁপাইনবাবগঞ্জের বরেন্দ্র অঞ্চলে মৌসুমে একবার ধান ছাড়া অন্য কোন ফসল চাষে স্বপ্নও দেখতো না কৃষক। এবার সেই বরেন্দ্রভূমিতে দেশি বিদেশি ফুল চাষে চমক দেখালেন এক উদ্যোক্তা। ২০১৭ সালে শুরু করে এখন ফুল বিক্রি করেই বছরে আয় হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এখানকার উৎপাদিত ফুল সরবরাহ হচ্ছে পুরো উত্তরাঞ্চল জুড়ে। এবার ১৪ই ফেব্রুয়ারি ও ২১ শে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষ্যে চাষ করেছেন বিভিন্ন জাতের ফুল। কৃষি বিভাগ বলছে ফুল চাষের উর্বরভূমি বরেন্দ্র অঞ্চল।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বংপুর গ্রামের বাসিন্দা সাদিকুল ইসলাম টুটুল। শখের বসে বাড়ির পাশে নিজ জমিতে ২০১৭ সালে ফুল চাষ শুরু করেন। এরপর বাড়াতে থাকেন বাগানের পরিমাণ। ২০১৯ সালে করোনায় তার ১৫ বিঘা জমির ফুল সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। তখন সব পুঁজি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন। এরপরেও করোনার ধাক্কা কাটিয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখেন। ধীরে ধীরে আবারও আবারও ফুল চাষ শুরু করেন। বর্তমানে তার জমিতে রয়েছে। গাদা,গোলাপ,যারভেরা, চন্দ্রমল্লিকাসহ বেশ কয়েক জাতের ফুল। এরমধ্যে গাদা গোলাপ তৈরি করেছেন বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও ২১শে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষ্যে। এবার ফুল বিক্রি করে কয়েক লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন তার।

বিজ্ঞাপন

সাদিকুল ইসলাম টুটুল বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রথম দিকে যশোরের গদখালী থেকে ফুলের চারা নিয়ে জমিতে ফুল চাষ শুরু করি। বর্তমানে আমার বাগানে গোলাপ, রজনিগন্ধা, গাঁদা, গ্লাডিওলাসসহ বিভিন্ন ধরনের ফুল রয়েছে।

তিনি বলেন, বসন্ত উৎসব, ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে সামনে রেখে ফুলের চাহিদা তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় ফুল বিক্রি বেড়েছে কয়েকগুণ। চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও রাজশাহী জেলার ফুল ব্যবসায়ীরা আমার বাগান থেকে ফুল কিনে নিয়ে যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার তানভীর আহমেদ সরকার বার্তা২৪.কমকে জানান, জেলার গোমস্তাপুর উপজেলায় প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষ করায় তাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে এলাকায় ফুল চাষ বৃদ্ধি করার জন্য কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। ফুল চাষ বৃদ্ধি হলে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি বেকার সমস্যা দূর হবে।