রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা কমিয়ে দেওয়া এক ভয়াবহ বিপর্যয়: জাতিসংঘ মহাসচিব

  • আবদু রশিদ মানিক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা কমিয়ে দেওয়া এক ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। কারণে মানুষ কষ্ট পাবে, মানুষ মারা যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় উখিয়ার ২০ নম্বর ক্যাম্প এক্সটেনশনে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার অনুষ্ঠানে রমজান সংহতি সফর উপলক্ষ্যে রোহিঙ্গাদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আমরা এক গভীর মানবিক সংকটের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি। তহবিল সংকটের কারণে ২০২৫ সালে শুধুমাত্র ২০২৪ সালের তুলনায় ৪০% সহায়তা পাওয়া যাবে। এটি হবে এক ভয়াবহ বিপর্যয় – মানুষ কষ্ট পাবে, মানুষ মারা যাবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অবশ্যই এখনই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। এই সংকটে যারা সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের সাহায্য করা আমাদের দায়িত্ব।

এসময় তিনি আরও বলেন, এমনিতেই শরণার্থীদের জন্য সহায়তা যথেষ্ট ছিল না, আর এখন আমরা ভয়াবহ বাজেট সংকটের মুখে। জাতিসংঘের সংস্থাগুলো ও বিভিন্ন মানবিক ও উন্নয়ন সংস্থাগুলো মারাত্মক তহবিল সংকটের সম্মুখীন। এটি সরাসরি মানুষের খাদ্য, চিকিৎসা ও মৌলিক সেবার উপর প্রভাব ফেলবে। এই ক্যাম্পের প্রতিটি শরণার্থী মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল।কক্সবাজার বাজেট সংকটের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। এখানে তহবিল সংকোচন মানেই মানুষের দুর্ভোগ ও মৃত্যু।

বিজ্ঞাপন

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, চূড়ান্ত সমাধান অবশ্যই মিয়ানমারেই খুঁজতে হবে।আমরা কখনও হাল ছাড়বো না যতদিন না রোহিঙ্গারা নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও স্বেচ্ছামূলকভাবে তাদের জন্মভূমিতে ফিরে যেতে পারে। এখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব গ্রহণের সময়। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি সংহতি এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি প্রয়োজন – ঠিক যেমন প্রয়োজন বাংলাদেশের প্রতি সংহতি।

এদিকে আগামী বছর ঈদ যেন রোহিঙ্গারা নিজ দেশ মিয়ানমারের রাখাইনে উদ্‌যাপন করতে পারে সেজন্য জাতিসংঘের সঙ্গে মিলে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার শেষে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের উপস্থিতিতে তিনি এ কথা বলেন। রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ভালোভাবে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ইউনূস চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বক্তব্য রাখেন।