মাগুরায় বড় বোনের বাড়ি বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনায় এবার শিশুটির বোনের স্বামী সজীব শেখকে (১৮) আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার (৭ মার্চ) ভোরে তাকে আটক করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. মিরাজুল ইসলাম।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী চরপড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে বড় বোনের শ্বশুর হিটু শেখ (৫০) জড়িত বলে দাবি করছে শিশুটির পরিবার। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে হিটু শেখকে আটক করে।
এ বিষয়ে মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিরাজুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে সদর থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল এবং হাসপাতালে গিয়ে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছে। শিশু ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত হিটু শেখ এবং সজিব শেখকে আটক করা হয়েছে। মাগুরা জেলা পুলিশ অপরাধ দমনে কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের শারীরিক অবস্থার উন্নতি নেই। তার অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হলেও শারীরিক অবস্থার কারণে সেটি করা সম্ভব হচ্ছে না।
শুক্রবার (৭ মার্চ) বেলা ১১টায় ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের ডা. নজরুল হোসেন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
ডা. নজরুল হোসেন বলেন, স্যারের ব্লাড প্রেসার ঠিক আছে। রক্ত দেওয়ার পর প্ল্যাটিলেট কাউন্ট এক লাখের বেশি। ইউরিন আউটপুট স্বাভাবিক এবং হার্টের অবস্থা ঠিক আছে। কিন্তু ব্রেইনের অবস্থা গত রাতের চেয়ে কিছুটা অবনতি হয়েছে। প্রায় কোন রেসপন্স পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে অপারেশনের প্রস্তুতি নেওয়া যাচ্ছে না। ব্রেইনের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে অপারেশনের প্রক্রিয়া করা যাবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে আরেফিন সিদ্দিক ব্যাংক থেকে টাকা তোলেন। তরপর আনুমানিক দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা ক্লাবের বেকারিতে কেনাকাটা করতে গিয়ে পড়ে যান তিনিক। তাৎক্ষণিক তাকে বারডেমে আনা হয়। এখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানা যায়, তিনি মাথায় আঘাত পেয়েছেন এবং স্ট্রোক করেছেন।
তখন তাকে নিউরো সায়েন্স ইউনিটের আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়।
ছোটবেলায় কালাজ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর কানে শোনা এবং কথা বলার শক্তি ও সামর্থ্য হারিয়ে ফেলে কিরামত আলী। তারপর থেকে তিনি বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশু হিসেবে বেড়ে ওঠে।
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার পৌরসভার বামনপাড়া এলাকার আকবর আলীর ছেলে কিরামত আলী। জন্মের পর থেকেই আর অন্যান্য শিশুর মতোই ছিলো। চার ভাই চার বোনের মধ্যে চতুর্থ আকবর আলী দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ালেখার সময় জ্বরে আক্রান্ত হয়। তারপর জ্বরের মাত্রা বেড়ে কালাজ্বরে আক্রান্ত হন। ফলে পরবর্তীতে তিনি বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী হিসেবে বেড়ে ওঠেন।
বাবা ছিলেন কাঠমিস্ত্রী। তাই বাবার সান্নিধ্যে থেকেই কাঠের কাজের সহায়ক হিসেবে শুরু করেন তিনি। তবে তিনি সমাজের বোঝা হয়ে বাঁচতে চাননি। তাই ছোট থেকেই শিখেছেন কাঠের ডিজাইনসহ বিভিন্ন ফার্নিচার তৈরির কাজ।
তবুও থেমে নেই তার জীবনযুদ্ধ। জীবন যুদ্ধের লড়াইয়ে বেঁচে থাকার তাগিদে সব বাধা বিপত্তিকে পেছনে ফেলে বেছে নিয়েছেন কাঠমিস্ত্রীর এই পেশা।
