চলন্ত বাসে ধর্ষণ; যা জানাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
-
-
|

ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী চলন্ত বাসে নারী যাত্রীকে ‘ধর্ষণ’ করা হয়েছে বলে যে খবর ছড়িয়ে পড়েছে তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পরিচালক) ফয়সল হাসান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানের দেয়া এ সংক্রান্ত এক ভিডিও ক্লিপে বাসটির এক নারী যাত্রীর বক্তব্য বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে।
ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, বাসটির এক নারী যাত্রী বলছেন, বাসটিতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে, তবে ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এতে দেখা যায়, নারী যাত্রী খোলামেলাভাবে তার বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। ওই নারী যাত্রীর বাড়ি নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর থানায়।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী যাত্রীবাহী বাসে মির্জাপুর এলাকায় তিন ঘণ্টা ধরে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। শ্লীলতাহানি করা হয় দুই নারী যাত্রীর। পরে যাত্রীরা বাসটি আটকে নাটোরের বড়াইগ্রাম থানা পুলিশের সহায়তা চায়। বাস যাত্রীদের হাতে আটক বাস চালক বাবলু, সুপারভাইজার মাহবুব ও হেলপার সুমনকে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।
ঘটনাস্থল টাঙ্গাইল জেলায় হওয়ায় সেখানে মামলা করার পরমার্শ দেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম। পরে কেউ মামলা না করায় পুলিশ ৫৪ ধারায় তাদের আদালতে পাঠালে জামিনে মুক্ত হন সবাই।
বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সময়মতো না জানানোর দায়ে ওসি সিরাজুল ইসলামকে গত শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ক্লোজড করে পুলিশ অফিসে সংযুক্ত করা হয়। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে সাভার এলাকা থেকে তিন ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়।