কুষ্টিয়ার মিরপুরে ইটভাটা বন্ধ না করার জন্য বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে উপজেলা ইট প্রস্তুতকারক সমিতি। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)'র কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলা ফুটবল মাঠে তারা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
উপজেলা ইট প্রস্তুতকারক সমিতির সভাপতি আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা ইট প্রস্তুতকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহিন আলী, মিরপুর উপজেলা ইট প্রস্তুতকারক সমিতির উপদেষ্টা এনামুল হক, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, সহ-সভাপতি নুর ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম মুকুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে ইট প্রস্তুতকারক সমিতির নেতৃবৃন্দ ২০২৪-২০২৫ মৌসুমে ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত ও ভাটা বন্ধ না করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিবি করিমুন্নেছার মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
উপজেলা ইট প্রস্তুতকারক সমিতি সভাপতি আব্দুল মান্নানের স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন এ উপজেলা ত্রিশটি ইটভাটায় প্রায় দশ হাজার শ্রমিক কর্মরত রয়েছে। তাদের আয় প্রায় ৫০ হাজার মানুষ জীবন জীবিকা নির্বাহ করে। বিগত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে দেশীয় শিল্প ধ্বংস করা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকা ২০১৩ ও ২০১৯ সালের কালো আইন করে এই শিল্পকে ধ্বংস করা ষড়যন্ত্র চলছিল। এমতাবস্থায় ইটভাটা বন্ধ হলে ইটভাটা মালিকগণ ব্যাংকে ঋণসহ অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হবে।
অন্যদিকে শ্রমিকগণ অভাব-অনাটনে পরিবার-পরিজন নিয়ে অসহায় ভাবে জীবন যাপন করবে। ২০১৩ সালের কাল আইন অনুযায়ী ইটভাটা বন্ধ করা হলে দেশের সরকারি বেসরকারি সকল উন্নয়ন কাজ বন্ধ হয়ে যাবে। একইসঙ্গে দেশের অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। চলতি মৌসুমে কোন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাসহ ইটভাটা বন্ধ না করে বিগত সরকারের কালো আইন বাতিল করার জোর দাবি জানান। অন্যথায় ইটভাটার মালিক ও শ্রমিকগণ নিজেদের সম্পদ ও জীবন বাঁচাতে আন্দোলনের মতো কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।
বিষয়টি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পরিবেশ বন ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার, কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, পরিবেশ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ও প্রেসক্লাবের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক বরাবর স্মারকলিপি অনুলিপি প্রদান করেন।