কুষ্টিয়ার ১৮টি রেড জোনে লকডাউন বৃহস্পতিবার

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস
  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ম্যাপ

ম্যাপ

কুষ্টিয়া ও ভেড়ামারার ১৮টি রেড জোনে লকডাউন শুরু হচ্ছে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে।

মঙ্গলবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় এ খবর নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির নেতারা।

বিজ্ঞাপন

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মৃণাল কান্তি দে জানান, সংক্রমণ ঠেকাতে ‘রেড জোন’ ঘোষিত এলাকায় গণবিজ্ঞপ্তি জারিসহ সকল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা বলবৎ করা হবে।

তিনি আরও জানান, কুষ্টিয়া পৌরসভার ৮টি ওয়ার্ড, সদর উপজেলার একটি ইউনিয়ন এবং ভেড়ামারা পৌরসভার ৭টি ওয়ার্ড এবং ২টি ইউনিয়নকে রেড জোনের আওতায় নিয়ে লকডাউনের ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে এই লকডাউন কার্যকর হবে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে গত ১৪ দিনে করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যার ভিত্তিতে ওয়ার্ডগুলোকে তিন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়। তার মধ্যে কুষ্টিয়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড (থানাপাড়া ও কমলাপুর), ২নং ওয়ার্ড (কুঠিপাড়া), ৫নং ওয়ার্ড (চৌড়হাস, ফুলতলা), ৬নং ওয়ার্ড (হাউজিং), ৭নং ওয়ার্ড (কালিশংকরপুর), ১৬ নং ওয়ার্ড (বাড়াদী ও কমলাপুর), ১৮ নং ওয়ার্ড (মজমপুর ও উদিবাড়ী) এবং ২০নং ওয়ার্ড (কুমারগাড়া ও চেঁচুয়া) ও শহর লাগোয়া হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন রেড জোন ঘোষণা করা হয়।

অন্যদিকে, ভেড়ামারা পৌরসভার রেড জোন এলাকাগুলো হলো— ১নং ওয়ার্ড ফারাকপুর, ২নং ওয়ার্ড ফারাকপুর ও নওদাপাড়া, ৩নং ওয়ার্ড নওদাপাড়া, ৪নং ওয়ার্ড নওদাপাড়া ও পূর্ব ভেড়ামারা, ৬নং ওয়ার্ড কলেজপাড়া, ৮নং ওয়ার্ড কুঠিবাজার ও ৯ নং ওর্য়াড বামনপাড়া।

এছাড়াও চাঁদগ্রাম এবং বাহিরচর ইউনিয়নকেও রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে।

কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ও করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, করোনা প্রতিরোধ ও জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় জেলার সদর উপজেলার বেশ কিছু এলাকা লাল, হলুদ ও সবুজ হিসাবে জোন ভিত্তিক চিহ্নিত করা হয়েছে। এলাকাভিত্তিক জনসংখ্যার পাশাপাশি সংক্রমণ ও রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় জোনভিত্তিক এলাকা চিহ্নিত করা হয়। গত ১৪ দিনে যে এলাকায় প্রতি লাখে ১০ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে সেই এলাকাগুলো রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত রোগী সংখ্যা ২৪৩ জন। এদের মধ্যে ৫০ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এছাড়া ৯ জন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন এবং ১৮৩ জন হোম আইসোলেশনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।