থানার ভেতরে ছাত্রদল নেতার হামলায় ২ শিক্ষার্থী আহত

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

সহপাঠী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনার বিচার চাইতে এসে থানার ভেতরেই মারধরের শিকার হন লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র প্রতিনিধি ইলমান ফারাবিসহ কয়েকজন।

শনিবার (২২ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে সদর মডেল থানার ভেতরে ছাত্রদল নেতা জাহিদুল ইসলাম সৈকতসহ তার লোকজন ফারাবিদের মারধর করে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে ২ জন আহত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে পৌর শহরের বাইশমারা এলাকায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে রিকশা ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটি হলে শিক্ষার্থী হাবিবুল্লাহ বাহারকে মারধর করে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র প্রতিনিধি ফারাবিসহ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে।

পরে তারা সদর মডেল থানায় বিচারের জন্য এসে জড়ো হয়। থানার ভেতরেই তাদের সঙ্গে লক্ষ্মীপুর পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম- আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম সৈকত বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে সৈকতসহ তার লোকজন তাদের মারধর করে। এতে ফারাবিসহ ২ জন আহত হয়। এ ঘটনায় তারা বিচারের দাবিতে থানা গেইটে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। আহত অন্য জনের নাম জানা যায়নি।

বিজ্ঞাপন

এদিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ রেজাউল হক, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ, জেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক একেএম ফরিদ উদ্দিন ও লক্ষ্মীপুর শহর জামায়াতের আমীর আবুল ফারাহ নিশান উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করে। তবে তারা কোনোভাবে শান্ত হচ্ছিল না। পরে ঘটনাটি নিয়ে ওসির কক্ষে বৈঠকে বসেন পুলিশ ও যুবদল-জামায়াতের সিনিয়র নেতারা।

অভিযুক্ত লক্ষ্মীপুর পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম সৈকত বলেন, রিকশা ভাড়া নিয়ে পলিটেকনিকের সামনে এক ছাত্রের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে তারা পৌর ১২ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি বিপ্লবকে দোষারোপ করে। তাকে ধরে এনে মারধরের হুমকি দেয় শিক্ষার্থীরা। ঘটনাটি জানতে থানায় আসলে তারা ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে তেড়ে আসে। এ সময় তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডতা ও হাতাহাতি হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ রেজাউল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রদল নেতার হাতাহাতির ঘটনায় দলের সিনিয়র নেতারা রোববার বসবেন। উভয়পক্ষকে শান্ত থাকার জন্য বলা হয়েছে। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে সিনিয়র নেতারা দায়ভার নেবেন। এছাড়া পলিটেকনিকের সামনে ছাত্রের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হবে।