দুই মাস পর সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরার অনুমতি পেল জেলেরা

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ ২ মাসের নিষেধাজ্ঞা থাকার পর সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরার অনুমতি পেয়েছে স্থানীয় জেলেরা। 

শনিবার (১ মার্চ) সকাল থেকে বনবিভাগ জেলেদের কাঁকড়া ধরার অনুমতিপত্র দেওয়া শুরু করেছে, যার মাধ্যমে তারা আবার সুন্দরবনের নদী-খালে কাঁকড়া ধরতে পারবেন। নিষেধাজ্ঞা শেষ হতেই বনজীবীরা সুন্দরবনে প্রবেশ শুরু করেছেন।

বিজ্ঞাপন

সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের বুড়িগোয়ালীনি স্টেশন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুম থাকায় দুই মাস নিষেধাজ্ঞা ছিল। আজ থেকে অনুমতিপত্র দেওয়া হচ্ছে, এবং জেলেরা সুন্দরবনে প্রবেশ করছেন।

উপকূলীয় গাবুরা ইউনিয়নের ৯ নম্বর সোরা গ্রামের জেলে কাদের আলী। বছরের বেশির ভাগ সময়ে সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরে মধু কেটে সংসার চালান। সুন্দরবন তার নৃত্য আয়ের সঙ্গী। কিন্তু সুন্দরবনে দুই মাস কাঁকড়া ধরার পাশ বন্ধ থাকায় ধারদেনা করে চালাতে হয়েছে তার সংসার জীবন। কাঁকড়া ধরার অনুমতি পাওয়া কাদেরের মতো অনেক জেলে হাফ ছেড়ে বেঁচেছেন। তবে সুন্দরবনে গিয়ে কাঁকড়া ধরে আয় করে বাকি ধারদেনা পরিশোধ করবেন বলে জানান অনেকেই।

বিজ্ঞাপন

বনজীবী সাইফুল ইসলাম জানান, উপকূলের জেলে-বাওয়ালীরা মূলত সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল। বছরে ১২ মাসের মধ্যে যদি ছয় মাস পাশ বন্ধ থাকে, তাহলে আমাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকে না। এতে আমরা খুব কষ্টে দিন কাটাই।

বনবিভাগ জানায়, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসকে কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুম হিসেবে ধরা হয়। প্রজনন সুরক্ষায় এ সময়টায় সুন্দরবনের নদী-খালে কাঁকড়া আহরণ নিষিদ্ধ থাকে। এজন্য গত ১ জানুয়ারি থেকে কাঁকড়া ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। এই সময়ের মধ্যে কোন বনজীবীকে কাঁকড়া ধরার অনুমতি পত্র দেয়া হয়নি। তবে লোকালয়ে কাঁকড়া ক্রয় বা বিক্রয় চালু ছিল।

উল্লেখ্য, সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের জলভাগে ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া রয়েছে। এর মধ্যে শুধু শিলা কাঁকড়া জেলেরা আহরণ করে বিক্রি করেন।