মুরগি ড্রেসিং প্রসঙ্গে শরিয়তের বিধান

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মুরগি ড্রেসিংয়ের চিত্র, ছবি: সংগৃহীত

মুরগি ড্রেসিংয়ের চিত্র, ছবি: সংগৃহীত

নানা কারণে বাজার থেকে মোরগ-মুরগি কেনার পর তা ড্রেসিং করে বাসা-বাড়িতে আনার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু মুরগি ড্রেসিং করার ক্ষেত্রে যে ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার তা করা হয় না। অনেক জায়গায় অস্বাস্থ্যকরভাবে ব্রয়লার কিংবা দেশি মুরগি ড্রেসিং করা হয়। একটি মুরগির জন্য একবার গরম পানি ব্যবহারের নিয়ম থাকলেও তা করা হয় না। বরং একই পানিতে বারবার মুরগি চুবিয়ে ড্রেসিং করা হচ্ছে। এটা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। ড্রেসিংয়ের এই স্বাস্থ্যগত দিক ছাড়াও রয়েছে মাসয়ালাগত কিছু বিষয়। এগুলো না মানলে ওই মুরগি খাওয়া হারামও হতে পারে।

কারণ ড্রেসিংয়ের প্রচলিত কিছু পদ্ধতিতে মুরগির গোশত নাপাক হয়ে যায়, যা খাওয়া নিষেধ। বাজারে জবাই করা মুরগি ড্রেসিংয়ের কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে। আধুনিক মাসয়ালা হিসেবে সব মুসলমানদের এসব জানা উচিত। মুরগি গরম পানিতে চুবিয়ে ড্রেসিং করার যে পদ্ধতি চালু আছে, তার মধ্যে কিছু পদ্ধতি এমন আছে, যার মাধ্যমে মুরগি একেবারেই হারাম হয়ে যায়। আবার কিছু পদ্ধতি এমন আছে যার দ্বারা মুরগি হারাম হয় না।

বিজ্ঞাপন

হালাল পদ্ধতি: জবাইয়ের পর মুরগির ভেতর (নাড়িভুঁড়ি, বিষ্ঠা) ও বাইরের সব ময়লা বের করে গরম পানিতে চুবিয়ে ড্রেসিং করলে হালাল হবে।

হারাম পদ্ধতি: মুরগির ভেতরের ময়লাসহ চুবানোর কারণে ময়লা-আবর্জনার (নাড়িভুঁড়ি, বিষ্ঠা) ক্রিয়ায় গোশতের স্বাদ-ঘ্রাণে পরিবর্তন হয়ে গেলে তা খাওয়া জায়েজ নয়। তবে গরম পানিতে চুবানোর সঙ্গে সঙ্গেই তুলে ফেলায় ময়লা-আবর্জনার ক্রিয়ায় গোশতের স্বাদ-ঘ্রাণ পরিবর্তন না হলে তা হালাল হবে।

বিজ্ঞাপন

ড্রেসিংয়ের পানি আগে থেকে মুরগির রক্ত বা বিষ্ঠা বা অন্যকোনো কারণে নাপাক হয়ে থাকলে, সেই নাপাক পানিতে চুবানোর কারণে গোশতের স্বাদ-ঘ্রাণে পরিবর্তন হলে, সেই মুরগি হারাম হবে। গোশতের স্বাদ-ঘ্রাণে পরিবর্তন না হলে খাওয়া যাবে। -আহসানুল ফাতাওয়া: ২/৯৬

আমাদের পরামর্শ হলো- ড্রেসিংয়ের প্রচলিত পদ্ধতি সংশোধন করা দরকার। এতে আপত্তিকর যে বিষয়গুলো রয়েছে তা বাদ দিতে হবে। আর মুরগি, হাঁস, কবুতর বা এরকম সব হালাল প্রাণী ড্রেসিংয়ের হুকুম একই।