রানাভোলা মাদরাসার ২৯ হাফেজকে পাগড়ি দিলেন ধর্ম উপদেষ্টা
-
-
|

রানাভোলা মাদরাসার ওয়াজ ও দোয়া মাহফিলে বক্তব্য রাখছেন ধর্ম উপদেষ্টা, ছবি: সংগৃহীত
রাজধানী উত্তরায় অবস্থিত জামিয়া ইসলামিয়া রানাভোলা মাদরাসার ২৯ জন হাফেজে কোরআনকে সম্মানসূচক পাগড়ি প্রদান করা হয়েছে। চলতি শিক্ষাবর্ষে এসব শিক্ষার্থী পবিত্র কোরআনের হাফেজ হয়েছেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম খালিদ হোসেন হাফেজ ছাত্রদের মাথায় পাগড়ি পরিয়ে দেন।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে দস্তারবন্দী (পাগড়ী প্রদান) উপলক্ষে আয়োজিত ওয়াজ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি।
মাহফিলে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম খালিদ হোসেন নৈতিক সমাজ গঠনে মাদরাসা শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) আব্দুস সালাম খান ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব হাজী মোস্তফা জামান।
স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ও আলেম-উলামা ছাড়াও মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় রাজনীতিবিদ আফাজ উদ্দিন, সূরুজ্জামান, মোস্তফা কামালসহ অন্যরা।
মাহফিলে মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা শহীদুল ইসলাম, ভাইস প্রিন্সিপাল মুফতি আহমদ শফী, শিক্ষা পরিচালক মুফতি গোলাম কিবরিয়াসহ স্থানীয় আলেমরা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাদরাসা পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক সৈয়দ আহমেদ।
উল্লেখ্য, ১৯৭৪ সালে উত্তরা মডেল টাউনের ১০ নম্বর সেক্টরে ওয়াকফকৃত জমিতে আল মাদরাসাতুল আজিজিয়া দারুল উলুম নামে এ মাদরাসার ভিত্তিস্থাপন করা হয়। পরে এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় জামিয়া ইসলামিয়া রানাভোলা। এটি রাজধানী ঢাকার সর্বপ্রথম ও সর্ববৃহৎ মহিলা মাদরাসা। বর্তমানে এই মাদরাসায় দেড় হাজারের বেশি শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে।