মিরপুরে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাজধানীর মিরপুর এলাকার মার্কেটগুলোতে বেড়েছে ক্রেতাদের ভিড়। বিশেষ করে, মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরের আশেপাশের ফুটপাতের দোকানগুলোতে জমে উঠেছে বেচাকেনা।

বিজ্ঞাপন

এছাড়াও মিরপুর-১ গোলচত্বরে মিরপুর নিউ মার্কেট এবং মিরপুর-২ এর মিরপুর শপিং সেন্টারেও ক্রেতাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এখানে দেশের বিভিন্ন নামকরা ব্র্যান্ডের শোরুম, বুটিক, কসমেটিক্স, গিফট শপ ও অন্যান্য বিপণীবিতানের শাখা রয়েছে, যা ক্রেতাদের আকর্ষণ করছে।

আজ (১৭ মার্চ) সোমবার সন্ধ্যায় মিরপুরের ফুটপাত ও মার্কেটগুলোতে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বিজ্ঞাপন

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ঈদকে সামনে রেখে প্রতিদিনই নতুন পোশাকের পসরা সাজানো হচ্ছে। ২০ রমজানের পর থেকে ক্রেতার ভিড় আরও বাড়বে বলে আশা করছেন তারা। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, মিরপুর-১০ নম্বরের গোলচত্ত্বরের সড়কের পাশের ফুটপাতে বেচাকেনা বেশ জমে উঠেছে। সেখানে বিশেষ করে, পুরুষদের শার্ট, প্যান্ট, টিশার্ট, পাঞ্জাবি, জুতা, কমরের বেল্টসহ আরও অনেক কিছু বিক্রি করা হয়। ক্রেতাদের উপস্থিতি ছিল বেশ চোখে পড়ার মতো। এছাড়া, মিরপুর-১ এর সনি সিনেমা হলসহ অন্যান্য ভবনগুলোতে ব্র্যান্ডের শোরুমের ক্রেতাদের উপস্থিতি আকর্ষণ করছে।

আরিফ নামের এক দোকানদার বলেন, প্রথম রোজা থেকেই ক্রেতাদের উপস্থিতি বেড়েছে। তবে, ১৪ রোজার পর থেকে ক্রেতাদের সমাগম বেড়েছে। বেচাকেনাও বেশ ভালো হচ্ছে।

সোহেল নামের একজন ক্রেতা বার্তা২৪'কে বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে শার্ট, প্যান্টসহ অন্যান্য সব জামাকাপড়ের দাম বেড়েছে। ৪০০ টাকার প্যান্ট এখন ৬০০ টাকার নিচে বিক্রি করছে না। ৩৫০-৪৫০ টাকার শার্টের এখন দাম নিচ্ছে ৫৫০-৬০০ টাকা। দোকানদাররা দাম কম রাখছে না। এতে কিছুটা খারাপ লাগছে।

দাম বেশি রাখার কারণ জানতে চাইলে দোকানীরা জানান, বছরে ঈদ আসে মাত্র দু'বার। এখন একটু দাম বেশি রেখে বিক্রি না করলে, আর কখন করব।

এদিকে মিরপুর-১ এর নিউমার্কে এবং মিরপুর-২ এর বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাদের ভিড় ফুটপাতের তুলনায় কিছুটা কম। মার্কেট ঘুরে কিছু ব্র্যান্ডের শো-রুমে ক্রেতাদের ভিড় ছিল। বাকি দোকানগুলোতে তেমন ভিড় চোখে পড়েনি।

মিরাজ নামের একজন কাপড় দোকানদার জানান, ছুটির দিনগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় থাকে। এছাড়া অন্যান্য দিনগুলোতে ক্রেতার পরিমাণ স্বাভাবিক পর্যায়ে থাকে৷ তবে, ২০ রমজানের দিকে ক্রেতাদের ভিড় বাড়বে বলে আমরা আশা করছি।

বেচাকেনা কেমন হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বেচাকেনা একেবারে ভালো হচ্ছে বলব না। তবে, খারাপও হচ্ছে না।

পরিবারসহ মার্কেট করতে এসেছেন নুসরাত আক্তার। তিনি বলেন, আগের তুলনায় এখন সবকিছুর দাম বেশি। মূলত ঈদের কারণেই দোকানদাররা দাম বাড়ানো হয়েছে বলে জানান তিনি।