প্রতিদিন সকালে নিয়ম করে বেরিয়ে পড়তেন কাজের সন্ধানে। বিভিন্ন ফার্নিচারের দোকান ও বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে নিপুণ হাতে তৈরি করেন কাঠের আসবাবপত্র। এভাবেই চলতে থাকার এক পর্যায়ে কৈশোর পেরিয়ে যুবকে পরিণত হওয়া কিরামত আলী পার্শ্ববর্তী মিরপুর উপজেলার মশান গ্রামে ইয়াকুব আলী কুটি শাহর মেয়ের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। তারপর কাজের সন্ধানে এ গ্রাম থেকে ও গ্রামে। বিভিন্ন বাড়িতে ফার্নিচারের কাজ করতে চলে আসেন শশুরবাড়ির এলাকা মশানে। সেখানেই তিনি জমি ক্রয় করে বাড়ি করে বসবাস করছেন তিনি। এই ফার্নিচারের কাজ করে যা উপার্জন করেন তা দিয়ে স্ত্রী সন্তান নিয়ে ভালোই কাটে তার জীবন সংসার। বয়সের ভারে ন্যুব্জ হয়ে পড়ায় এখন আর আগের মতো কাজ করতে পারে না, তাছাড়াও শরীরে নানান রকম অসুখে বাসা বেঁধেছে।
কিরামত আলীর দুই মেয়ে এক ছেলে। এভাবে উপার্জন করেই তাদের পড়াশোনা করিয়েছেন। বিয়ে দিয়েছেন দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে। প্রতিদিন তার আয় হয় পাঁচ থেকে সাতশ টাকা।
প্রতিবেশী আব্দুল মান্নান জানান, কিরামত আলী ছোট থেকে বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী, তবুও কারও দুয়ারে যাওয়া লাগে না তার। নিজে একজন ভালো কাঠমিস্ত্রী। বিভিন্ন ফার্নিচারের ডিজিাইনসহ অনেক কিছু শিখেছেন। এভাবে তিনি জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। সমাজে কারো কাছে তিনি বোঝা নন।
মশান গ্রামের খন্দকার শাহজাহান ওরফে লালু মাষ্টার বলেন, কিরামত আলী (কিরন কাল) এর হাতের কাজের অনেক সুনাম ছিল। আমার বাড়িতে এসে বেশ খাট, আলমারি, ড্রেসিং টেবিলসহ বেশকিছু ফার্নিচার তৈরি করে দিয়েছিলো যা আজও আমার ঘরে রয়েছে। সেই থেকে তার হাতের সুদক্ষ কাজ দেখে আরও প্রতিবেশীরাও তাকে কাজের জন্য বাড়িতে ডেকে নিতো এভাবেই এ গ্রামের নিখুঁত কাঠমিস্ত্রী হিসেবে দিন দিন সুনাম বৃদ্ধি পেতে থাকে।
কাঠমিস্ত্রী শামীম বলেন, কিরামত আলী অনেক দিন ধরে কাঠের কাজ করেন। ভালো ডিজাইনও জানেন। তিনি আমার উস্তাদ। তার কাজ দেখে আমি কাঠের কাজ শিখেছি। আমি ছাড়া আরও অনেকে তার কাছ থেকে কাঠের কাজ শিখেছেন।
কিরামত আলীর স্ত্রী আয়েশা খাতুন বলেন, বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী হলেও আমার স্বামী কারও দুয়ারে যান না। নিজে কাঠমিস্ত্রীর কাজ করেন, সেই উপার্জনে চলে আমাদের সংসার। যা আয় করেন তা দিয়ে আমাদের সংসার ভালোই চলে। ছেলে মেয়ে মানুষ করে দুই মেয়ে ও এক। ছেলে বিয়ে দিয়েছি। বর্তমানে এক ছেলে নিয়ে পুত্রবধু ও নাতনি নিয়ে বসবাস করছি।
কথা বলতে না পারলেও কিরামত আলী বলেন, ছোট থেকে আমি প্রতিবন্ধী, কথা বলতে ও শুনতে পারিনা। তাই কারো বোঝা না হয়ে সেসময় থেকেই কাঠের কাজ শিখেছি। অনেক ডিজাইনের কাজ শিখেছি, ফার্নিচারের সব ধরনের কাজ করেছি। আমার কাছে অনেকেই কাজ শিখে মিস্ত্রি হয়েছে। এখন বয়স হয়েছে আর কাজ করতে পারি না। তবুও মানুষের আগ্রহ আমাকে দিয়েই তাদের মনের মতো ফার্নিচার তৈরি করবে। তাই এখনো সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করি কোনরকমে।
নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীর মার্চ ফর খিলাফা সম্মেলন ঘিরে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শুক্রবার (৭ মার্চ) সাড়ে ১২টার দিকে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর ও দক্ষিণ গেটসহ সকল প্রবেশ পথে কঠোর নিরাপত্তায় কাজ করছে পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা । ব্যাগসহ সন্দেহজনক লোকজনদের তল্লাশি করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, জননিরাপত্তার প্রতি হুমকি বিবেচনায় ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর বাংলাদেশ সরকার হিযবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
সন্ত্রাসবিরোধী আইন-২০০৯ অনুযায়ী নিষিদ্ধঘোষিত যেকোন সংগঠনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, পোস্টার-লিফলেট বিতরণ ও অন্যান্য উপায়ে প্রচারণাসহ সব কার্যক্রম শাস্তিযোগ্য অপরাধ। হিযবুত তাহরীরসহ নিষিদ্ধঘোষিত কোন সংগঠন সভা, সমাবেশ ও যেকোন উপায়ে প্রচারণামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করলে ডিএমপি প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।