যশোরে পুতনিকে ধর্ষণের অভিযোগ দাদার বিরুদ্ধে
-
-
|

ছবি: সংগৃহীত
যশোরের মণিরামপুর উপজেলায় ১২ বছরের পুতনিকে ধর্ষণের অভিযোগে দাদা লুৎফর রহমান গাজী (৬০) কে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৮ মার্চ) রাত ১০টার দিকে মণিরামপুরে হাজরাকাটি গ্রামে লুৎফরকে গণপিটুনি দিয়ে থানায় সোপর্দ করে এলাকাবাসী।
ধর্ষণের অভিযোগে মামলা ও আটকের পর আদালতে প্রেরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে থানার ওসি নূর মোহাম্মদ গাজী। আটক লুৎফর রহমান গাজী একই গ্রামের জামির আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, শিশুটির বাবা শারীরিক প্রতিবন্ধী। তিন বছর আগে মা তাদের দুই ভাই বোনকে রেখে চলে যান। মাসখানেক আগে দাদা লুৎফর গাজী একবার শিশুটিকে ধর্ষণ করার বিষয়টি জানাজানি হলে বিষয়টি মিথ্যা বলে পারিবারিক ভাবে জানায়। বিষয়টি পরিবারের লোকজন জানার পর পারিবারিকভাবে লুৎফর গাজীকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেছে। গত রোববার শিশুটির নানী তাঁদের দেখতে আসেন। মেয়েটি দাদার বাড়িতে থাকতে আপত্তি তুলে নানীর সাথে চলে যেতে চায়। নানী কারণ জানতে চাইলে সে তার সাথে ঘটে যাওয়া দাদার কুকর্মের কথা ফাঁস করে। এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সোমবার রাত ১১টার দিকে থানা পুলিশ গিয়ে লুৎফর গাজীকে আটক করে শিশুটিকে হেফাজতে নেয়।
ধর্ষনের শিকার শিশুর দাদি ও অভিযুক্তের স্ত্রী খোদেজা বেগম জানান, আমার পুতনি অনেকদিন আগে থেকে আমাকে বিষয়টা জানিয়ে ছিলো। আমি তার পর আমার স্বামীকে বলেছি পুতনি বড় হয়েছে তার গায়ে এ ভাবে হাত দিবা না। তার কাছে ও যাবা না তারপর থেকে বিষয়টা কিছুদিন চুপ ছিলো। গত সোমবার আমার পুতনির চাচতো নানি বেড়াতে আসলে পুতনি তার সাথে বিষয়টি বলেছে। তারপর এলাকায় জানাজানি হলে পুলিশ এসে আমার স্বামীকে আটক করে নিয়ে যায়। তবে আমার স্বামী এ ধরনের ঘটনা এর আগেও একাধিক বার ঘটিয়েছে।
শিশুর নানি ও মামলার বাদি রাশিদা খাতুন বলেন, আমি আমার অন্য জামাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসলে আমার নাতি আমার সাথে দেখা করতে আসে। এসে সে বলে তার দাদা তার শরীরে খারাপ ভাবে স্পর্শ করে এবং আগেও এমন করেছে সে এটা শুনার পর আমি আমার জামাইকে বিষয়টা জানালে সে এলাকাবাসীকে নিয়ে লুৎফর রহমানকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
এবিষয়ে মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ গাজী বলেন, রাতেই শিশুটির নানী বাদী হয়ে দাদা লুৎফর গাজী বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। লুৎফর রহমানকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে তাঁকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।