জেল থেকে আসামির পলায়ন, ব্যাখ্যা দিল কারা অধিদফতর
-
-
|

ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জেল থেকে পালানোর ঘটনায় ব্যাখ্যা দিয়েছেন কারা অধিদফতর।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফায়েজ ফেসবুকের এক পোস্টে এ তথ্য জানানোর পর গভীর রাতে কারা অধিদফতরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) মো. জান্নাত-উল-ফরহাদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঘটনার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার আবরার হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত বন্দী কারাগার থেকে পলায়ন সংক্রান্ত সংবাদের প্রতি কারা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়।
জনমনে বিভ্রান্তি নিরসনে কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, সংশ্লিষ্ট মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত বন্দীর কয়েদি নম্বর ৫১৭৭ /এ। মুনতাসির আল জেমি (২৬)। নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কালিয়ান গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে জেমি গত ৬ আগস্ট হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার গাজীপুর থেকে ৮৭ জন মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত বন্দিসহ ২০২ জন বন্দীর সঙ্গে কারাগারের দেয়াল ভেঙে পালিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে ১৫ আগস্ট কোনাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সকল কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ইতিমধ্যে ৩৫ জন মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত বন্দিসহ ৫১ জন বন্দীকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট বন্দীকে গ্রেফতারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
আবরার হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা বিভিন্ন দণ্ডে দণ্ডিত ২২ জন বন্দীর মধ্যে বর্তমানে ২১ জন বন্দী কারাগারে আটক রয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।