বাংলাদেশ ও নেপালের পাঁচ ম্যাচের কাবাডি টেস্ট সিরিজ শুরু হচ্ছে আগামীকাল শনিবার। আজ শুক্রবার দুই দলের অধিনায়কের উপস্থিতিতে পল্টন ময়দানে টেস্ট সিরিজের ট্রফি উন্মোচন ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। একই সাথে মিজানুর রহমানকে অধিনায়ক করে ১৬ সদস্যের বাংলাদেশ দলও ঘোষণা করা হয়।
তারুণ্যের উৎসবে দেশজুড়ে যুব কাবাডি প্রতিযোগিতা আয়োজনের পরই বাংলাদেশ জাতীয় কাবাডি দল ও নেপাল জাতীয় কাবাডি দলের মাঝে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ আয়োজন করছে কাবাডি ফেডারেশন। পল্টন ময়দানে ২২,২৩, ২৫, ২৬ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি ম্যাচই শুরু হবে বিকাল সাড়ে তিনটায়। ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে প্রথমবার কাবাডি টেস্ট সিরিজ হয়েছিল। ৫১ বছর পর আবার কাবাডি টেস্ট সিরিজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
এই সিরিজ দিয়ে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মান আরো বাড়বে বলে মনে করেন অধিনায়ক মিজানুর রহমান। নেপাল বাংলাদেশের চেনা প্রতিপক্ষ। ঢাকায় যে চারটি আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্ট হয়েছে সবগুলোতে খেলেছে নেপাল। কিন্তু নেপাল কখনো বাংলাদেশকে হারাতে পারেনি। সেই ধারাবাহিকতা এই টেস্ট সিরিজেও ধরে রাখার কথা জানিয়েছেন মিজানুর রহমান। নেপালকে পাঁচ ম্যাচেই হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ করতে চায় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ দলের প্রস্তুতি ভালো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোচ বাদশা মিয়া, ‘১০ জানুয়ারি অনুশীলন শুরু করেছি। প্রস্তুতি ভালো হয়েছে। নতুন পুরনো মিলে ভালো দল হয়েছে আমাদের। আশা করি ভালো কিছু হবে। পাঁচটা ম্যাচ খেললে অনেক অভিজ্ঞতা হবে যা আমাদের পরবর্তীতে কাজে দেবে।’
কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম নেওয়াজ সোহাগ জানিয়েছেন বর্তমান কমিটির দায়িত্ব নেয়ার পর ক্যালেন্ডার ঘোষণা করেছিল। সেই ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এই সিরিজ হচ্ছে। ভবিষ্যতে অন্যান্য দেশও বাংলাদেশের সাথে সিরিজ খেলবে বলে জানিয়েছেন কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক। একই সাথে বাংলাদেশ দলও সিরিজ খেলতে দেশের বাইরে যাবে। অর্থাৎ হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে সিরিজগুলো অনুষ্ঠিত হবে। বিভিন্ন গেমসে বাংলাদেশ দল যেসব পদক হারিয়েছে তা পুনরুদ্ধার করাই লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন এস এম নেওয়াজ সোহাগ।
পাঁচ ম্যাচের সিরিজ আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন নেপাল কাবাডি দলের ম্যানেজার খেম শর্মা, ‘এখানে আসতে পেরে খুব সম্মানিত আমরা। এই সিরিজের দারুন সফলতা আশা করছি। এর মধ্য দিয়ে দুই দেশের কাবাডির সম্পর্ক আরো গভীর হবে। ভবিষ্যতে আমরা বাংলাদেশ দলকে আমন্ত্রণ জানাবো। আমরা বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জিতব সেটা কখনো বলছি না। তবে আমাদের প্রস্তুতি ভালো।’
বাংলাদেশ দল : মিজানুর রহমান (অধিনায়ক), দিপায়ন গোলদার, রাজিব আহমেদ, নেসার হাওলাদার, নাসির উদ্দিন, লিটন আলী, রোমান, ফারদৌস শেখ, মনিরুল চৌধুরী (সহ-অধিনায়ক), রাজু শেখ, রাসেল হোসেন, অমল চন্দ্র রায়, সবুজ মিয়া, আল আমিন, আসাদুজ্জামান, সাজিদুল চাকলাদার
বাদশা মিয়া (কোচ ও ম্যানেজার), মোঃ আশরাফুল ইসলাম (কোচ), মোঃ বজলুর রশিদ (কোচ), সুজিত কুমার ব্যানার্জী (স্ট্রেন্থ ও কন্ডিশনিং কোচ)।