বরগুনায় শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ঝালমুড়ি বিক্রেতা আটক
-
-
|

ছবি: সংগৃহীত
বরগুনায় এক পথশিশুকে ধর্ষণচেষ্টার পর হাসপাতালে লুকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে এক ঝালমুড়ি বিক্রেতার বিরুদ্ধে। ঘটনার সাত দিন পর শিশুটিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুকবার (১৪ে মার্চ) দিবাগত রাত ২টার দিকে পৌরশহরের নয়াকাটা এলাকার ভাড়া বাসা থেকে অভিযুক্ত ঝালমুড়ি বিক্রেতা মোসলেম (৬৫) কে আটক করা হয়েছে।
অভিযুক্ত মোসলেম সদর উপজেলার হেউলিবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা। মোসলেম বরগুনা সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ঝালমুড়ি বিক্রি করতেন।
ভুক্তভোগী শিশুটি বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের বৈকালীন বাজার এলাকার বাসিন্দা। শিশুটির বাবা ভিক্ষুক ও মা মানসিক প্রতিবন্ধী। শিশুটি শহরের বিভিন্ন জনবহুল স্থানে এবং বরগুনা সদর হাসপাতাল এলাকায় ভাসমান অবস্থায় থাকতো।
ভুক্তভোগী জানান, গত ৭ মার্চ বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের দক্ষিণ পাশের গেটের কাছে পথশিশুটিকে চকোলেটের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন মোসলেম। এ সময় তার পাশবিক নির্যাতনের ফলে শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং তাকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
স্থানীয়দের মধ্যে ঘটনাটি নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়লে খোঁজ করলে এক পর্যায়ে হাসপাতালে দেখা যায়, শিশুটিকে কোনো রেজিস্ট্রারে ভর্তি করা হয়নি। পরে, পঞ্চম তলার একটি ওয়ার্ডে তার সন্ধান মেলে।
শনিবার রাতে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে। এ সময় পথশিশুটির সঙ্গে তার ছোট বোনও ছিল। সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে গেলে শিশুটি নিজেই অভিযুক্ত মোসলেমকে শনাক্ত করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোসলেম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন বলে জানায় পুলিশ।
বরগুনা থানা অফিসার ইনচার্জ দেওয়ান জগলুল হাসান জানান, খবর পেয়ে সারারাত অভিযান চালিয়ে আমরা নির্যাতিত শিশুটিকে উদ্ধার করি এবং তার দেওয়া বর্ণনা অনুযায়ী তিনজনকে আটক করি। এদের মধ্যে এক বৃদ্ধকে শিশুটি শনাক্ত করেছে এবং আমরা তাকে গ্রেফতার করেছি। ভুক্তভোগীর বক্তব্য অনুযায়ী বৃদ্ধের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।