মক্কায় করোনা আক্রান্তদের সেবায় ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল
-
-
|

মক্কায় করোনা আক্রান্তদের সেবায় ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল
পুরো পৃথিবী আজ ভয়াল করোনার আঘাতে নাকাল। কোন রূপেই যেন এর প্রকোপ থামানো যাচ্ছে না। এশিয়ার সবচেয়ে বড় তেল উৎপাদনের দেশ সৌদি আরবের আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে রেকর্ড সংখ্যক করোনা আক্রান্তের শীর্ষে এ দেশটি। জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নানা পদক্ষেপের কোন কিছু বাকি রাখছে না দেশটির প্রশাসন। বৈধ-অবৈধ সকলের জন্য করোনায় আক্রান্তের চিকিৎসা সম্পূর্ণ ফ্রি করে দিয়েছে দেশটির সরকার। উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগাযোগ করার জন্য নির্দেশনা দিয়ে আসছে। সময়ে সময়ে নানা উপায় অবলম্বনে প্রত্যেকের মোবাইলে বিভিন্ন ভাষায় সতকর্তামূলক বার্তা প্রেরণ করে যাচ্ছে।
ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় কিংবা যেসব স্থানে আক্রান্তের পরিমাণ বেশি, সেখানে স্বাস্থ্যকর্মীরা নিজেরাই গিয়ে করোনা শনাক্তে প্রাথমিক পরীক্ষা করে যাচ্ছে।
লকডাউন বা এতো সবকিছুর পরও আক্রান্তদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। তন্মধ্যে মক্কা-মদীনা-রিয়াদ-জেদ্দার মতো অধিক বসতিপূর্ণ এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। গত চব্বিশ ঘণ্টায় রোগীর তালিকায় ১৩৫১ জন যোগ হয়েছে। মারা গেছে মোট পাঁচজন। সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা ২২,৭৫৩ জন। তন্মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৬২ জনের। সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ৩১৬৩ জন।
তারপরও থেমে নেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব ও সেবা কার্যক্রম। সেবাকর্মে নিজেদের নিরলসভাবে লিপ্ত রাখছেন। সরকারও তাদের প্রতি পিপিই তথা পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট বা ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম ইত্যাদি হতে নিয়ে নানা সুরক্ষা নিশ্চিত করেছে।
রোগীদের সংখ্যা হাসপাতালে এখন আর বেড সংকুলান হচ্ছে না। তাই মক্কার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হতে দুই কিলোমিটার দূরে কুদাই নামক স্থানে একশো শয্যার একটি ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল তৈরির কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন করতে যাচ্ছে। মক্কার স্বাস্থ্য বিষয়ক অধিদফতরের প্রধান ওয়ায়েল বিন হামজা সেসব স্থান পরিদর্শন করে বলেন, করোনা আক্রান্ত রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা শতভাগ নিশ্চিতকল্পে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নানা কার্যক্রম চালু আছে। এই হাসপাতাল তারই ধারাবাহিকতার অংশবিশেষ।
তিনি আরও বলেন, এতে ভেন্টিলেটর হতে নিয়ে চিকিৎসা প্রদানের যাবতীয় সরঞ্জাম ও লোকবল থাকবে। পরিশেষে বলেন, প্রয়োজনে আমরা এরূপ আরও হাসপাতাল তৈরি করবো।