গাইবান্ধায় শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ
-
-
|

ছবি: বার্তা ২৪
গাইবান্ধা সরকারি কলেজে বহিরাগত সন্ত্রাসীর হাতে শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। একই সাথে অভিযুক্তের শাস্তির দাবি জানিয়ে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গাইবান্ধা সরকারি কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষক ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের আয়োজনে এসব প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. খলিলুর রহমান, উপাধ্যক্ষ আবদুর রশিদ, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ, শিক্ষক এবিএম জিল্লুর রহমান, মিজানুর রহমান মিজান, কাইয়ুম আজাদ, শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম আকাশ, নাসির উল্লাহ, রিফাত সরকার, এরফান আহমেদ, আবরার শাকিল ও আশিকুর রহমান আশিকসহ অন্যরা।
সংহতি জানিয়ে কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটি গাইবান্ধা সদর উপজেলা প্রতিনিধি কমিটির সদস্য রাশেদুল ইসলাম জুয়েল, রওশন আলম পাপুল, গাইবান্ধা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব বায়েজীদ বোস্তামী জ্বীম ও সংগঠক অতনু সাহাসহ থানা পাড়া ও কলেজ পাড়ার বাসিন্দারা।
মানবন্ধনে বক্তারা বলেন, গাইবান্ধা পৌর এলাকার থানা পাড়ার সাজন সরকার মাদকাসক্ত, বখাটে, সন্ত্রাসী ও হত্যা মামলার আসামি। রাজনৈতিক প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে সাজন প্রায়ই সরকারি কলেজে ছিনতাই করতেন। বিশেষ করে থানা পাড়ার ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীদের কাছে সাজন এক আতঙ্কের নাম। সাজনের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ ও মুখ খোলার সাহস পায় না। এ কারণে কলেজের শিক্ষকসহ শিক্ষার্থী ও সাধারণ পথচারীরা জিম্মি হয়ে পড়েছেন এই সন্ত্রাসির কাছে।
বক্তারা সাজনের হত্যার ঘটনা তুলে ধরে জানান, ২০১৩ সালের দিকে গাইবান্ধা শাহ আবদুল হামিদ স্টেডিয়াম সংলগ্ন রেললাইনে মোবাইল ফোন ছিনতাইকে কেন্দ্র্র করে ফুলছড়ি উপজেলার এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের এক কলেজ শিক্ষার্থীকে হত্যা করেন এই সাজন।
সম্প্রতি কলেজ চত্ত্বরে শিক্ষক এবিএম জিল্লুর রহমান, মিজানুর রহমান মিজান, কাইয়ুম আজাদসহ তিন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করেন ও হত্যার হুমকি দেন সাজন। যা অত্যন্ত অপমানজনক।
এসময় বিক্ষোভকারীরা কলেজে সাত দফা দাবি বাস্তবায়নের আল্টিমেটান দেন। দাবিগুলো হলো, কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও সিসি ক্যামেরা স্থাপন, ছাত্র হোস্টেল চালু, মাদকসেবন বন্ধ করা, কলেজ ফটকে নিরাপত্তা কর্মীর ব্যবস্থা, শিক্ষককে লাঞ্ছনার ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষের মামলা দায়ের, কলেজ ক্যান্টিনে বিড়ি, সিগারেটসহ অন্যান্য নেশাজাতীয় দ্রব্যের বিক্রি বন্ধ করা ও বহিরাগতদের রাত ৯টার পরে কলেজে প্রবেশ না করা।
এর আগে একটি বিক্ষোভ মিছিল কলেজ চত্ত্বর প্রদক্ষিণ করে। শেষে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।