প্রথমবারের মতো নারী ফুটবল দলের হাতে একুশে পদক
-
-
|

পুরস্কার হাতে সাফজয়ী মেয়েরা
দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সামরিক পদক একুশে পদক হাতে পেলো সাফজয়ী নারী খেলোয়াড়রা। আজ বৃহস্পতিবার অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস সাফজয়ী নারী দলের অধিনায়ক সাবিনার হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন। এ সময় মঞ্চে সাফজয়ী বাংলাদেশ নারী দলের অন্য ফুটবলাররাও উপস্থিত ছিলেন ।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে দলের ২৩ সদস্যের পাশাপাশি টিম ম্যানেজমেন্টও উপস্থিত ছিলেন। যদিও শুরুতে পদকের জন্য নারী ফুটবল দলের ১১ জনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। কিন্তু কোন ১১ জন পাঠাবে এটা নিয়ে বেশ বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। পরে দলের ৩২ সদস্যকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করে তারা। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি বিবেচনা করে ২৩ ফুটবলারের পাশাপাশি কোচ-কর্মকর্তাসহ আরও ৯ জনকে আমন্ত্রণ জানায় সরকার।
এ পুরস্কারের মধ্য দিয়ে প্রথম কোনো ক্রীড়াদল হিসেবে পুরস্কার পেল সাবিনারা। ২০০১ সালে সংস্থা হিসেবে স্বাধীনতা পদক পেয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে স্বাধীনতা পদকের জন্য স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল অনেকবার আবেদন করলেও সে আবেদনে কখনো সাড়া দেয়নি মন্ত্রণালয়।
গেল বছর নেপালের মাটিতে স্বাগতিক নেপালকে হারিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফি ঘরে আনে বাংলাদেশের মেয়েরা। সেই দলের সঙ্গে ছিলেন রুপনা চাকমা, ইয়ারজান বেগম, মনিকা চাকমা, মারিয়া মান্ডা, মাতসুশিমা সুমাইয়া, তহুরা খাতুন, শামসুন্নাহার জুনিয়র, সাবিনা খাতুন, কৃষ্ণা রানি সরকার, সানজিদা আক্তারসহ অনেকেই।