নেত্রকোনায় বহু প্রত্যাশার বৃষ্টি, কৃষকের মুখে হাসি

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নেত্রকোনা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বসন্তের বৃষ্টিতে সজীবতা ফিরে ফসলের মাঠে, ছবি: বার্তা২৪.কম

বসন্তের বৃষ্টিতে সজীবতা ফিরে ফসলের মাঠে, ছবি: বার্তা২৪.কম

বসন্তের রুক্ষ প্রকৃতির পর নেত্রকোনায় বহু প্রত্যাশার বৃষ্টি সতেজ হয়ে উঠেছে গাছপালা। হাওর অধ্যুষিত জেলা নেত্রকোনা প্রধান ফসল ধানের জন্য এই বৃষ্টিতে হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে।

গত কয়েকদিন নেত্রকোনার আকাশের মেঘের আবাস দেখে দিলেও রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় শুরু হয়েছে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি। যা ১০ থেকে ১৫ মিনিট স্থায়ী ছিল। তবে আকাশ অন্ধকার হয়ে গুমোট পরিবেশ বিরাজ করছে প্রকৃতিতে। এই বৃষ্টিতে ফাগুনে আগুন হয়ে থাকা গাছের পাতা, পিচঢালা রাস্তা, ফসলের মাঠে এসেছে নতুন সজীবতা।

বিজ্ঞাপন

সদর উপজেলার রৌহা মহাদেবপুর গ্রামের কৃষক আনোয়ার বলেন, গুরু আমাদের প্রচুর পরিমাণে পানি প্রয়োজন পড়ে। এই বৃষ্টির ফলে কিছুটা পানির প্রয়োজনীয়তা কমবে। গভীর নলকূপের মাধ্যমে দেওয়া পানি ধান গাছের গোড়ালি ভিজালেও বৃষ্টির পানিতে পুরো ধান গাছটি পানি শোষন করার সুযোগ পাবে।

এদিকে, নেত্রকোনা আবহাওয়া কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন মুটো ফোনে জানান, অপ্রত্যাশিত কিছু না হলে এ বৃষ্টি আজ এবং আগামীকাল নাগাদ থাকতে পারে,দীর্ঘ সময় ধরে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আপাতত নেই।

বিজ্ঞাপন

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বার্তা২৪.কমকে জানান, এ সময়ের বৃষ্টি সকল ফসলের জন্যে উপকারী বিশেষ করে বোরোধান চাষের জন্য বেশ উপকারী, ধানচাষে পর্যাপ্ত পানি প্রয়োজন বিধায় এ প্রাকৃতিক বৃষ্টির পানির জন্যে কৃষকের ফসলের জমিতে সেচের পানির পরিমান কিছুটা কম লাগবে।

উল্লেখ্য, এবছর জেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লাখ ৮৫ হাজার ৪৮০ হেক্টর। এরমধ্যে হাওর অঞ্চলেই আবাদ হবে ৪১ হাজার হেক্টর।