হুয়াওয়ের পাবলিক ক্লাউডে যুক্ত হলো ইফাদ মাল্টিপ্রোডাক্টস
-
-
|

ছবি: সংগৃৃহীত
নিজেদের অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া উন্নতির লক্ষ্যে হুয়াওয়ে পাবলিক ক্লাউডের সঙ্গে সংযুক্ত হলো ইফাদ মাল্টিপ্রোডাক্টস।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে হুয়াওয়ের সিএসআইসি-তে (কাস্টমার সল্যুশন ইনোভেশন সেন্টারে) হুয়াওয়ে ডিজিটাল টেকনোলজিস (হংকং) কোম্পানি লিমিটেড, ওমেগা এক্সিম লিমিটেড ও ইফাদ মাল্টিপ্রোডাক্টস কোম্পানির মধ্যে একটি ত্রিপাক্ষিক চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
চুক্তির আওতায় বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় টেকনোলজিস কোম্পানি হুয়াওয়ে, ইফাদ’কে এসএপি প্লাটফর্মের জন্য ক্লাউড সল্যুশন প্রদান করবে। এই পুরো প্রক্রিয়ায় কারিগরি সহায়তা দিবে হুয়াওয়ে’র কনসাল্টিং পার্টনার ওমেগা এক্সিম লিমিটেড। এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হুয়াওয়ের চিফ টেকনিকাল অফিসার (সিটিও) জেরি ওয়াংশিউ, ওমেগা এক্সিমের পরিচালক রেজওয়ান আলি ও ইফাদ মাল্টিপ্রোডাক্টস কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ সহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ ।
হুয়াওয়ে ‘এসএপি অন ক্লাউড’ সলিউশনের মাধ্যমে ইফাদ মাল্টিপ্রোডাক্টস নিজেদের খরচ কমিয়ে আনার পাশাপাশি নিজেদের ব্যবস্থাপনা আরও সহজ ও নির্বিঘ্ন করতে পারবে। সহজ হবে কারিগরি আপগ্রেড এবং সার্ভিস এক্সপানশন। সেই সাথে নিরাপত্তা ও বিশ্বাসযোগ্যতার সাথে বিশ্বমানের সেবা পাওয়ার নিশ্চয়তা থাকছে।
হুয়াওয়ের সিটিও জেরি ওয়াংশিউ বলেন, আজকের বিশ্ব ডিজিটাল উন্নয়নের যুগ। আর তাই এন্টারপ্রাইজগুলো ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনাগত উন্নতি সাধন করতে পারে। হুয়াওয়ে ক্লাউড এসএপি সল্যুশন শুধু ক্লাউডে এসএপি পদ্ধতিতেই যুক্ত হবে না, এটি হুয়াওয়ের টেকনোলজিসের ক্লাউড সমন্বয়, বিগ ডেটা, আইওটি এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে সর্বদা পরিবর্তনশীল বাজার ও ব্যবসায়ের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে আরও দক্ষতা, বুদ্ধিমত্তা ও উন্নত ডিজিটাল কার্যক্রমে সহায়তা করবে। পাশাপাশি আমরা এড়াতে পারব যে কোন অনেক বিপত্তিও।
ইফাদ মাল্টিপ্রোডাক্টসের সিইও বলেন, ইফাদ ক্রমাগত এর পরিধি বৃদ্ধি করতে চায়। হুয়াওয়ে ক্লাউড এসএপি সল্যুশন দিয়ে ব্যবসা ও এর ব্যবস্থাপনাগত উন্নতি সাধনের মাধ্যমে পরিচালন ব্যয় কমিয়ে আনতে সহায়তা করবে, যা আমাদের সাহায্য করবে আমাদের ভোক্তাদের স্বার্থ আরও বেশি নিশ্চিত করতে।
রেজওয়ান আলি বলেন, আমরা প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করি। কারণ আমরা বিশ্বাস করি নতুন প্রযুক্তি আমাদের জন্য সবসময় সুফল নিয়ে আসে। বিশ্বজুড়ে হুয়াওয়ে এখন আইসিটি ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানীয়। আমরা বুঝতে পেরেছি এর পিছনে রয়েছে হুয়াওয়ের গ্রাহককেন্দ্রিকতা এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধতা। আর এটাই আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে এর সাথে অংশীদার হিসেবে কাজ করতে।
হুয়াওয়ে ক্লাউড সেবা নিয়ে বাংলাদেশে কাজ করছে ২০১০-১১ সাল থেকে, শুরুতে সেই কার্যক্রম সীমাবদ্ধ ছিল শুধুই মোবাইল অপারেটরদের নিজস্ব নেটওয়ার্কে। সময়ের সাথে সাথে, পরবর্তীতে তার ডাটা সেন্টার নিয়েও কাজ করেছে বাংলাদেশ সরকার এবং বেশ কিছু স্বনামধন্য বেসরকারি ক্লাউড/র্যাকস্পেস কোলোকেশন সার্ভিস প্রোভাইডারদের সাথে। বাংলাদেশের আইসিটি উন্নয়নের ধারায় আরও কার্যকরী ভূমিকা রাখতে এবং নতুন উদ্ভাবনী সার্ভিসের দ্বার দেশের সবার জন্য উন্মোচন করতে হুয়াওয়ের সর্বশেষ প্রচেষ্টা এই পাবলিক ক্লাউড। বাংলাদেশের যে কোন ছোট বড় প্রতিষ্ঠান কিংবা স্বতন্ত্র ব্যাবহারকারীরা হুয়াওয়ের ক্লাউড পার্টনারদের মাধ্যমে এই সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।