বিডিআর হত্যাকাণ্ডে সাবেক সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদও দায়ী: হাফিজ
-
-
|

ছবি: বার্তা২৪.কম
বিডিআর হত্যাকাণ্ডের জন্য সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদকেও দায়ী করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউটে পিলখানায় শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, সেদিন তার উচিত ছিল সেনাদল নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া তার সেনাবাহিনীর বন্ধুদের কে, ভাইদেরকে রক্ষা করার জন্য। সেটা করতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। তাই বিডিআর হত্যাকাণ্ডের জন্য সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদও দায়ী।
তিনি বলেন, সামরিক আইনে স্পষ্টভাবে বলা আছে, যদি কোথাও কোন বিদ্রোহ ঘটে, সেই বিদ্রোহ ঘটনায় যে দাঁড়িয়ে থাকবে, মারতে গেল না, হয়তো অন্য কাজ করছে কিন্তু তারপরেও অবশ্যই কর্তব্য তার বিদ্রোহ দমনে চেষ্টা না করেন তবে তাকেও বিদ্রোহের জন্য অভিযুক্ত করা হবে। অনেক লোক মুক্তি পেয়ে গেছে, জেল থেকে মুক্তি পেয়েছে। অনেকে কোর্টে গিয়ে বলে আমরাও নিরপরাধ। কিন্তু সামরিক আইন অনুসারে সেদিন যদি কেউ গাড়ি চালিয়ে থাকে, হাসপাতালে ডিউটি করে থাকে, অন্যত্র দায়িত্ব পালন করে থাকেন তিনিও যদি বিদ্রোহ দমনে কিছু না করে থাকেন তাহলে তিনিও বিদ্রোহের দায়ে অভিযুক্ত হবেন।
হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিডিআরের যত লোক উপস্থিত ছিল তারা সবাই এই সামরিক আইনের আওতায় আসে। বিডিআরে তখন সদস্য সংখ্যা ছিল ৫ হাজার কিন্তু সেনাবাহিনী যখন প্রবেশ করে সেখানে ছিল মাত্র ২০০। বাকি ৪ হাজার ৮০০ লোক কোথায় গেল? তারা শাস্তি এড়াবার জন্য পালিয়েছে। সুতরাং প্রকৃত ঘটনা যেন উম্মোচিত হয় সেজন্য আবারও ভাল করে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন এবং দ্রুত বিচার হওয়া প্রয়োজন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, পিলখানায় হত্যার শিকার শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা থাকলে সকলেএকত্র থেকে জনগণের সরকার গঠন করাই আমাদের আজকের শপথ। তাই চলুন সেই শহীদদের কথা স্মরণ করে আজকে আমরা আবার ঐক্যবদ্ধ হই।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম বলেন, স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সেনাবাহিনী কে ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন। এইজন্য সেনাবাহিনীর উন্নয়ন না করে প্যারালাল আরেকটা রক্ষী বাহিনী গঠন করা হয়েছিল। শেখ হাসিনা কে ধরে এনে জওয়ানদের সামনে ছেড়ে দিতে হবে, গুলি করে হত্যা করতে হবে। গণহত্যার শিকার যারা হয়েছে তাদের সামনে ছেড়ে দিতে হবে।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।