জামালপুরে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বিকেলে জামালপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শরীফ আব্দুল বাসেত এ নির্দেশনা দেন।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার বিকেলে শহরের ইকবালপুর এলাকায় স্থানীয়রা কয়েকজন মিলে একটি ঘোড়া জবাই করেন। পরে ঘোড়ার মাংসগুলো ভাগ করে নেন তারা। ঘোড়া জবাইয়ের খবরটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে ৩০০ টাকা কেজি মাংস বিক্রির খবরও পাওয়া যায়। এমন খবরের প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি বন্ধে সতর্ক করেন স্থানীয়দের।
স্থানীয় বাসিন্দা শান্ত মিয়া জানান, মূলত শখ করে কয়েকজন মিলে একটি ঘোড়া জবাই করে মাংস ভাগাভাগি করে নিয়েছি। কোনো বিক্রির উদ্দেশ্যে ঘোড়া জবাই করা হয়নি। আর দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘোড়া জবাই করার খবর শুনছি, তাই আমরা ঘোড়া জবাই করছি। আজ প্রশাসনের লোকজন এসে সতর্ক করে দিয়েছে।
জামালপুর অনলাইন জানালিষ্ট নেটওয়ার্কের সভাপতি ও প্রেসক্লাব জামালপুরের কার্যনির্বাহী সদস্য ও সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সভাপতি জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, যেহেতু আমাদের সমাজে ঘোড়ার মাংস খাওয়ার প্রচলন নেই, বাংলাদেশের আইনেও ঘোড়া জবেহ করা ও এর মাংস বিক্রি আইন সিদ্ধ না। তাই ঘোড়া জবাই ও মাংস ক্রয়-বিক্রয় থেকে বিরত থাকা উচিত।
এ প্রসঙ্গে জামালপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শরীফ আব্দুল বাসেত জানান, পশু জবাই ও মাংস নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১১ অনুযায়ী ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি নিষেধ। অনুমতি ছাড়া যে কোনো পশু জবাই করা আইনত দণ্ডনীয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিকভাবে তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। এর পরবর্তীতে যদি এমন ঘটনা ঘটে তাহলে প্রশাসনের সহায়তায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।