শেষ হলো মসজিদে হারামের সম্প্রসারণ প্রকল্প

মক্কা, ইসলাম

নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম |

শেষ হলো মক্কার মসজিদে হারামের সম্প্রসারণ প্রকল্প। দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম শেষে বহুল প্রতীক্ষিত এই প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর ফলে লাখ লাখ হজ ও উমরাযাত্রী আধুনিক বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বোগ করবেন। বলা হচ্ছে, এর মধ্য দিয়ে সৌদি আরব এক নতুন যুগের সূচনা করেছে। সেই সঙ্গে ঘোষিত ভিশন ২০৩০ লক্ষ্য অর্জনে একধাপ এগিয়ে গেলো দেশটি।

প্রায় ১৫ বছর আগে শুরু হওয়া এই বৃহৎ প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল মসজিদের অবকাঠামোকে আধুনিক করা, ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি করা আর প্রতি বছর আগত লাখ লাখ হজ ও উমরাযাত্রীর জন্য আরও আরামদায়ক ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা।

মসজিদে হারামের এ সম্প্রসারণ প্রকল্প অবশেষে সফলভাবে শেষ হলো। বিস্তৃত সংস্কার ও সম্প্রসারণ কার্যক্রমের মাধ্যমে মসজিদে হারাম এক নতুন রূপ লাভ করেছে, যেখানে সংযোজিত হয়েছে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা, উন্নত ভিড় ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা, ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত নামাজের স্থান। এই প্রকল্পের ফলে দর্শনার্থীদের অভিজ্ঞতা আরও উন্নত হবে বলে মনে করে সৌদি।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সম্প্রসারণ প্রকল্পের সফল সমাপ্তি সৌদি আরবের দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন। দেশটি ধর্মীয় ঐতিহ্য সংরক্ষণের পাশাপাশি সৌদি আরবের বৃহত্তর ভিশন ২০৩০ লক্ষ্য অর্জনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

এই প্রকল্প ব্যাপক সমর্থন লাভ করেছে, এর সফল সমাপ্তি হজ, উমরা এবং অন্যান্য বিশেষ উপলক্ষ্যে ক্রমবর্ধমান হজযাত্রীদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

মসজিদে হারামের এই উন্নয়নের ধাপে প্রবেশ করায়, হজযাত্রী ও দর্শনার্থীরা আরও আধুনিক, দক্ষ ও আধ্যাত্মিকভাবে মনোমুগ্ধকর পরিবেশ উপভোগ করতে পারবেন।

শেষ হলো মক্কার মসজিদে হারামের সম্প্রসারণ প্রকল্প, ছবি: সংগৃহীত

নির্দিষ্ট সময়ে কাজটি শেষ করতে বেশ বেগ পোহাতে হয়েছে। এমনকি বৈশ্বিক মহামারি করোনার সংক্রমণ ও বিস্তাররোধে জারি করা লকডাউনেও মসজিদে হারামের নির্মাণ কাজ বন্ধ করা হয়নি।

সৌদি আরব প্রতিষ্ঠার পর এটা মসজিদে হারামের তৃতীয় সম্প্রসারণ প্রকল্প। এর ফলে মসজিদে হারামের আয়তন ৪১৪,০০০ বর্গমিটার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১.৫৬৪ মিলিয়ন বর্গমিটারে উন্নীত হবে। স্বাভাবিকবাবেই নামাজের জায়গা বাড়বে। সেই সঙ্গে উন্নত সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত শৌচাগার ও অজুখানার সংখ্যাও বাড়বে।

ভবনের সম্প্রসারণ শেষ হলেও বাইরের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ চলবে। বিভিন্ন রঙের মনোমুগ্ধকর ধাতব বস্তু ও কাঁচের সংমিশ্রণে কোরআনে কারিমের ক্যালিগ্রাফি সমৃদ্ধ নকশাগুলো দর্শনার্থীদের দেবে তৃপ্তি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর